ঘুরে আসুন মালয়েশিয়ার দর্শনীয় কিছু স্থান থেকে (ছবিসহ)

দেখা হয় নাই October 18, 2016 3,323
ঘুরে আসুন মালয়েশিয়ার দর্শনীয় কিছু স্থান থেকে (ছবিসহ)

দ্বীপের সারি, পাহাড়-পর্বত, উর্বর উচ্চভূমি ও ট্রপিক্যাল রেইন ফরেস্ট এইসব বৈচিত্র্য নিয়েই মালয়েশিয়া গঠিত।


মালয়েশিয়ার আরেকটি দিক হচ্ছে এই দেশটি প্রধান দুটি স্থলভূমি- পশ্চিম ও পূর্ব মালয়েশিয়ায় বিভক্ত। এসব নান্দনিক সৌন্দর্যই মুগ্ধ করবে আপনাকে।


তাহলে জেনে নিন মালয়েশিয়ার দর্শনীয় কয়েকটি স্থানের কথা.....


১। গুনাংমুলো ন্যাশনাল পার্ক

অসাধারণ চুনাপাথরের গঠন ও বিস্ময়কর গুহার জন্য বিখ্যাত এই পার্কটি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে আতঙ্ককর প্রাকৃতিক আকর্ষণীয় স্থান গুনাংমুলো ন্যাশনাল পার্ক।


পৃথিবীর সবচাইতে বৃহৎ ও দীর্ঘ গুহার সিস্টেম গুনাংমুলো ন্যাশনাল পার্কে দেখা যায়। এটি মালয়েশিয়ার বোর্ণিওর সারাওয়াক রাজ্যে অবস্থিত। এই গুহার মধ্যে সবচেয়ে বড় গুহাটির নাম সারাওয়াক চেম্বার যার ভেতরে ৪০টি বোয়িং ৭৪৭ বিমান রাখা যায় বলে অনুমান করা হয়।




২। লংকাউই

এটি মালয়েশিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলে আন্দামান সাগরে অবস্থিত। ৯৯টি দ্বীপ নিয়ে লংকাউই দ্বীপপুঞ্জ গঠিত। এখানে আছে ছবির মত সুন্দর সৈকত, ম্যানগ্রোব ফরেস্ট ও পর্বতমালা। সম্প্রতি এখানে পর্যটকদের জন্য অনেক রিসোর্ট, হোটেল, রেস্ট্রুরেন্ট ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্বীপমালার ব্যাতিক্রমি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য এখানে পর্যটকরা ভীড় করেন।




৩। পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মালয়েশিয়ার শহুরে স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার। এখনো এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ জমজ ভবন। ভূমি থেকে ৪৫০ মিটার দীর্ঘ এই টাওয়ারে ৮৮ তলা আছে যেখানে বিভিন্ন অফিস আছে। এই টাওয়ারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর ডাবল ডেকার ব্রীজ যা টাওয়ারের ৪১ ও ৪২ তলাকে যুক্ত করেছে। এই ব্রীজ থেকে পুরু শহরের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করা যায়। রাতের টুইন টাওয়ারের সৌন্দর্য দিনের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা।




৪। তামান নেগারা

পশ্চিম মালয়েশিয়ার উত্তরাংশের তিনটি রাজ্য জুড়ে তামান নেগারা অবস্থিত যা বিশ্বের প্রাচীনতম রেইন ফরেস্ট। তামান নেগারা ইকোট্যুরিজম ও দুঃসাহসিক গন্তব্য হিসেবে জনপ্রিয়। এই পার্কটি মালয়ান টাইগার, এশিয়ান হাতি ও সুমাত্রার গন্ডারের মত দুর্লভ প্রজাতির প্রাণী ও গাছপালায় পরিপূর্ণ। এই পার্কের আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে দীর্ঘ সাসপ্যানশন ব্রীজের উপর দিয়ে চাঁদের আলোয় হাঁটা। প্রায় গাছের উপর দিয়ে গেছে এই ব্রীজ যার ফলে পাখিদের আবাস দেখা যায় এখান থেকেই।