মানব জীবনে মশার সাতটি উপকারী দিক

মজার সবকিছু December 4, 2016 1,231
মানব জীবনে মশার সাতটি উপকারী দিক

মশা মারতে কত রকম কামানই না দাগি আমরা! কিন্তু একটু ভেবে বলুন, মশা কি আমাদের শুধু রক্তই খায়, প্যানপ্যান করে বিরক্তই করে? কোনো কাজে কি লাগে না? মশারও কি কোনো উপকারী অবদান নেই?


অনিদ্রা রোগীর নিদ্রা আনয়নে


ঘুমের ওষুধ তো ছোটখাটো জিনিস, বিটিভি দেখেও যারা ঘুমাতে পারেন না, মশা তাদের জন্য ঘুম আনার কার্যকর সমাধান হতে পারে। কারণ মশাসমাজে এমন কিছু মশা আছে, যাদের কামড়ানো বা রক্ত খাওয়ার ব্যাপারে কোনো আগ্রহ নেই।


তারা শুধু কানের কাছে ঘুরঘুর করে প্যানপ্যানানি শোনাতেই আগ্রহী। সেই প্যানপ্যানানি শুনতে শুনতে ঘুম আসাটা বিচিত্র নয়। আর প্যানপ্যান শুনে ঘুম আসুক আর না আসুক, মশা মারার চেষ্টা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে ঘুম আসতেই পারে!.


বাংলা দ্বিতীয় পত্রে


বাংলা দ্বিতীয় পত্র পাঠ্যবইয়ে এমনসব বিষয় নিয়ে রচনা থাকে যার সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরা তেমন পরিচিত না। কিন্তু মশা নিয়ে রচনা পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করলেই ছাত্রছাত্রীদের জন্য ব্যাপারটা সহজ হয়।


এই বঙ্গদেশে এমন কেউ নেই মশা নিয়ে যার কোনো অভিজ্ঞতা নেই, এটা নিয়ে যে কেউ গল্প ফাঁদতে পারবে! ছাত্রজীবনে মশা অথবা একটি লোডশেডিং সন্ধ্যায় মশার কামড়ের অভিজ্ঞতা, এই টাইপ রচনাগুলো এমন হলেও মন্দ হয় না!


আত্মীয়-স্বজন থেকে দ্রুত পরিত্রাণ লাভে


যে বাড়িতে মশা বেশি, সে বাড়িতে এমনিতেই আত্মীয়-স্বজন বেশি আসতে চায় না। আর যদি চলেও আসে, আসার আগেই বাড়ির যাবতীয় মশা নিরোধক বস্তু মশারি, কয়েল, বা এরোসল এসব লুকিয়ে রাখা যেতে পারে। আত্মীয়-স্বজন দূরীকরণে এর চেয়ে ভালো অস্ত্র আর কিছুই হতে পারে না!


বেকারত্ব দূরীকরণে


বেশি মশা, মানেই বেশি কয়েল, বেশি এরোসল। আর এগুলোর বেশি বেশি উৎপাদনের ফলে সৃষ্টি হয় নতুন নতুন কর্মসংস্থান। ভাবুন তো, মশা না থাকলে কত মানুষ এতদিন বেকার বসে থাকত? এমনকি কোনো কাজকাম নাই এরকম অফিসের মাছি মারা কেরানিটাও তো মশা আছে বলে মাছি না থাকলেও অন্তত মশা মারতে পারে!


ক্রীড়াক্ষেত্রে


মশা মারার যে ব্যাডমিন্টন ব্যাট ধরনের ‘অস্ত্র’ আবিষ্কৃত হয়েছে, তা প্রতিনিয়ত ব্যবহারের মাধ্যমে ছেলেমেয়েরা তো বটেই, আংকেলরাও ব্যাডমিন্টন, টেনিস প্রভৃতি খেলার ব্যাট চালানোতে দিন দিন দক্ষ হয়ে উঠছেন। তাই অচিরেই ব্যাডমিন্টন বা টেনিসে বাংলাদেশ দুর্দান্ত সাফল্য পেয়ে গেল সে ব্যাপারে অবদান অবশ্যই মশার!


মশা মারার কোচিং সেন্টার


মশারি লাগানোর পরেও অনেক সময় মশারির ভিতর দুয়েকটা মশা থেকেই যায়। সেই মশাও আবার সেই ১% জীবাণুর মতো, ডেটল নিরানব্বই ভাগ জীবাণু মারলেও যেই এক ভাগ মারতে পারে না। ঘরে ঘরে রাতে বাতি জ্বলে ওই এক কারণেই, মশারির ভেতরকার শেষ মশা, দ্যা লাস্ট মসকিউটো!


সারা রাত কেটে যায় ওই একটা মশা মারার চেষ্টায়, তবু ওই মশার শুড়টাও বাকা করা যায় না। মূলত এটি দক্ষতার অভাব, সঠিক চর্চাতেই তা কাটিয়ে ফেলা সম্ভব। তাই সঠিক কায়দায় মশা মারা শেখানোর জন্য কোচিং সেন্টার খুলে ব্যবসায় নেমে গেলে ইনকাম খুব খারাপ হবে না!


জরুরি থাপ্পড় দেয়ার কাজে


মনে করুন কাউকে থাপ্পড় দেয়া খুব জরুরি হয়ে গেছে। একটা থাপ্পড় তাকে না দিলেই নয়! কিন্তু থাপ্পড় দেয়ার জন্য কোনো কার্যকর অযুহাত পাচ্ছেন না, কিংবা তাকে থাপ্পড় দেয়াটা আপনার জন্য বিশেষ সুবিধাজনকও না।


এই সমস্যার সমাধানে আছে মশা! জাস্ট কষে একটা থাপ্পড় মেরে এরপর চেহারায় দশ কেজি মায়া ঢেলে দিয়ে বলুন, ‘আয়হায়রে, কামড়ায়ে পুরো লাল করে দিছে, সব রক্ত খায়া ফেলসিলো বজ্জাতটা! কে জানে, শরীরের সব রক্ত


মশার পেটে যাওয়ার ভয়ংকর পরিণতি থেকে উদ্ধার পেয়ে সে এই থাপ্পড়ের জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞও থাকতে পারে!