অতি আত্মবিশ্বাস কিংবা হতাশা দূরে রাখতে চান?

লাইফ স্টাইল December 11, 2016 1,079
অতি আত্মবিশ্বাস কিংবা হতাশা দূরে রাখতে চান?

পেশাজীবনের সফলতা-ব্যর্থতার বিষয়টি সব সময় মাথায় ঘুর ঘুর করে। তুলনামূলক বিচার করতে গেলে এ ক্ষেত্রে দুই ধরনের ভুল করে বসে মানুষ।


অনেকেই একটুতেই নিজেকে অনেক সফল মনে করেন। অথচ তিনি হয়তো আরো বেশি সফল হতে পারতেন। কিন্তু অতি আত্মবিশ্বাসী হলে বাকি সফলতাটুকু অপূর্ণই থেকে যায়। আবার অনেকে আছেন, যাঁরা যতটা সফল হয়েছেন, নিজেকে তার চেয়ে অনেক কম সফল ভাবেন। এ ধরনের লোকজন আরো সফলতার পেছনে ছুটতে গিয়ে পেরেশানিতে ভোগেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুই মনোভাবের কোনোটিই ইতিবাচক নয়। বরং নিজের মধ্যে এই দুইয়ের একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। এ জন্য তিনটি পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা...


সফলতা উদ্‌যাপন করুন

‘দ্য বাইট-সাইজ এন্টারপ্রেনার’ এবং ‘দ্য প্রোডাক্টিভ বাইট-সাইজড এন্টারপ্রেনার’ বইয়ে ড্যামোন বলেছেন, ছোট হোক, বড় হোক—প্রতিটা সফলতাই উদ্‌যাপন করতে হবে। পুরস্কৃত করতে হবে নিজেকে। আর এর মাধ্যমে নিজেকে অনুপ্রাণিত করা যাবে আরো বেশি। ক্ষুদ্র অর্জনকে মূল্যায়ন করলে বড় প্রাপ্তির পথ খুলে যায়।


অন্যদের ওপর ভরসা রাখুন

চারপাশে কিছু মানুষ আছে, যারা সবসময় আপনার ভালো চায়। তারা আপনার অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখে। এই মানুষগুলোকে নিজের সফলতার ভাগীদার করুন। নিজের জন্য হলেও করুন। এর মাধ্যমে নিজের মস্তিষ্ককে জানান দিতে পারবেন, আপনি সফল, এটা অনেকেই জানে, মানে। এমনটা না করলে লক্ষ্য হাসিল করেছেন—এই উপলব্ধি আসবে না।


বাস্তবমুখী লক্ষ্য নির্ধারণ

আপনি এবং আপনার লক্ষ্যের মাঝে ব্যবধান যত বেশি হবে, সফলতা না আসার অনুভূতি তত বাড়তে থাকবে। বাস্তবমুখী পরিকল্পনা নিজের সফলতা সম্পর্কে কেবল স্পষ্ট ধারণাই দেয় না, লক্ষ্যে পৌঁছার ক্ষেত্রটাকেও উন্মুক্ত করে। কল্পনার ওপর ভিত্তি করে লক্ষ্য নির্ধারণ করলে তা কখনোই ধরা দেবে না। তাই কাছে কিংবা দূরে হোক, গন্তব্য নির্ধারণ করতে হবে বাস্তবতার নিরিখে।