মধুচন্দ্রিমার সুষ্ঠু পরিকল্পনায়...

লাইফ স্টাইল December 21, 2016 962
মধুচন্দ্রিমার সুষ্ঠু পরিকল্পনায়...

জীবনের সবচেয়ে স্মৃতিময় ভ্রমনের একটি মধুচন্দ্রিমা। তাই একে যথাযথভাবে উপভোগ করা উচিত বলেই মনে করেন 'পারফেক্ট হানিমুন্স' এর প্রেসিডেন্ট জিম অগেরিনোস। বলেন, বিয়ের পর দুজনের এই ভ্রমণকে জড়িয়ে সারাজীবন অনেক আবেগ ও স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। কাজেই এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মিললে অনেক ভালোই হয়। পরামর্শ দিয়েছেন জিম।


উদ্যমী হয়ে উঠুন: মধুচন্দ্রিমায় অর্থ খরচের একটা বিষয় থাকে। সেখানে অর্থের ব্যবহারে অনেক মজা হাসিল করতে পারেন। নতুন বিবাহিত জীবনের প্রথম বিনিয়োগ এটাই হতে পারে। যদি বাজেট ধরাবাঁধা থাকে, তবে খুব দূরে ও বিলাসী সফরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। অল্প কয়েক দিনের জন্য পরিকল্পনা করুন। হোটেল বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও সাবধানী হতে হবে। আগে থেকেই যদি খোঁজ-খবর নিয়ে রাখেন তো সমস্যা হবে না। বাজেট ধরেই অভূতপূর্ব সময় কাটিয়ে আসতে পারবেন।


ভ্রমণের কনসালটেন্টের সঙ্গে আলাপ করুন: এটাই সবচেয়ে ভালো কাজ হবে। যিনি এ বিষয়ে এক্সপার্ট, তিনিই আপনাকে সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি দিতে পারেন। যখন যাবেন তখন কোথায় গেলে ভালো হবে, সেখানকার পরিস্থিতি কেমন, হোটেল ভাড়া বা অন্যান্য বিষয়ে যাবতীয় তথ্য তিনি দিতে পারবেন। ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর অনেক অফারও থাকে। কনসালটেন্ট এর সম্পর্কে আপনাকে জানাতে পারেন এবং সে সুযোগ গ্রহণ করলে সুবিধা মিলবে।


স্বপ্নের স্থানটির কথা ভুলবেন না: যদি সুযোগ থাকে তো যেখানে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন, সেখানেই যাওয়ার চেষ্টা করুন। অবশ্য এই স্বপ্ন সাধ ও সাধ্যের মাঝেই থাকতে হবে। মনে রাখবেন, অন্যান্য ভ্রমণের মতো মোটেও নয় আপনার মধুচন্দ্রিমা। অন্যগুলোর মতো নিলেই হবে না একে। তাই বিয়ের পর এই ভ্রমণটাকে স্মৃতিময় করার প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা নিয়ে রাখুন।


বাসা ভাড়া থেকে বিরত থাকুন: মধুচন্দ্রিমায় কোথাও ঘুরতে গিয়ে বাসা ভাড়া নেওয়ার পরিকল্পনা করবে না। সেখানে একজন কাজের মানুষ থাকতে হবে বা শেফ থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এটা এমন এক ভ্রমণ যেখানে দুজন স্রেফ হারিয়ে যাবেন। ঘোরাঘুরির অনেক স্থান আছে। সেখানে হোটেল বা মোটেলে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এসব স্থানই ভালো। আবার বিভিন্ন বাংলো থাকে। এগুলোও বেছে নিতে পারেন।