জুয়েলারির চমকপ্রদ ১২ তথ্য

জানা অজানা October 27, 2016 1,025
জুয়েলারির চমকপ্রদ ১২ তথ্য

‘আমার কাছে পর্যাপ্ত জুয়েলারি (গহনা) আছে’- এই কথা আজও কারো মুখে শোনা যায়নি।


কারণ জুয়েলারির অপরিহার্যতা নারী জাতির কাছে সবসময়ই। জুয়েলারি শুধু শরীরে শোভা বর্ধনে নয়, বরঞ্চ স্বর্ণ, হীরার মতো দামী উপাদানের জুয়েলারিগুলো মূল্যবান সম্পদ হিসেবেও বিবেচিত। যা হোক, এ প্রতিবেদনে জেনে নিন চমকপ্রদ ১২ তথ্য।


* গত ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ দেশ হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে স্বর্ণ উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দেশ হলো চীন।


* এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় স্বর্ণের দলা পাওয়া গেছে অস্ট্রেলিয়াতে, যার ওজন ২০০ পাউন্ডের বেশি।


* একটি হীরার দাম বেশি বৃদ্ধি পায় সেটি কতটা কম রঙের, তার ওপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ যে হীরা যত কম রঙের হয়, সে হীরার প্রতি ক্যারেট তত বেশি উচ্চ মূল্যের হয়।


* রোজ গোল্ড জুয়েলারির ক্ষেত্রে, স্বর্ণের সঙ্গে কপার (তামা) মিশ্রিত করা হয় এর স্বতন্ত্র গোলাপী রঙ দিতে। খাটি স্বর্ণ সবসময় হলুদ রঙের হয়।


* সবচেয়ে প্রাচীন মুক্তার গহনা একজন ফার্সি রাজকুমারীর কফিন থেকে আবিষ্কার করা হয়েছে, যিনি ৫২০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মৃত্যুবরণ করেছিলেন।


* ডায়মন্ড (হীরা) শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ ‘অ্যাডামস’ থেকে, যার অর্থ অবিনশ্বর বা অপরাজেয়।


* বেশিরভাগ হীরা ১ থেকে ৩ বিলিয়ন বছরের পুরোনো।


* এটা বিশ্বাস করা হয়ে থাকে যে, পৃথিবীতে ৮০ শতাংশ স্বর্ণ এখনো মাটির নিচে রয়েছে।


* হীরা একটি মাত্র উপাদান দিয়ে গঠিত, আর তা হচ্ছে- প্রায় ১০০ শতাংশ কার্বন।


* সবচেয়ে পুরোনো জুয়েলারি হিসেবে মানবজাতির কাছে পরিচিত হচ্ছে, ১ লাখ বছর আগেকার পুরোনো গলার একটি নেকলেস, যা ঝিনুক দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।


* মিনারেল পাইরাইটকে (খনিজ ধাতুমাক্ষিক) ‘বোকা স্বর্ণ’ নামেও অভিহিত করা হয়। কারণ এর অদ্ভূত অনুরূপ চেহারা স্বর্ণের মতোই।


* ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, স্বর্ণ সহ বিশ্বে যেসব মূলবান ধাতু রয়েছে সেগুলো মহাকাশ থেকে এসেছে। পৃথিবী গঠনের প্রায় ২০০ মিলিয়ন বছর পর কয়েকটি উল্কাপিণ্ডের মধ্যে সংঘর্ষের পর ধাতুগুলো পৃথিবীতে আসে।