ক্যানন ইওএস ১৩০০ডি : সাশ্রয়ী বাজেটে পছন্দসই, ভিডিওতে দুর্বল

গ্যাজেট রিভিউ October 17, 2016 1,111
ক্যানন ইওএস ১৩০০ডি : সাশ্রয়ী বাজেটে পছন্দসই, ভিডিওতে দুর্বল

স্মার্টফোনের সেলফি জাদু ও উন্নত মানের ক্যামেরা কারিশমায় বাজার হারাতে বসেছে ক্যামেরা নির্মাতা কোম্পানিগুলো। বিশেষ করে অপেশাদার ও শৌখিন ক্রেতা হাত ছাড়া হচ্ছে। অন্যদিকে শুধু পেশাদার ফটোগ্রাফারদের ওভর নির্ভর করেও ব্যবসা চলবে না। এমন পরিস্থিতিতে ডিজিটাল এসএলআরসহ অন্যান্য কামেরা তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলোর নজর কমদামি ডিএসএলআরের দিকে। এরই ধারাবাহিকতায় জাপানি প্রযুক্তি জায়ান্ট ক্যানন সম্প্রতি এনেছে ইওএস ১৩০০ডি মডেলের নতুন ডিএসএলআর।


মাঝারি বাজেটের এ ক্যামেরা দিয়ে ব্যক্তিগত ছবি তোলার কাজ ভালোভাবেই মিটিয়ে ফেলা যায়। তবে এটি পেশাদার ফটোগ্রাফারদের জন্য যথোপযুক্ত নয়।


ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি:

ক্যানন ইওএস ১৩০০ডি মডেলের ক্যামেরাটি মূলত ডি সিরিজের আগের মডেল ই১২০০ডি-এর নতুন ও বর্ধিত সংস্করণ। তবে আগেরটির চেয়ে কিছুটা হালকা।


এর বডি কার্বন ফাইবার পলিকার্বোনেট দিয়ে তৈরি। এটি সহজেই ধরে ব্যবহার করা যাবে, কেননা বডিতে অনেকটা গ্রিপি ভাব রয়েছে। কন্ট্রোল বাটনগুলো ব্যবহারেও বেশ আরামদায়ক।


তবে ক্যামেরাটিতে আবহাওয়া নিরোধক কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে ব্যবহারকারীকে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে বৃষ্টি বা ধুলো নিয়ে। যা কিছুটা সমস্যা তৈরি করতে পারে। এর সঙ্গে রয়েছে ১৮-৫৫ মি.মি. ও ৫৫-২৫০ মি.মি. লেন্স।




উন্নত এলসিডি:

এতে ব্যবহৃত এলসিডি ডিসপ্লেটির মান ১২০০ডি-এর তুনলায় অনেকটা ভাল। রেজ্যুলেশন ও ডিপিআই আগের থেকে উন্নত করা হয়েছে।


নতুনদের জন্য কার্যকর:

ক্যামেরাটি মূলত একেবারেই নতুন কিংবা যারা নিয়মিত ভ্রমণে যান তাদের জন্য। মানের দিক থেকে অনেকটাই সন্তোষজনক। এতে ডিজিক৪+ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে।


এপিএস-সি সেন্সরযুক্ত ১৮ মেগাপিক্সেলের এ ক্যামেরা প্রতি সেকেন্ডে ৩টি ছবি তুলতে পারে। এর আইওসও সংবেদনশীলতা সর্বোচ্চ ৬৫০০। ফোকাসিং মোটরও স্টান্ডার্ড। ফলে ১৮-১৫ মি.মি. কিংবা ৫৫-২৫০ মিমি. লেন্সও ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়।




ভিডিওতে পিছিয়ে:

এ ক্যামেরা প্রতি সেকেন্ডে ৩০ ফ্রেমবিশিষ্ট ফুল এইচডি ভিডিও রেকর্ড করতে সক্ষম। তবে একই বাজেটের নিক্কন ডি৩৩০০ প্রতি সেকেন্ডে ৬০ ফ্রেম রেটের ভিডিও রেকর্ড করতে পারে। এ দিক থেকে ক্যামেরাটি কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে।


ব্যাটারিতে স্বস্তি:

ক্যামেরাটিতে ব্যবহৃত ব্যাটারি একবার ফুলচার্জ নিলে একাধারে সর্বোচ্চ ৫০০ ছবি তোলা যায়, যা ৮ গিগাবাইটের মেমরি কার্ড পরিপূর্ণ করতে সক্ষম।


ওয়াই-ফাই ও এনএফসি সুবিধা:

ক্যামেরাটিতে রয়েছে ওয়াই-ফাই ও এনএফসি সুবিধা। ফলে ব্যবহারকারী ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনের সাথে সংযুক্ত করে ফাইল আদান-প্রদান করতে পারবেন।




দাম:

দেশের বাজারে ক্যামেরাটি ৩৪ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এক কথায় নতুন ও শখের ব্যবহারকারীদের জন্য সাধ ও সাধ্যের মধ্যে দারুণ মানান সই ক্যাননের এ মডেল।


একনজরে ভালো

• ব্যবহারে আরামদায়ক

• তুলনামূলক হালকা

• চার্জে স্বস্তি

• মানের দিক থেকে দামে সাশ্রয়ী


এক নজরে খারাপ

• ভিডিও রেকর্ডে কিছুটা পিছিয়ে

• প্রফেশনাল ব্যবহারকারীদের জন্য নয়