আসছে পাইলটবিহীন ‘আকাশ ট্যাক্সি’

নতুন প্রযুক্তি October 24, 2016 849
আসছে পাইলটবিহীন ‘আকাশ ট্যাক্সি’

গুগলের চালকবিহীন গাড়ির কথা আমরা অনেকেই শুনেছি। শুনেছি আকাশে চলা চালকবিহীন ড্রোনের কথাও। কিন্তু ড্রোন কোনো যাত্রী বহন করে না। এর সেই সক্ষমতাও নেই। তবে এবার ইউরোপের আকাশযান নির্মাণ কোম্পানি এয়ারবাস পাইলটবিহীন একটি যাত্রীবাহি বিমান তৈরীর প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই আকাশ ট্যাক্সির নাম দেয়া হয়েছে ‘ভাহানা’।


এয়ারবাস এই ট্যাক্সি সম্পর্কে পুরোপুরি খোলাসা করেনি। তবে একটি ব্লগে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এই বিমান হেলিকপ্টারের মতো খাঁড়াভাবে উড়তে এবং অবতরণ করতে পারবে। এর দুই সেট ডানা আছে। প্রতিটি ডানায় চারটি করে পাখা থাকবে। এর পিঠে যাত্রী বহনের স্থান থাকবে যা যাত্রী ওঠার সময় আপনা-আপনি খুলবে এবং ওঠার পরে বন্ধ হয়ে যাবে। কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে দেড়শ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। যদি এটি জনপ্রিয়তা পায় তবে ব্যাপকমাত্রায় উত্পাদনে যাবে।


কোম্পানিটি আরো বলেছে, ‘আমরা যে বিমান তৈরী করছি তার নামার জন্য কোনো রানওয়ের দরকার নেই। এর কোনো চালকও থাকবে না। চলার পথে কোনো বাধা কিংবা অন্য বিমান যাই-ই আসুক না কেন এই বিমান নিজেই সেগুলো এড়িয়ে উড়তে থাকবে। আপাতত এটি একজন করে যাত্রী বহন করবে, তবে ভবিষ্যতে এর যাত্রীবহন ক্ষমতা আরো বাড়ানো হবে।’


তবে পাইলট বিহীন একটি বিমান যাত্রীদের জন্য শতভাগ নিরাপদ কিনা সে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। যতই হোক আধুনিক প্রযুক্তি, তার হাতে শুন্যের উপর মানুষের জীবন ছেড়ে দেয়া ঠিক কিনা সে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে কোম্পানিটি বলেছে, কোনো ভয় নেই। এটি বিমানের মতো দাহ্য জ্বালানীতে চলবে না। চলবে ডিসি পাওয়ার চালিত ইঞ্জিনে। তাই এটি বিধ্বস্ত হলেও সাধারণ বিমানের মতো আগুন ধরবে না। তাই পুড়ে মরার ভয় নেই। আর এতে থাকবে সহজে নিয়ন্ত্রণযোগ্য প্যারাসুট। তাই যদি মাঝ আকাশে বিমানের ইঞ্জিন বিকলও হয়ে যায় তবে যাত্রীকে নিরাপদে মাটিতে পৌছে দেবে এই প্যারাসুট। আগামী বছর নাগাদ এটি যাত্রী বহন শুরু করতে পারবে। আর ২০২০ সালের মধ্যেই এটি পুরোমাত্রায় নির্ভরযোগ্য ‘আকাশ ট্যাক্সি’ হয়ে উঠবে বলে কোম্পানিটির আশা।