জনসম্মুখে কথা বলতে ভয় পান? আপনার জন্য রইল কয়েকটি পরামর্শ!

লাইফ স্টাইল December 20, 2016 876
জনসম্মুখে কথা বলতে ভয় পান? আপনার জন্য রইল কয়েকটি পরামর্শ!

এটি হলো এক ধরনের কর্মসম্পাদন উদ্বেগ। কোনো ব্যক্তি যখন নিজের চেহারা, অঙ্গভঙ্গি, সংলাপ এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে সচেতন হন এবং উদ্বেগে আক্রান্ত হন তখন এই সমস্যা দেখা দেয়।


প্রায়ই লোকে জনসম্মুখে কথা বলা এড়িয়ে নিজেকে রক্ষা করতে চায়। এর ফলে তারা কথা বলায় উদ্বেগের বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত হন। আর এটা করতে গিয়ে তারা এই সামাজিক রোগটিকে আরো শক্তিশালি, দীর্ঘস্থায়ী এবং সংহতিনাশক করে তোলেন।


জনসম্মুখে কথা বলার ভয় দূর করাটা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সম্ভাবনার মুখোমুখি হওয়ার মতোই সহজ হতে পারে।


জনসম্মুখে কথা বলার চিন্তা করেই অনেকের হাতের তালু দিয়ে ঘাম বের হতে শুরু করে। হৃদপিণ্ড রেসের ঘোড়ার মতো লাফাতে থাকে এবং পাকস্থলী মোচড়াতে থাকে। এটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা যা কাউকে জনতার ভিড়ের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে, কোনো ধারণা উপস্থাপন করতে বা কোনো সমঝোতা বা চুক্তি করতে সক্ষম করে তোলে।


গ্লোসোফোবিয়া বা জনসম্মুখে কথা বলার ভয় মূলত প্রত্যাখ্যাত হওয়া বা গৃহীত না হওয়ার ভয় থেকে সৃষ্টি হয়। এ থেকে কারো মধ্যে নিম্ন আত্মসম্মানবোধ এবং অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার প্রবণতাটি ধরা পড়ে।


মঞ্চের ভয় দূর করতে সহায়ক হতে পারে যে কৌশলগুলো:

১. কারো সঙ্গে চোখাচোখি হলে সাদামাটাভাবে শুধু শুভ সকাল বা হ্যালো বলে শুরু করুন। আর আপনি যত বেশি অপরিচিত জনের সঙ্গে যেচে গিয়ে কথা বলবেন ততই আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।


২. সম্মেলন এবং ইভেন্টে যোগদিন। নিজেকে অন্যদের সঙ্গে পরিচিত করান। আপনার যোগযোগ দক্ষতা ভালো বা খারাপ যাই হোক না কেন তাদের সঙ্গে কথা বলুন। অনলাইনে বক্তৃতার ভিডিও দেখুন। আর গণবক্তারা যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলেন তখন তাদের ভাব-ভঙ্গি প্রকাশের ধরন খেয়াল করুন।


৩. প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করুন। নিজের কথা বলার ঘটনা ভিডিও করুন। জনসম্মুখে কথা বলার ভয় আর সব ধরনের ভয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক। কারণ গড়পড়তা সব মানুষই এই ধরনের ভয়ে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আর সত্যটি হলো এই ভয় আপনার পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করার সমূহ সম্ভাবনা আছে। সুতরাং এড়িয়ে না গিয়ে বরং যখনই সুযোগ আসবে তখনই জনসম্মুখে কথা বলুন।


যে কোনো ধরনের বক্তব্যদানের সময় যেসব উপাদান থাকাটা জরুরি:

১. যে বিষয়ে কথা বলছেন সে বিষয়ের পর্যাপ্ত জ্ঞান।

২. সমৃদ্ধ শব্দভণ্ডার।

৩. পরিষ্কার গলার স্বর।

৪. সঠিক দেহভঙ্গি বা দেহভাষা।

৫. আত্মবিশ্বাস।


আর একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, কোনো মানুষের পক্ষেই কখনো পুরোপুরি নিখুঁত হওয়া সম্ভব নয়। আমাদের সকলেই বৈচিত্রময় বৈশিষ্ট নিয়ে জন্মাই। আর এর ফলেই আমরা কিছু স্বকীয় ব্যক্তিগত দক্ষতা অর্জন করি। ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্যপট ভিন্ন ভিন্ন দক্ষতা তৈরি করে। যার ফলে আমরা কিছু বিষয়ে যথাযথ হই আবার কিছু বিষয়ে খুঁতপূর্ণ হই। এটি আমাদের সঙ্গে থেকেই আমাদের শক্তি এবং দুর্বলতার পেছনে সক্রিয় থাকে।


সূত্র: ডিএনএ ইন্ডিয়া