তাবিজ ও পাথর ব্যবহারে কি রোগমুক্তি বা ভাগ্যের পরিবর্তন হয়?

ইসলামিক শিক্ষা October 9, 2016 2,340
তাবিজ ও পাথর ব্যবহারে কি রোগমুক্তি বা ভাগ্যের পরিবর্তন হয়?

প্রশ্ন : তাবিজ ও পাথর সম্পর্কে গ্রামগঞ্জের মানুষের যে একটা রেওয়াজ রয়েছে, সে সম্পর্কে জানতে চাই।


উত্তর : তাবিজ ও পাথর মূলত দুটোই এককথায় বলা যেতে পারে মানসিক প্রশান্তির এবং ছলনাময় একটা বাহন। এ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি প্রতারণার একটি উপকরণ। কারণ, এর মাধ্যমে মূলত না ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, না কোনো রোগের চিকিৎসা হয়, না অন্য কিছু হয়।


কিন্তু আমাদের সমাজের মধ্যে এটি ব্যাপকতা লাভ করেছে, এটি আমাদের বিশ্বাসের ওপর চলে গেছে। আমরা মনে করি, তাবিজ দিলে হয়তো আমরা সুস্থ হয়ে যাব। কিন্তু সুস্থ কীভাবে হব, সেটা আল্লাহু সুবানাহুতায়ালা কোরআনের মধ্যে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, ‘যদি আমি অসুস্থ হই, তাহলে তিনিই আমাকে সুস্থ করেন।’ তিনি মানে আল্লাহ। আল্লাহু সুবানাহুতায়ালাই আমাকে সুস্থ করবেন। এটাই হচ্ছে ইসলামের বিধান।


কিন্তু আমরা তাবিজের মধ্যে নিজেদের ইমানকে নিয়ে যাই এবং মনে করি যে এর মাধ্যমে সুস্থতা আসবে।


ঠিক একই কথা পাথরের ব্যাপারেও। পাথরের কত কেরামত, কত কারিশমা বলা হয়ে থাকে। কিন্তু যিনি বর্ণনা করছেন, তিনি নিজেই বিপথগ্রস্ত। তাঁর জীবনেও এই কারিশমাটা নেই। এর অর্থই হচ্ছে এগুলো প্রতারণামূলক বিষয়।


তবে ইসলাম এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছে। রাসূল (সা.) এক ব্যক্তির হাতের মধ্যে একটি পিতলের বালাজাতীয় দেখতে পেলেন। রাসূল (সা.) জিজ্ঞেস করলেন যে, ‘কেন এটি?’ তখন সেই ব্যক্তি বললেন, ওহান থেকে (দুর্বলতা, এক প্রকারের রোগ) সুস্থতার জন্য আমি এটি দিয়েছি।


রাসূল (সা.) এরশাদ করলেন, যদি এই অবস্থায়, অর্থাৎ হাতে এই বালা থাকা অবস্থায় যদি তাঁর মৃত্যু হয়, তাহলে সে জান্নাত লাভ করতে পারবে না এবং সফলতা পাবে না। এখানে একদম স্পষ্ট বক্তব্য রাসূল (সা.) দিয়েছেন যে, এটি মূলত কোনোভাবেই ইমানদার ব্যক্তিদের সফলতার বিষয় নয়; বরং আমরা কীভাবে চিকিৎসা নেব, কীভাবে সত্যিকার নিজেদের বিপদাপদ হলে আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রত্যাবর্তিত হব, এ বিষয়গুলো স্পষ্ট ইসলামের মধ্যে উল্লেখ করা আছে।


সূত্রঃ এনটিভি অনলাইন