এবার ফেসবুক মেসেঞ্জারে যুক্ত হল ‘সিক্রেট কনভারসেশনস’ নামে নতুন সুবিধা!

ইন্টারনেট দুনিয়া October 7, 2016 885
এবার ফেসবুক মেসেঞ্জারে যুক্ত হল ‘সিক্রেট কনভারসেশনস’ নামে নতুন সুবিধা!

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটে মানুষের তথ্য খুব একটা নিরাপদ নয়। কারণ যেকোনো সময় হ্যাক হয়ে যায় মানুষের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এছাড়া সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও অনেক সময় তথ্য চেয়ে বসে। কোনো কোনো চুক্তি অনুসারে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠানগুলো সেসব তথ্য দিতে বাধ্য থাকে। ফলে মানুষের গোপনীয়তা বলতে তেমন কিছু ছিল না।


এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ফেসবুক নিয়ে এসেছে ‘সিক্রেট কনভারসেশনস’ নামে একটি বিশেষ সুবিধা। যা মেসেঞ্জারের এক বিলিয়ন ব্যবহারকারী উপভোগ করতে পারবে। নতুন এই ফিচারে মেসেজ শুধু চ্যাটকারী দুজনেই দেখতে পাবেন। ওই মেসেজ অন্যকেউ, এমনকি সরকার বা ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নিজেও দেখতে পাবেনা বা (সিক্রেট মেসেজে) সেখানে যাওয়ার অনুমতি থাকবে না।




আপনি চাইলে মেসেঞ্জারে সিক্রেট মেসেজ ডিলিট হওয়ার সময় সেট করে নিতে পারবেন। এবং তা ৫ সেকেন্ড থেকে সর্বোচ্চ একদিন পর্যন্ত নির্ধারণ করতে পারবেন। তাছাড়া এই সিক্রেট চ্যাটের মেসেজ দেখা যাবে শুধুমাত্র সেই ডিভাইসেই যেটাতে আপনি তা করেছেন। অর্থাৎ আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনে সিক্রেট চ্যাট করে তা আপনার ল্যাপটপ বা পিসিতে দেখতে চান, তবে সেটা দেখতে পাবেন না। এমনকি সেটা ডিলিট হওয়ার সময় পার না হলেও।


এই সুবিধা পেতে হলে আপনাকে আইওএস বা আইফোনের সর্বশেষ ভার্সন ব্যবহার করতে হবে। একই কথা অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আর একটি ব্যাপার, দু’পক্ষেরই কিন্তু তাদের নিজ নিজ মোবাইলের লেটেস্ট ভার্সনের অ্যাপস থাকতে হবে। নতুবা সিক্রেট মেসেজ মুড কাজ করবে না। ফেসবুক তাদের মালিকানার হোয়াটসঅ্যাপে এই সুবিধা আগেই দিয়েছে। এখন নতুন করে মেসেঞ্জারে দিল।


ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রায় এক বছর আগে বলেছিল, মানুষ তাদের পরিবার বা বন্ধু কিংবা ডাক্তারের সঙ্গে তাদের একান্ত গোপন বিষয়গুলোও অনেক সময় মেসেঞ্জারের মাধ্যমে শেয়ার করে। তাই এই তথ্যগুলোর সুরক্ষা জরুরি। তাছাড়া কেউ তার অর্থনৈতিক তথ্যও শেয়ার করতে পারে। এগুলোর সুরক্ষা প্রয়োজন। তাই আমরা এমন ফিচার আনার চেষ্টা করবো যা হ্যাক করার বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ, এমনকি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের নিজেরও দেখার অনুমতি থাকবেনা। ফেসবুক তার দেয়া ঘোষণা অবশেষে বাস্তবায়ন করলো। এখন থেকে ফেসবুকের মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীরা তাদের তথ্য নিশ্চিন্তে শেয়ার করতে পারবেন। এমনকি সরকার বা তৃতীয় পক্ষের তা দেখার সুযোগ থাকলো না।