বিশ্বাস অর্জনে কী বলবেন? জেনে নিন...

লাইফ স্টাইল November 25, 2016 1,447
বিশ্বাস অর্জনে কী বলবেন? জেনে নিন...

আপনি বিশ্বাসী নাকি অবিশ্বাসী—তা অনেকখানি নির্ভর করে আপনি কী বলছেন, এর ওপর। অর্থাৎ আপনার কথা শুনেই শ্রোতা এক ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে—আপনি বিশ্বাসী, নাকি অবিশ্বাসী? এ ক্ষেত্রে আপনি যেন বিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারেন, সে জন্য গবেষকরা কয়েকটি বাক্য খুঁজে বের করেছেন। এগুলো চাইলে আলাপচারিতার সময় ব্যবহার করতে পারেন...


কী ঘটতে পারে বলে আপনার মনে হয়

এটা এমন এক প্রশ্ন, যা সব অভিজ্ঞ পরামর্শদাতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসা করেন। এ প্রশ্নের মাধ্যমে যেকোনো মানুষকে তার নিজস্ব ভাবনার ব্যাখ্যা করার সুযোগ সৃষ্টি করা যায়। শুধু তাই নয়, প্রশ্নটি শুনলেই যেকোনো ব্যক্তি উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তিবোধ করবে। এই প্রশ্নের মাধ্যমে অন্যের মনে নিজেকে নির্ভরশীল করে উপস্থাপন করা যায়।


ওটা আমারই ভুল ছিল

অহংবোধকে বিদায় জানান এ কথার মাধ্যমে। একমাত্র আত্মবিশ্বাসী ও আত্মপ্রত্যয়ী মানুষরাই নিজের ভুল স্বীকার করতে পারে। ভুলের দায় নেওয়ার সাহস অনেকেরই নেই। আবার যারা নিখুঁত নয়, তারাই আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে বলে জানান ‘ট্রাস্ট ফ্যাক্টর : দ্য সায়েন্স অব ক্রিয়েটিং হাই পারফরম্যান্স কম্পানিজ’ বইয়ের লেখক ড. পল জ্যাক।


কিছু কি মনে করবেন যদি একটু সাহায্য চাই

আরেকটি প্রভাবশালী বাক্য। কোনো কাজ বা পরিস্থিতি এলোমেলো হয়ে গেলে এই প্রশ্ন খুবই কাজে আসে। আর এ কথার মাধ্যমে আপনার ব্যর্থতা অন্যের চোখে পড়বে না। বরং আপনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ব্যক্তি বলেই বিবেচিত হবেন।


এ বিষয়ে কি আপনার পরামর্শ পেতে পারি

অনেক মানুষই পরামর্শ চাইতে দ্বিধাবোধ করে। তারা ভাবে, এতে অন্যরা তাকে নির্বোধ মনে করতে পারে। এই ভীতিটা ভুল চিন্তা থেকে। বাস্তবতা হলো, যারা পরামর্শ চায়, তারা অনেক বেশি সচেতন। পাশাপাশি এরা অন্যদের চেয়ে স্মার্ট।


আপনার ওপর আমার আস্থা আছে

ইতিবাচক বক্তব্য। এটা অন্যের কাছে এক ধরনের উপহার হয়ে দেখা দেয়। বিনিময়ে তারা আপনার ওপর নির্ভর করতে চাইবে। কর্মক্ষেত্রে এ কথাটি দলের সব সদস্যকে আরো কাছে আনে।


আপনাকে ছাড়া হয়তো কাজটা করতে পারতাম না

এটাকে বিশেষজ্ঞরা ধন্যবাদ প্রকাশের সর্বোচ্চ মাধ্যম বলে গণ্য করেন। কেউ আপনাকে সহায়তা করলে তার আস্থা অর্জনে এটা দারুণ এক উপায়। এ কথার মাধ্যমে আপনি তার কাছে আরো বেশি স্মার্ট ও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবেন। এ ছাড়া মানসিক শান্তি প্রকাশের মাধ্যমও হয়ে ওঠে কথাটি।


আপনার জন্য কি কিছু করতে পারি

যারা কাজের জন্য বেঁধে দেওয়া সময় নিয়ে চিন্তিত, মানসিক চাপের মধ্যে আছেন কিংবা নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন, তাঁদের প্রতি এমন কথা আপনাকে মুহূর্তেই বিশ্বস্ত করে তুলবে। এ ছাড়া আপনার আন্তরিক মনোভাবও পরিষ্কার হবে।