আত্মবিশ্বাসী সন্তানের জন্য ১৮ টিপস জেনে রাখুন

লাইফ স্টাইল December 4, 2016 1,169
আত্মবিশ্বাসী সন্তানের জন্য ১৮ টিপস জেনে রাখুন

সন্তানকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে ছোটবেলা থেকেই কিছু বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে।


• এ লেখায় একজন মনোবিদের পরামর্শমতো তুলে ধরা হলো তেমন কিছু টিপস...


১. অভিনন্দন জানান, জয় পরাজয় বিষয় নয়

আপনার সন্তানের যাত্রাপথের শুরুটি কেমন হলো তা বড় বিষয় নয়, সে যাত্রা শুরু করেছে, এটাই বড় বিষয়। তাই তার যাত্রার শুরুটিকে অভিনন্দন জানান। প্রথম অবস্থায় ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ নয়।


২. কর্মদক্ষতা বাড়াতে উৎসাহিত করুন

দক্ষতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এজন্য ক্রমাগত অনুশীলন করতে হয়। এ বিষয়টি সন্তানকে শিক্ষা দিন। সে যেন দক্ষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করে সেজন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।


৩. সমস্যা নির্ণয় করতে দিন

জীবনে চলার পথে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। আর এসব সমস্যা নির্ণয় কিংবা সমাধানের জন্য সব সময় আপনি থাকবেন না। এক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে সে যেন সমস্যা নির্ণয় করতে শেখে সেজন্য মনোযোগী হওয়া।


৪. বয়স অনুযায়ী কাজ

সবকিছুর একটি বয়স আছে। আপনার শিশু যখন ছোট তখন তাকে খেলতে দিন। এটি খেলার বয়স। তবে তার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে বয়সের কাজগুলো করতে দিন। এক্ষেত্রে বাড়তি কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না।


৫. কৌতুহল বাড়িয়ে দিন

অজানাকে জানার জন্য শিশুর কৌতুহল অতি স্বাভাবিক বিষয়। এ কৌতুহলকে কোনো অবস্থাতেই নিরুৎসাহিত করা যাবে না। কোনে বিষয়ে সে প্রশ্ন করলে তা যথাযথভাবে তাকে জানাতে হবে।


৬. নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণে উৎসাহ

জীবনের নানা ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। আর এক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে সন্তানকে চ্যালেঞ্জ গ্রহণে আগ্রহী করে তোলা।


৭. শর্টকাট বাদ দিন

শিশুকে শর্টকাট উপায় শেখানোর কোনো প্রয়োজন নেই। এটি তার মানসিকতা বিকাশে নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।


৮. সমালোচনা নয়

কাজের ভুল হবেই। এক্ষেত্রে ভুলটি ধরিয়ে দিলেও সেজন্য সমালোচনা করা যাবে না। স্কুলের রেজাল্ট কিংবা অন্যান্য বিষয়েও মতামত দেওয়া যাবে কিন্তু সমালোচনা থেকে দূরে থাকতে হবে।


৯. ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া শেখান

ভুল হবেই। সে ভুল যেন আর না হয় সেজন্য যথাযথ শিক্ষা দিন। ভুলকে সাফল্যের সোপান হিসেবে প্রস্তুত করতে শেখান।


১০. নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন শেখান

শিশু যেন সর্বদা নতুন বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে আগ্রহী হয় সেজন্য তাকে শেখাতে হবে।


১১. নানা কাজের উপায় শেখান

বিভিন্ন কাজের উপায় শিশুকে শেখান। আপনিই শিশুর হিরো। সে আপনার কাছ থেকে যা শিখবে তা সারা জীবন কাজে লাগাবে। এ কারণে সর্বদা আপনার জানা ভালো সব কাজের উপায় শেখান।


১২. ভয় শেখানোর প্রয়োজন নেই

সন্তান সম্পর্কে আপনার ভয়ের কারণগুলো নিয়ে বেশি আলোচনার প্রয়োজন নেই। এটি তাকে ভীত করে তুলতে পারে।


১৩. পরিশ্রমে উৎসাহ দিন

জীবনে আরাম করে খুব কমই অর্জিত হয়। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অধিকাংশ জিনিস অর্জন করে নিতে হয়। আর এ বিষয়টি শিশুকে শেখাতে হবে যে, পরিশ্রমের বিকল্প নেই। এজন্য পরিশ্রমে উৎসাহ দিতে হবে।


১৪. মাত্রাতিরিক্ত সহায়তা নয়

শিশুকে নিজে নিজে তার কাজগুলো করতে দিন। তার সব হোমওয়ার্ক যদি আপনি করে দেন তাহলে তার উন্নতি হবে না। এ কারণে সে যখন পারবে না তখনই সহায়তা করুন।


১৫. নতুন কিছু করতে উৎসাহ

শিশুকে শেখাতে হবে, নতুন কিছু করতে পারা দারুণ বিষয়। আর এতে সে উদ্ভাবনী কাজে উৎসাহ পাবে, যা ভবিষ্যতে তাকে আত্মবিশ্বাসী হতে সহায়তা করবে।


১৬. শেখার আনন্দ উদযাপন করুন

কোনো বিষয় শেখার পর সে বিষয়ে আনন্দ উদযাপন করুন। আপনার শিশু যতই ছোট বিষয় শিখুক না কেন, এজন্য তাকে উৎসাহিত করুন। আনন্দ করুন।


১৭. বাস্তবতা বর্জন নয়

এখন অনলাইনের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। তবে সব সময় সন্তান যেন অনলাইনে না থাকে সেজন্য খেয়াল রাখুন। অনলাইনের বদলে বাস্তব জীবনে থাকতে তাকে উৎসাহিত করুন।


১৮. কর্তৃত্বপূর্ণ হোন তবে কঠোর নয়

শিশুকে সঠিকভাবে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তুলতে কর্তৃত্বপূর্ণ বাবা-মায়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে তার মানে এটা নয় যে, সর্বদা কঠোর হতে হবে। অতিরিক্ত কঠোর বাবা-মায়ের শিশুরা বহু সমস্যায় পড়ে। তাই মানবিক হতে হবে।