সর্বশ্রেষ্ঠ চার জান্নাতি নারীর বৈশিষ্ট্য

ইসলামিক শিক্ষা October 16, 2016 1,494
সর্বশ্রেষ্ঠ চার জান্নাতি নারীর বৈশিষ্ট্য

আল্লাহর রাসুল (সা.) একবার চারটা দাগ কেটে সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলেন তোমরা কি জানো এগুলো কি? সাহাবিগণ উত্তর দিলেন আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ভাল জানেন। রাসুল (সা.) বললেন সর্বশ্রেষ্ঠ চার জান্নাতি নারী হল- খাদিজাহ বিনত খুআলিদ, ফাতিমাহ বিনতে মুহাম্মাদ, মারিয়াম বিনতে ইমরান, এবং আসিয়াহ বিনতে মুযাহিম ( ফেরাউনের স্ত্রী)। হজরত খাদিজাহ হল প্রথম ব্যক্তি যিনি আল্লাহর রাসুলের প্রতি ইমান এনেছিলেন। কেন তাকে সর্বশ্রেষ্ঠ নারীদের একজন বলা হয়েছে? এটাকি তাঁর ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য? তাঁর জ্ঞানের জন্য? ঠিক কি কারণে তাঁকে এই উপাধি দেয়া হয়েছে তা নিয়ে আমাদের গভীর ভাবে চিন্তা করা দরকার।


তারা অত্যন্ত মজবুত ইমানের অধিকারি ছিলেন। তাদের ইমান ছিল ইয়াকিনের পর্যায়ে। ইয়াকিন হল সেই রকম বিশ্বাস যাতে কোন ভাবেই চিড় ধরানো যায়না। যে অন্তরে ইয়াকিন আছে সে অন্তর চোখের দেখা, কানের শোনাকে উপেক্ষা করে তাঁর বিশ্বাসকে প্রাধান্য দেয়। তাদের সকলের ইমান যে ইয়াকিনের পর্যায়ে ছিল, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।


দুই. তাদের মধ্যে দ্বিতীয় যে ব্যপারটি সাধারণ ছিল তা হোল তাঁরা সর্বশ্রেষ্ঠ মা অথবা স্ত্রী ছিলেন। হজরত মরিয়ম বড় করেছিলেন হজরত ঈসাকে আর হজরত আসিয়াহ বড় করেছিলেন হজরত মুসা কে। হজরত খাদিজাহ কে আল্লাহ এত মর্যাদা দিয়েছেন তা কিন্তু এই জন্য নয় যে তিনি অনেক সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। বরং তিনি ছিলেন আল্লাহর রসুল মুহাম্মদ (স) এর অসাধারণ এক সহধর্মিণী। আল্লাহর রাসুলের (স) যখনি প্রয়োজন, তখনি তিনি পাশে পেয়েছিলেন হজরত খাদিজাকে। আল্লাহর রসুলের (স) নবুয়তের শুরুতে সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে অবিচল সাহস আর প্রেরণা দিয়েছেন হজরত খাদিজাহ। আর হজরত ফাতিমা ছিলেন আমিরুল মুমিনিন হজরত আলির (র) সহধর্মিণী। হজরত আলি অত্যন্ত সাধারণ জীবনজাপন করতেন। ঘরের কাজ করতে হজরত ফাতিমাকে অনেক বেগ পেতে হত।


একবার তারা আল্লাহর রাসুল (স) এর কাছে একজন ভৃত্য প্রার্থনা করলেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) তাদের জবাবে বললেন আমি তোমাদের এরচেয়েও উত্তম কিছু শিখিয়ে দিচ্ছি। তোমরা শুতে যাবার আগে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ , ৩৪ বার আল্লাহু আকবর ও ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ বলবে। তোমাকে আল্লাহর রাসুল (স) অত্যন্ত ভালবাসতেন। তিনি বলেছিলেন ফাতিমা আমার একটি টুকরো। সে যাতে খুশি হয় , আমিও তাতে খুশি হই। সে যাতে কষ্ট পায়, আমিও তাতে কষ্ট পাই। ফাতেমা ছিলেন আল্লাহর রাসুলের (স) একমাত্র জীবিত সন্তান। সুতরাং সবসময় মাথায় রাখা দরকার কিসে আল্লাহ সুবহানু ওয়া তাআলা খুশি হন।

-

সময়ের কন্ঠসর