মৃতদেহ নিয়ে অদ্ভুত ১৪ রীতি (শেষ পর্ব)

ভয়ানক অন্যরকম খবর September 30, 2016 1,904
মৃতদেহ নিয়ে অদ্ভুত ১৪ রীতি (শেষ পর্ব)

মূত্যুর পরে মানুষের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রচলন যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আমাদের অধিকাংশ মানুষের কাছেই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মাধ্যম হিসেবে আগুনে দাহ করা বা কবরে সমাহিত করা-এ দুটি পদ্ধতিই সর্বাধিক পরিচিত।


কিন্তু একটু খোঁজখবর নিলে আপনি সারা বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের মূত্যুর পর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কিছু অদ্ভুত, সৃজনশীল এবং উদ্ভট প্রচলন সম্পর্কে জানতে পারবেন। এবং এসব জানার পর আপনি বিস্মিত না হয়ে পারবেন না।


শকুন দিয়ে লাশের মাংস খাওয়ানো থেকে শুরু করে মৃতদেহ মণ্ডে প্রহার করা পর্যন্ত- মৃতদের সৎকার করার উদ্ভট সব প্রথা রয়েছে। এ ধরনের ১৪টি অদ্ভূত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া প্রথা নিয়ে রাইজিংবিডিতে দুই পর্বের প্রতিবেদনের প্রথম পর্বে ৭টি প্রথা তুলে ধরা হয়েছিল। আজ শেষ পর্বে বাকি ৭টি প্রথা তুলে ধরা হলো।


মৃতের চোখ বেঁধে প্রবেশদ্বারে ঝুলিয়ে রাখা

নর্থওয়েস্টার্ন ফিলিপাইনের বেনগেট গোত্রের লোকেরা মৃতের চোখ বেঁধে বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে ঝুলিয়ে রাখে।


মৃতকে জীবন্ত মানুষের মতো সাজানো

ফিলিপাইনের টিংগুইন গোত্রের মানুষেরা মৃতদেহে তাদের সেরা পোশাক পড়ায়, তাদের একটি চেয়ারের ওপর বসায় এবং তাদের ঠোঁটে একটি জ্বলন্ত সিগারেট ধরিয়ে দেয়।


গাছের ফোঁকরে সমাধি

ম্যানিলার কাছাকাছি বসবাস করা ক্যাভিটেনো সম্প্রদায়ের লোকেরা নিস্প্রাণ গাছের কোটরে মৃতদেহ সমাহিত করে। ব্যক্তির মৃত্যুর আগেই গাছটি নির্বাচন করা হয়ে থাকে।


রান্নাঘরে সমাধি

উত্তর ফিলিপাইনে বসবাসকারী অ্যাপায়ো সম্প্রদায়ের লোকেরা নিজেদের রান্নাঘরের মধ্যে মৃতদেহ কবর দেয়।


পরিবেশবান্ধব সমাধি

এই পদ্ধতিতে কফিনে সুবাসিত করার পদ্ধতি বাদ দিয়ে, জীবাণুবিয়োজ্য পেতে হাতে বোনা বেতের কফিনে মৃতদেহ সমাহিত করা হয়, যা মাটিতেই পঁচে যাবে।


শকুন দ্বারা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া

প্রায় ৩৫০০ বছর আগে পার্শি ধর্মগ্রন্থ জেন্দাবেস্তার বর্ণিত জরথুস্ট্রের আমলে মৃতদেহকে প্রথমে ষাঁড়ের প্রস্রাব দিয়ে ধৌত করা হতো, যা পরে কুকুর দ্বারা পরিদর্শন করানো হতো। তারপর নীরবতাপূর্ণ একটি দুর্গের ওপরে মৃত রাখা হতো, যেখানে এটিকে শকুন দ্রুতগতিতে খেয়ে ফেলতে পারে।


প্রতীক চিহ্নে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া

উত্তর আমেরিকার হাইডা সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাদের প্রধান ব্যক্তি কিংবা ওঝার মৃত্যুতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতো। সেখানে মৃত্দেহ চূর্ন করে বাক্স বন্দি করে, বাক্সটি মৃত ব্যক্তির বাড়ির সামনে তাদের গ্রোত্রের প্রতীক চিহ্ন আকারে স্থাপন করে রাখা হতো।