ভাবনায় এখন ফাইভ-জি

ইন্টারনেট দুনিয়া November 4, 2016 1,014
ভাবনায় এখন ফাইভ-জি

বাংলাদেশ যখন থ্রিজি যুগে বাস করছে তখন বিশ্বের অনেক দেশেই চালু হয়েছে ফোরজি। আর চীনের প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তখন ভাবছে ফাইভ-জি তথা পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক নিয়ে। গত দু’দিনে হুয়াওয়ের বিভিন্ন কারিগরি সেশন ও উপস্থাপনা দেখে মনে হলো ক্লাউড স্টোরেজ, ফাইভ-জি নিয়েই ভাবছে প্রতিষ্ঠানটি। স্থলভাগ ও জলদেশে তথা সমুদ্রে গড়ে তোলা হুয়াওয়ের ক্লাউড স্টোরেজের নির্মাণ পরিকল্পনা এবং ফাইভ-জি'র নানা উপস্থাপনায় মুগ্ধ শিক্ষার্থীরা।


প্রসঙ্গত, চীনের শেনঝেনে চলমান ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার-২০১৬’ চূড়ান্ত পর্বের আয়োজনে বিশ্বের ৪৫টি দেশের আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা অংশ নেন। বছরব্যাপী এই আয়োজন এখন বাংলাদেশ, হাঙ্গেরি ও এল সালভাদরের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন। এই আয়োজনে এবার নিয়ে টানা তিনবার অংশ নিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ১০ জন বিজয়ী (৫টি দলের) এবার এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন।



প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েটের) ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিকস বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের (সেমিস্টার) শিক্ষার্থী জারিফ শাফি জানান, শিক্ষাজীবনে তার গবেষণার বিষয় ছিল ফাইভ-জি। শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞানকে আধেয় করে তিনি এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ব্যবহারিক জ্ঞানের চর্চার সুযোগ না থাকায় বিষয়টি তার আয়ত্বে থাকলেও ছিল অধরা। হুয়াওয়ে তাকে বিষয়টি ধরার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখানে এসে দেখি (প্রেজেন্টেশন ও ভিজিট) হুয়াওয়ের আগামী দিনের সব পরিকল্পনা ফাইভ-জি নিয়ে। এর ডিভাইস, কাজ, কাজের আওতা সবকিছুই হাতে কলমে শিখতে পারছি।’ এটা তার গবেষণা কাজের জন্য বড় একটি প্ল্যাটফর্ম বলে তিনি মনে করছেন।


গত দুদিনে বাংলাদেশ থেকে হুয়াওয়ের আমন্ত্রণে শেনঝেনে আসা চার সাংবাদিকসহ শিক্ষার্থী তথা প্রতিযোগীদের ঘুরিয়ে দেখানো হয় ‘হুয়াওয়ে এন্টারপ্রাইজ সলিউশন্স এক্সিবিশিন’ এবং ‘ওপেন রোড টু আ বেটার কানেক্টেড ওয়াল্ড’ শীর্ষক দুটি হলের মাল্টিমিডিয়া ও স্টেট-অব-দ্য আর্ট প্রদর্শনী।


প্রথমটিতে হুয়াওয়ের প্রযুক্তি পণ্যের বিবর্তন, বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য, স্টোরেজ, ডাটা সেন্টার, ক্লাউড সেবা, ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি দেখানো হয়। আর ওপেন রোড টু আ বেটার কানেক্টেড ওয়াল্ড শীর্ষক উপস্থাপনায় দেখানো হয় আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) এনাবল্ড ইন্ডাস্ট্রি, ডিজিটাল বিজনেস এনাবেলমেন্ট, ৪ দশমিক ৫জি, ফাইভ-জি, এলটিই, গিগা প্রকল্পসহ আরও অনেক কিছু।


শুক্রবার প্রতিযোগিতার শেষ দিন। এদিন দুপুরে সমাপনী অনুষ্ঠানের পরে প্রতিযোগী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য রয়েছে চীনের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রদর্শনী। সবশেষে রয়েছে হুয়াওয়ের প্রধান কার্ালয় ও মোবাইলফোন তৈরির কারখানা পরিদর্শন।