জুমার দিন সম্পর্কে সয়ং রাসূল(সা.) যা বলেছেন, আল্লাহ তাআলা সবাইকে মেনে চলার তাওফিক দিন

ইসলামিক শিক্ষা October 28, 2016 880
জুমার দিন সম্পর্কে সয়ং রাসূল(সা.) যা বলেছেন, আল্লাহ তাআলা সবাইকে মেনে চলার তাওফিক দিন

ইসলাম ডেস্ক : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘সূর্য উদিত হয় এরূপ দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিনই হলো সর্বোত্তম দিন।’ সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমআর দিনের মর্যাদা অনেক বেশি। জুমার দিনের মর্যাদা বেশি হওয়ার অনেক কারণই কুরআন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।


হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে জুমার দিনের মর্যাদা বেশি হওয়ার একটি কারণ বর্ণিত হয়েছে। যা তুলে ধরা হলো-


হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, এক ইয়াহুদি তাঁকে বলল, ‘হে আমিরুল মুমিনিন! আপনাদের কিতাবে একটি আয়াত আছে, যা আপনারা পাঠ করে থাকেন, তা যদি আমাদের ইয়াহুদি জাতির উপর অবতীর্ণ হতো, তবে



অবশ্যই আমরা সেই দিনটিকে ঈদ হিসাবে পালন করতাম।


তিনি বললেন, ‘কোন আয়াত’? সে (ইয়াহুদি কুরআনের আয়াতটি) বলল, ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৩)


হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘এটি যে দিনে এবং যে স্থানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর অবতীর্ণ হয়েছিল; তা আমরা জানি। তিনি সেদিন আরাফার ময়দানে দাঁড়িয়েছিলেন আর সেই দিনটি ছিল জুমআ’র দিন।’ (বুখারি)


দিনটি মর্যাদাপূর্ণ বিধায়...

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ দিনে বিশেষ নামাজ পড়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! জুমআর দিনে যখন নামাজের জন্য আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ধাবিত হও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।’ (সুরা জুমআ : আয়াত ৯)


সুতরাং আল্লাহ হুকুম এবং কুরআন হাদিসের বর্ণনায় প্রমাণিত হয় জুমার দিনটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি দিন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমআর দিনের গুরুত্ব উপলব্দি করে যথা সময়ে মসজিদে উপস্থিত হয়ে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন। -জাগো নিউজ।