সাইবার অপরাধের কবলে সারা বিশ্বের তরুণ প্রজন্ম

ইন্টারনেট দুনিয়া November 21, 2016 1,026
সাইবার অপরাধের কবলে সারা বিশ্বের তরুণ প্রজন্ম

বর্তমান প্রজন্ম ইন্টারনেট ছাড়া জীবনযাপনের কথা ভাবতেই পারে না। বলা যায় যে ১৯৮০ সালের আশেপাশে যারা জন্ম নিয়েছেন, মূলত তাদের থেকেই শুরু হয়েছে ই-মেইল এবং ইন্টারনেট জেনারেশন। এই জেনারেশন ‘গুগল’ সার্চ ইঞ্জিনকে নিজেদের চোখের সামনে দিয়েই আসতে দেখেছেন।‘অরকুট’ ছাড়িয়ে ‘ফেসবুক’, ‘ফেসবুক’ থেকে ‘হাইক মেসেঞ্জার’— এই প্রজন্ম প্রত্যেক মুহূর্তেই নিজেদেরকে পরিবর্তন করে চলেছে। কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে কিন্তু এরাই এবার আজ সবচেয়ে বেশি বিপদের মুখোমুখি।


সম্প্রতি ‘নর্টন সাইবার সিকিউরিটি ইনসাইট’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সিমান্টেক। এই রিপোর্টেই বলা হচ্ছে ১৯৮০-২০০০ সালের মধ্যে যাদের জন্ম, তাদের মধ্যে নিজেদের পাসওয়র্ড অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করার প্রবণতা অত্যন্ত বেশি। গত বছর এই প্রজন্মের ৫৫ শতাংশ সাইবার ক্রাইমের কবলে পড়েছেন। সিমান্টেকের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সারা পৃথিবীতেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৪০ শতাংশ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন এবং সেক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড শেয়ার করার প্রবণতাই এর মূল কারণ।


সিমান্টেকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩৪ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তাদের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড অন্যদের জানিয়েছেন এবং গত এক বছরে তাদের মধ্যে বেশিরভাগের থেকেই ব্ল্যাকমেল করে টাকা চাওয়া হয়েছে। সাইবার ক্রাইমের শিকারদের মধ্যে ৮০ শতাংশই এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন। আবার এদের মধ্যে ১৮ শতাংশ ব্ল্যাকমেইলারদের টাকা দিয়েও তাদের ব্যক্তিগত ফাইলগুলি বা ডেটা ফেরত পাননি। তবে শুধুমাত্র যে পাসওয়র্ড শেয়ার করেই এই বিপদে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা তা কিন্তু নয়।


প্রতিবেশীর ওয়াই-ফাই কানেকশন বা কোনও পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে গিয়েও বিপদ ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার জন্য কোনও থার্ড পার্টি অ্যাপ ফোনে ডাউনলোড করতে বলা হয় বা ফোনে স্টোর করা অন্যান্য ফাইলের অ্যাকসেস চাওয়া হয়। ফ্রি ওয়াই-ফাই ব্যবহারের লোভে অনেকেই সেগুলি করে থাকেন। আর সেই সুযোগটাই নেয় সাইবার ক্রিমিনালরা।


এই ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হল কিছু ভাল অভ্যাস মেনে চলা। যেমন, পাসওয়ার্ড কখনওই কারও সঙ্গে শেয়ার না করা, ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকা যাতে ভুলবশত কোনও পপ-আপ অ্যাড বা অ্যাডাল্ট সাইটের বিজ্ঞাপনে ক্লিক না হয়ে যায়, ফোন বা ডিভাইসে খুব ভাল টোটাল সিকিউরিটি প্যাক ইনস্টল করা এবং পাবলিক ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবহার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা।