শহরের পাশেই সবুজ গ্রাম

দেখা হয় নাই October 15, 2016 1,413
শহরের পাশেই সবুজ গ্রাম

মানুষ মনকে একটু প্রশান্তি দিতে দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে চান। কিন্তু শহরের যান্ত্রিকতার কারণে তা অনেক সময় সম্ভব হয় না। তাছাড়াও সময়,দুরত্ব,আর্থিক সীমাবদ্ধতার জন্য অনেকের ইচ্ছা থাকলেও আর ইচ্ছা পূরণ হয়না। তবে চাইলেই বেরিয়ে পড়তে পারেন একদিন। ঢাকার পাশে ইছাপুরা বালু নদী থেকে ঘুরে আসতে পারেন।


এর এক পাশে ঢাকার দক্ষিনখানের বোওরা আর অন্য পাশে রূপগঞ্জের ইছাপুরা গ্রাম। মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে বালু নদী। ইছাপুরা বোট ঘাট থেকে বিভিন্ন আকারের নৌকা পাওয়া যায়, জন প্রতি ২০ টাকা ভাড়ায় ইছাপুরা থেকে বেরাইদ যাওয়া যায়।


বালু নদীতে ভ্রমনকালে একটু পরপরই মিউজিকাল বোট চোখে পড়বে। বর্ষায় পানিতে ভরপুর বালু নদী । নৌকা ছুটে চলছে স্রোতের বিপরীত , ৩০০ ফিট রোডের বড় ব্রিজের নিচ দিয়ে, নদীর উপর দাড়ানো মসজিদের পাশ দিয়ে। একটু পরপর চোখে পড়বে জালে মাছ ধরার দৃশ্য।


এই দৃশ্য উপভোগ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই নৌকা ভ্রমনে যেতে হবে ইছাপুরা বালু নদীতে। ইছাপুরা থেকে হরদি ঘাটে ঘুরতে পারেন। কারণ হরদি ঘাট এখন একটা ট্যুরিস্ট স্পট। হরদি হলো কয়েকশ বছরের পুরানো একটি বট গাছ সাজানো গোছানো ছিমছাম একটি গ্রাম।




কীভাবে যাবেন:

ঢাকার এয়ারপোর্ট হাজীক্যাম্প থেকে দক্ষিনখান বাজারে বেটারি চালিত অটোরিকশা পাওয়া যায় জনপ্রতি ১০ টাকা। সেই অটোতে করে দক্ষিনখান বাজার সেখান থেকে হল্যান্ড বোওরা আবার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা জনপ্রতি ভাড়া ১৫ টাকা। একদম ইছাপুরা ব্রীজে নামতে পারবেন। সেখান থেকে ব্রীজটা হেঁটে পার হলেই নৌকা ঘাট।



সতকর্তা:

যাওয়ার সময় দক্ষিনখান বাজার থেকে স্ন্যাক্স জাতীয় হালকা খাবার আর সফট ড্রিংক্স কিনে নিবেন। কারন ইছাপুর গ্রাম হওয়ায় দোকান নেই বললেই চলে। আর যদি সাঁতার না জানেন ভুলেও নদীতে গোসল করতে নামেন না। কারন এখানে নিয়মিত বালু উত্তোলন করা হয়। তাই গভীরতা অনুমান করা যায়না। আর চেষ্টা করবেন সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ফিরে আসার জন্য। কারন রাত ৯টা বা ১০ টার পর সেখানে না অবস্থান করায় শ্রেয়। যদিও এখন দক্ষিনখান থানা পুলিশ সেখানে নীরপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশের ব্যবস্থা করেছে। তবুও সাবধান থাকা ভালো। আর দক্ষিনখান বাজারে আসার পর আপনার আর কোন চিন্তা নেই।