সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের ফাইল প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে

BTRC News October 31, 2016 1,346
সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের ফাইল প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে

দেশে প্রথমবারের মতো কোনো মোবাইল ফোন অপারেটরের লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়াটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে গিয়ে পৌঁছেছে।


গত বৃহস্পতিবার সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের ফাইলটি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।


টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ ফায়েজুর রহমান চৌধুরী কেবল এটুকু বলতেই রাজি হয়েছেন যে, সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় এগুচ্ছে।


মূলত বকেয়া টাকা পাওনার দাবি তুলেই অপারেটরটির লাইসেন্স বাতিলের ফাইল তৈরি করা হয়েছে। আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ও তারা মেনে চলতে পারেনি বলে প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়।


তবে আরও কিছু ছোট ছোট বিষয়ও এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।


এর আগে গত সপ্তাহে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন অপারেটরটির লাইসেন্স বাতিলের প্রস্তাব টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠায়। মাত্র তিন দিনের মধ্যেই টেলিযোগাযোগ বিভাগের কাজ শেষ করে তা প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চলে যায়।


কোনো মন্ত্রী না থাকায় প্রধানমন্ত্রীই ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।



সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে ফাইলটি এগুচ্ছে তাতে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল করা কেবল সময়ের বিষয়।


এর আগে গত ২০ অক্টোবর বিটিআরসি সিটিসেলের স্পেকট্রাম স্থগিত করে সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এর আগে ৩১ জুলাই তারা ১৬ আগস্টের মধ্যে বকেয়া হিসেবে দাবি করা ৪৭৭ কোটি ৬৩ লাখ পরিশোধ না করলে সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে নোটিশ দেয়।


পরে সরকার এক সপ্তাহ সময় বাড়ানোর পর কোর্টের মাধ্যমে মোট বকেয়ার দুই তৃতীয়াংশ পরিশোধের জন্য ১৯ অক্টোবর সময় বেঁধে দেওয়া হয়।


নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সিটিসেল ১৩০ কোটি টাকা পরিশোধ করলেও সেটিকে আমলে নেয়নি বিটিআরসি।


বন্ধ হওয়ার সময় অপারেটরটিতে প্রায় দেড় লাখ গ্রাহক কার্যকর ছিল বলে জানা গেছে। ১৯৮৯ সালে দেশের প্রথম মোবাইল অপারেটরের লাইসেন্স পেয়ে সিটিসেল ১৯৯৩ সাল থেকে সেবা দিতে শুরু করে। বর্তমানে এ অপারেটরের ৪৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরের টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা কোম্পানি সিংটেল।


সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের প্যাসিফিক মোটর্সের রয়েছে ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার। এ ছাড়া ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে ফার ইস্ট টেলিকমের হাতে। সেটিও আসলে সাবেক ওই মন্ত্রীরই আরেকটি কোম্পানি।