একজন আদর্শ প্রেমিকের দৈনন্দিন রুটিন

মজার সবকিছু October 17, 2016 2,343
একজন আদর্শ প্রেমিকের দৈনন্দিন রুটিন

সকালে ঘুম থেকে উঠেই একজন আদর্শ প্রেমিকের তার প্রেমিকাকে 'সুপ্রভাত' বলতে হয়। হোক তা মোবাইলে কল করে কিংবা ফেসবুকে মেসেজ করে। এতে প্রেমিকা অনেক খুশি হয়।


একজন আদর্শ প্রেমিক নিজে নাশতা করুক বা না করুক, কল বা মেসেজ করে প্রেমিকাকে নাশতা করতে রিকোয়েস্ট করে। কেননা, প্রেমিকা মহোদয়া প্রেমিকের আদরভরা রিকোয়েস্ট ছাড়া নাশতা করে না!


একজন আদর্শ প্রেমিকের অন্যতম ডিউটি হলো, প্রেমিকাকে তার স্কুলে কিংবা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছে দিয়ে আসা, যাতে প্রেমিকা সে সময়টুকু নিজেকে একলা মনে না করে। আর এই কাজটা করলে প্রেমিকেরই লাভ। তার সাক্ষাতে অন্য কেউ তার প্রেমিকার সঙ্গে লাইন মারার চেষ্টা করতে পারে না।


প্রেমিকাকে ইমপ্রেস করার জন্য একজন আদর্শ প্রেমিক ক্লাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাইরে চায়ের দোকানে অপেক্ষা করে। এতে প্রেম বাড়ে। দু'জন দু'জনের খুব কাছাকাছি থাকে।


প্রেমিকার ক্লাস শেষ হলে একজন আদর্শ প্রেমিক তাকে নিজ দায়িত্বে বাড়িতে পৌছে দেয়।


প্রেমিকাকে বাড়িতে পৌছে দিয়ে একজন আদর্শ প্রেমিক নিজের বাড়িতে ফিরে এসে আরাম-আয়েশ করে না। সঙ্গে সঙ্গে আবার প্রেমিকাকে কল কিংবা মেসেজ করে দুপুর বেলা লাঞ্চ করতে বলে। কেননা, প্রেমিক না বললে যে প্রেমিকা কিছুই খাবে না।


একজন আদর্শ প্রেমিক তার প্রেমিকার লাঞ্চ শেষে আবার কল কিংবা মেসেজ করে বিশ্রাম নিতে বলে। কেননা, দুপুর বেলা বিশ্রাম না নিলে প্রেমিকার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে!


একজন আদর্শ প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বিকেলে ঘুরতে নিয়ে যায়। প্রেমিক-প্রেমিকা বিকেলে ঘুরতে না গেলে প্রেমের সার্থকতা কোথায়? তাই প্রেমিকার পছন্দের জায়গায় প্রেমিক তার প্রেমিকাকে নিয়ে যায়।


সন্ধ্যার পর একজন আদর্শ প্রেমিক তার প্রেমিকাকে কল কিংবা মেসেজ করে পড়তে বসতে বলে এবং প্রেমিকার পড়ালেখা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মেসেজ কিংবা কল দিয়ে কোনো ধরনের বিরক্ত করে না।


প্রেমিকার পড়ালেখা শেষে জি বাংলা, স্টার জলসার সিরিয়াল দেখার সময় একজন আদর্শ প্রেমিক তার প্রেমিকাকে কখনও প্রেমের দোহাই দিয়ে ডিস্টার্ব করে না। যদি কল কিংবা মেসেজ করে সিরিয়াল দেখায় বিঘ্ন ঘটে এতে প্রেমিকা ভীষণ রেগে যায়।


রাত ১২টার পর একজন আদর্শ প্রেমিক তার প্রেমিকার সঙ্গে অনেক রাত পর্যন্ত মোবাইলে কথা বলে। এ সময় তারা তাদের ফিউচার কী রকম হবে তা নিয়ে স্বপ্ন দেখে। তাদের কবে বিয়ে হবে, কোথায় হানিমুনে যাবে, বাচ্চা-কাচ্চা কয়টা হবে, নাতি-নাতনির নাম কী কী রাখবে এ ধরনের পরিকল্পনা চলতে থাকে।


কথা বলতে বলতে যখন এক সময় প্রেমিকা ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন একজন আদর্শ প্রেমিক তার প্রেমিকাকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করে। ঘুম পাড়ানোর জন্য কবিতা পাঠ করে শোনায় কিংবা গান করে। যদি গানের গলা ফাটা বাঁশের মতো হয় তবুও প্রেমিকাকে ঘুম পাড়ানোর অবিশ্রান্ত চেষ্টা করতে থাকে। আর প্রেমিকাকে ঘুম পাড়ানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় একজন আদর্শ প্রেমিকের দৈনন্দিন রুটিন!