১৫ সেকেন্ডের চার্জে বাস যাবে ২ কিমি

নতুন প্রযুক্তি October 14, 2016 905
১৫ সেকেন্ডের চার্জে বাস যাবে ২ কিমি

মাত্র ১৫ সেকেন্ডের চার্জে ২ কিলোমিটার চলবে বাস। সত্যিই অভূতপূর্ব!




আর মাত্র দুই বছর পর বদলে যাবে বিশ্বের গণপরিবহন ব্যবস্থা। পাল্টে যাবে পরিবহন খাতে বিশ্বের অর্থনৈতিক বিনিয়োগ, পরিবর্তন আসবে কূটনীতিতেও।


জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী মানবসৃষ্ট কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয় গণপরিবহন থেকে। বায়ুমণ্ডলে এর পরিমাণ বেড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। আরো নানা কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়। তবে গণপরিবহন থেকে আর তা বের হবে না। কাঙ্ক্ষিত জলবায়ুর জন্য আশীর্বাদ হবে ব্যাটারিচালিত চার্জের বাস।


মাত্র ১৫ মিনিট চার্জ দিয়ে ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া যাবে- এ ধরনের বাস ২০১৭ সাল নাগাদ সুইজারল্যান্ডের রাস্তায় দেখা যাবে। বাসগুলো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হলে কোটি কোটি টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমানো যাবে।


জেনেভা গণপরিবহন অপারেটর টিজিপি, দি অফিস অব প্রোমোশন অব ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড টেকনোলজিস, দি জেনেভা পাওয়ার ইউটিলিটি এসআইজি এবং এবিবি- এ চার প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে নতুন প্রজন্মের এ বাস তৈরিতে কাজ করছে। চার প্রতিষ্ঠানের নামের আদ্যক্ষর নিয়ে বাসটির নাম দেওয়া হয়েছে টোসা (টিওএসএ)। তবে টোসা থেকে নতুন অর্থ দাঁড় করানো হয়েছে, যা ভাঙলে দাঁড়াচ্ছে- ট্রলিবাস অপটিমাইজেশন সিস্টেম অ্যালিমেন্টেশন।


প্রথম দেখায় এ ধরনের বাসকে কেউ ট্রলিবাস মনে করতে পারেন। ইউরোপের রাস্তাগুলোতে ট্রলিবাসের ছড়াছড়ি। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকা এ জাতীয় কোনো বাসের ওপরের দিকে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, বাসের ওপরে ট্রলিপোলের পরিবর্তে কোনো বৈদ্যুতিক লাইনের সঙ্গে যুক্ত আছে সেটি।


বাসস্ট্যান্ডে বৈদ্যুতিক বাক্স থাকবে। যাত্রী ওঠানো-নামানোর সময় বৈদ্যুতিক বাক্স থেকে বাসগুলো চার্জ নেবে। মাত্র ১৫ সেকেন্ড সময় পেলে বাসগুলোর চার্জার ৬০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চয় করতে পারবে। এ পরিমাণ চার্জ হলে একটি বাস ১৩০ জন যাত্রী নিয়ে অনায়াসে ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবে। তবে বিরতির সময় ৪-৫ মিনিট সময়ে প্রয়োজনীয় চার্জ দিয়ে ব্যাটারিগুলো প্রস্তুত রাখা সম্ভব।


২০১৭ সাল নাগাদ বাসগুলো জেনেভার এয়ারপোর্ট রোডে চলতে দেখা যাবে। পুরোদমে রাস্তায় নামানো হবে ২০১৮ সালে। এতে করে বছরে প্রায় ১ হাজার টন কার্বন ডাই-অক্সাইড কম নির্গত হবে জেনেভায়।


টোসা বাস যদি বিশ্বের জনবহুল দেশ যেমন- ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে নামানো যায়, তবে প্রতিবছর লাখ লাখ টন কার্বন নিঃসরণ কমবে। এ ছাড়া অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গণপরিবহন থেকে নির্গত ধোঁয়ার হাত থেকেও বাঁচা সম্ভব হবে।