এসব মেনে নেওয়া উচিত!

লাইফ স্টাইল December 9, 2016 1,025
এসব মেনে নেওয়া উচিত!

সম্পর্কে পথটা সবসময় মসৃণ নয়। সম্পর্কের স্বার্থে বেশ কিছু মেনে নেওয়া উচিত।


* মাঝে মাঝে ছোট খাটো মিথ্যে বলা: সম্পর্ক আরো মধুর করে তুলতে মাঝে মাঝে সঙ্গীর কিছু ছোট ছোট বিষয়ে মিছেই প্রশংসা করতে পারেন। এই যেমন- নতুন হেয়ারস্টাইলটা খুব সুন্দর হয়েছে বা আজকের ড্রেসটাতে তোমাকে দারুণ লাগছে ইত্যাদি।


* সবসময় সব কিছু খুলে না বলা: যদি আপনার অতীত জীবনের পুরোনো কোনো স্মৃতি বা বর্তমানের কোনো ঘটনা আপনাকে খুব বেশি চিন্তিত করে তুলছে, যা আপনার সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করতে পারছেন না তবে খুব বেশি দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ আপনারা আলাদা দুজন মানুষ যাদের ভিন্ন দুটি স্বতন্ত্র জগৎ রয়েছে।


* নিজের সঙ্গী ছাড়াও বিপরীত লিঙ্গের কারো প্রতি আকর্ষণ: দৈনন্দিন জীবনে আমাদের অনেকের সঙ্গেই চলাফেরা করতে হয়। একটি সম্পর্ক বিদ্যমান থাকার পরেও যদি ভিন্ন কাউকে ‘ভালো লাগে’ তবে সেটা নিতান্তই দোষের কিছু নয়। কারণ ‘ভালো লাগা’ আর ‘ভালোবাসা’ ভিন্ন দুটি ব্যাপার।


* কখনো কখনো জেলাস কিংবা সন্দিহান হওয়া: ভালোবাসার মানুষটি না আবার দূরে সরে যায়, এই ভয় আসতেই পারে। প্রিয় মানুষটির কোনো কার্যকলাপে তার প্রতি সন্দিহান হয়ে পড়াটা স্বাভাবিক।


* আবেগতাড়িত অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলত্রুটি: যদি কখনো অতিরিক্ত আবেগের বশবর্তী হয়ে এমন কোনো ভুল হয়ে যায় তবে শংকিত না হয়ে বা মুষড়ে না পড়ে দুজনের পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই তা সমাধান করা উচিত।


* নিজেকে প্রাধান্য দেয়া: সবকিছুর উর্ধ্বে আপনি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্য সবকিছুর আগে নিজেকে প্রাধান্য দিতে হয়। কখনো কখনো স্বার্থপর হওয়া অবশ্যই ভালো।


* কখনো কখনো সঙ্গীর চেয়ে নিজের পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় ব্যয় করা: প্রিয়জনের সঙ্গে তো অনেক সময়ই পার করা হয়। সুতরাং মাঝে মধ্যে সঙ্গীর চেয়ে নিজের বাবা-মাকে কিছুটা বেশি সময় দেয়া যেতেই পারে।


* ক্যারিয়ারকে প্রাধান্য দেয়া: ক্যারিয়ারকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে কখনো কখনো অনেক বেশি সময় ব্যয় করতে হয় কাজের ক্ষেত্রে। যদি কখনো এমন কিছু আপনার সঙ্গে হয়ে থাকে তবে নিজেকে দোষী না ভেবে প্রিয় মানুষটাকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলুন আর সামনের দিকে এগিয়ে যান। কারণ এটা আপনাদের ভবিষ্যত জীবনকে সুনিশ্চিত এবং সুখকর করবে।


* বিশেষ দিন ভুলে যাওয়া: ভালোবাসা মানেই ধারানো স্মৃতিশক্তির চুক্তি চলে আসে না। কখনো জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকী ভুলে যেতেই পারেই। এবং ভুলে যাওয়াটা দিয়ে চূড়ান্ত ভালোবাসা পরিমাপ করাও উচিত নয়। এটা সম্পর্কের সবচেয়ে খারাপ দিক নয়।


* সব সময় প্রিয় মানুষটার মনের মতো না হতে পারা: কখনোই নিজেকে পুরোপুরি পরিবর্তন করা যায় না। এ কারণেই সবক্ষেত্রেই প্রিয় মানুষটার মনের মতো আচরণ করা সম্ভব হয় না।


* সবসময়ই সঙ্গীর সঙ্গে ঘুরতে না যেতে চাওয়া: আপনি কি ভাবছেন ভালোবাসা মানে হল- ‘জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপেই একই সঙ্গে হাঁটা?’ তাহলে বাস্তবে ফিরে আসুন। এটা কখনোই সম্ভব নয়। বন্ধুরা আছে না! ওদেরও তো সঙ্গ দিতে হবে নাকি? আপনাদের ভালোবাসার সম্পর্কে কখনোই এটা ক্ষতির কারণ হবে না।


* প্রতিদিন ফোনালাপ না করা: ভালোবাসায় কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আপনার ইচ্ছে হতেই পারে একাকী থাকার কিংবা কখনো কখনো সাময়িক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার। নিজেকে আপন করে পেতে চাওয়া নিশ্চয়ই দোষের কিছু না!


* কথা বলার পরিবর্তে ঘুম বাছাই করা: সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পরে মহাক্লান্ত হয়ে বাড়িতে ফিরলেন। তাই অনেক সময় এমনটা হতেই পারে যে, আপনার কথা বলার শক্তি নেই কিংবা ওই মুহূর্তে কথা বলারই ইচ্ছা নাই। মানবযন্ত্রেরও বিশ্রামের প্রয়োজন হয়।


- রাইজিংবিডি