এক বছরেও শেষ হয়নি জিপির অডিট

BTRC News October 13, 2016 1,320
এক বছরেও শেষ হয়নি জিপির অডিট

: গ্রাহক ও আয়ের বিচারে শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের তিন হাজার কোটি টাকা ফাঁকির বিষয়ে নিরীক্ষা কার্যক্রম এক বছরেও শেষ হয়নি। তোহা খান জামান অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস ১৮০ দিনের মধ্যে এ কার্যক্রম শেষ করার কথা থাকলেও তা পারেনি।


গত বছর অক্টোবরে বিটিআরসি এ নিরীক্ষা (অডিট) প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করেছিল। নানা জটিলতায় দফায় দফায় সময় বাড়ালেও তোহা খান জামান গ্রামীণফোনের অফিসে ঢুকতেই পারেনি।


অবশেষে সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে এ নিরীক্ষা কার্যক্রম শেষ করতে এ প্রতিষ্ঠানকে আরও পাঁচ সময় বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি।




কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তোহা খান জামান নিরীক্ষার কাজ শেষ করতে হবে।


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটির আবেদনের প্রেক্ষিতেই এ সময় বাড়ানো হয়।


এর আগে দ্বিতীয় মেয়াদে ১৮০ দিন বৃদ্ধির সময় গত ২০ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। তারপরেই আরও পাঁচ মাস সময় বাড়াতে আবেদন করে কোম্পানিটি।


এর আগে ২০১১ সালে গ্রামীণফোনে এক নিরীক্ষা চালিয়ে তিন হাজার কোটি ফাঁকি দেয়া হয়েছে বলে দাবি করে বিটিআরসি। তখন অপারেটরটি উচ্চ আদালতে গেলে অডিটর নিয়োগের প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি বলে তা বাতিলের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।


এরপর গত বছর বিটিআরসি নতুন করে নিরীক্ষা চালানোর কার্যক্রম হাতে নিলে গ্রামীণফোন আগের নিরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে জানতে চায়। তারা ওই নিরীক্ষার ফলাফল না জানানো পর্যন্ত নতুন নিরীক্ষা শুরু না করতে বিটিআরসিকে অনুরোধ করে।


গত বছর ৬ অক্টোবর তোহা খান জামানের সঙ্গে নিরীক্ষার বিষয়ে চুক্তি হয় ৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকায়। এর মধ্যে বিটিআরসি ইতিমধ্যে ৮৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে।


এর আগে গ্রামীণফোন এবং রবির আর্থিক ও কারিগরি নিরীক্ষা করতে বিটিআরসি সরকারের অনুমোদন নেন। রবির জন্য অন্য এক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হবে ৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার।


২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিটিআরসি এ জন্য সব মিলে ৪০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখলেও কোনো নিরীক্ষাই শেষ হয়নি।