ত্রিশে নারীর ত্বকের যত্নে কফি ও চা!

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস December 10, 2016 1,233
ত্রিশে নারীর ত্বকের যত্নে কফি ও চা!

একটা সময় ছিল, ৩০ মানে নারীর জীবনে সব শেষ। কিন্তু সেই ধারণা ভুল। মূলত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক কিছুটা শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ত্রিশে ত্বকের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন দেখা দেয়।


আর এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে পানি। ওজন কমানো ও মাথা ব্যথা কমানোসহ নানাভাবে পানি বেশ উপকারী। পানির মতো চা এবং কফিও নারীর ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।


ত্বকের যত্নে গ্রিন টি:

ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও ভূমিকা রাখে গ্রিন টি। এর ইজিসিজি (এপিগ্যালোকাটেচিন গালেট) নামক উপাদান ত্বকের মৃতকোষকে কর্মক্ষম করতে সাহায্য করে। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষার পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে এটি।


স্কিন টোনার হিসেবে ব্যবহার করা হয় গ্রিন টি, বিশেষত তৈলাক্ত ত্বকে। গরম পানিতে গ্রিন টিয়ের পাতা আধা ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখতে হবে। ওই পানি ঠাণ্ডা হলে তা টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ভেজা গ্রিন টি-ব্যাগ চোখের উপর রাখলে চোখের ফোলা ভাব কমার পাশাপাশি চোখে আরামও পাওয়া যায়। গ্রিন টিকে ফেইস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বক থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর হবে। প্রাকৃতিক উপায়ে, ফলে ত্বক হবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।


কফি:

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে কফি বেশ উপকারী। ভালো অসংখ্য প্রসাধনিতে কফি ব্যবহার করা হয়। চোখের নিচে রক্ত জমার আশঙ্কাও কমায় এটি। এছাড়া বয়সের ছাপ দূর করতেও কফি বেশ কার্যকর। কফিতে থাকা 'ফাইটোস্টেরল' ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং রোদে পোড়া থেকে রক্ষা করে। শরীর ও মুখের জন্য স্ক্র্যাবার হিসেবেও কফি ব্যবহার করা যেতে পারে।


চুলের যত্নে গ্রিন টি:

চুল ধোয়ায় গ্রিন টি ব্যবহার করলে চুলে আসবে বাড়তি ঝলমলে ভাব। ব্যবহৃত গ্রিন টি ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করতে হবে। তারপর এই পানি ঠাণ্ডা করে তাততে লেবু মেশাতে হবে। শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুযে নিতে হবে। খুশকি দূর করতেও কার্যকর গ্রিন টি। চুলের বৃদ্ধি বাড়ায় ও নরম করে। ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও প্যানথেনল থাকে গ্রিন টিয়ে, যা সাধারণত হেয়ার কন্ডিশনার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।


চুলের যত্নে কফি:

চুলের যত্নেও কাজে লাগে কফি। এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পরিবেশ দূষণজনিত ক্ষতি থেকে চুল রক্ষা করে। ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামত, চুলের আগা ভাঙা রোধ, চুলের বৃদ্ধি বাড়ানো এবং চুল ঘন করতে কফি উপকারী। চুলের প্যাক হিসেবেও কফি ব্যবহার করা যায়। অনেকে বিউটি পার্লারে মেহেদীও অন্যান্য উপকরণের সঙ্গে কফি মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করা হয়।


ক্যামোমাইল টি:

চুলের কিছু অংশ সোনালি রং করতে এটি ব্যবহার করতে পারেন। দুই কাপ গরম পানিতে দুটি কামোমাইল টি ব্যাগ পাঁচ থেকে ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। পরে এতে দুই চা-চামচ লেবুর রস মিশিয়ে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারের পর সবশেষে এই পানিতে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এতে চুলের প্রাকৃতিক সোনালী কিংবা লালচে রং বেরিয়ে আসবে।


আদা চা:

আদার প্রদাহবিরোধী উপাদান ব্রনের আশঙ্কা কমায়। ত্বক রাখে পরিষ্কার, কাটায় ত্বকের চর্বিও। চুলের জন্যও এটি উপকারী। মাথার ত্বকে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। সপ্তাহে একদিন আদা চা দিয়ে চুল পরিষ্কার করলে উপকারগুলো পেতে পারেন।


ব্ল্যাক টি:

ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার জন্য দায়ী মুক্তমৌলের সঙ্গে লড়াই করে এটি। চোখের নিচের ফোলা ভাব দূর করতে দুটি ভেজা ব্ল্যাক টি ব্যাগ চোখের উপর ধরে রাখতে দ্রুত উপকার মিলবে। এছাড়া ব্ল্যাক টি দিয়ে বানানো চা ঠাণ্ডা করে মুখে ছিটা দিলে মুখ সতেজ অনুভূত হবে।