ঘুরে আসুন নবাবগঞ্জের রওশন গার্ডেন

দেখা হয় নাই September 16, 2016 1,501
ঘুরে আসুন নবাবগঞ্জের রওশন গার্ডেন

রাজধানী থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের কৈলাইল গ্রামে অন্তত ২৬ বিঘা জমি নিয়ে প্রকৃতির ছায়াঘেরা পরিবেশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে বিনোদন পার্ক 'রওশন গার্ডেন'। নান্দনিক এ পার্কটি বিনোদন ও পিকনিক স্পটের জন্য ইতিমধ্যে দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে।


পাখিডাকা, ছায়াঘেরা নির্মল পরিবেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত বিনোদন পার্কটিতে ঈদুল আজহার দিন থেকেই ভ্রমণপিপাসুরা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা পার্কটি ইতিমধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার ভ্রমণপিপাসু মানুষের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে। ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের চাহিদা বিবেচনায় কয়েকটি স্তরে সাজানো হয়েছে পার্কটি। শিশুদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে শিশুপল্লী, বাউলদের জন্য বাউলপল্লী এবং অন্যদের বিনোদনের জন্য রাখা হয়েছে সুব্যবস্থা। রয়েছে পরিবার নিয়ে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ। এ ছাড়া ১০০ থেকে ৭০০ মানুষের পিকনিক স্পটের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।


বিনোদনের জন্য প্রয়োজনীয় সবধরনের আয়োজন রয়েছে রওশন গার্ডেনে। পার্কটিতে রয়েছে সারি সারি আম, লিচু, নারকেল, সুপারি গাছের সমাহার। শুধু দেশি-বিদেশি প্রায় ৩২ প্রজাতির আমগাছ রয়েছে এখানে। প্রকৃতিপ্রেমীরা ভিন্ন এক আবেশ পাবেন এখানে। এ ছাড়া শানবাঁধানো পুকুর দর্শনার্থীদের নজড় কাড়বে। পুকুরে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থাও রয়েছে। শিশুদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন প্রাণীর ম্যুরালের মধ্যে রয়েছে ডাইনোসর, জিরাফ, কুমির, হাতি, ব্যাঙ, কচ্ছপ, বাঘ, উটপাখিসহ বিভিন্ন প্রাণী। রয়েছে শিশুদের বিভিন্ন রাইডস। হাঁটার জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত জায়গা। দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে নামাজের ব্যবস্থা। দূরের দর্শনার্থীদের থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে পার্কটিতে।


কৈলাইল গ্রামের মৃত সুলতান আহমেদ খানের ছেলে সৈয়দ আহম্মদ খান নিজ উদ্যোগে পার্কটি নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেন। আর পার্কটির নামকরণ করা হয়েছে সৈয়দ আহম্মদ খানের সহধর্মিণী রওশন আরার নামে। ১০ বছর কাজ করার পর পার্কটি বাস্তব রূপ দাঁড় করান সৈয়দ আহম্মদ খান। এর পরপরই দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় পার্কটি।


প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা রাখা হয় পার্কটি। প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে মাত্র ৩০ টাকা। আপনিও ঘুরে আসতে পারেন পার্কটিতে।


কীভাবে যাবেন : ঢাকার গুলিস্তান গোলাপ শাহ'র মাজারের সামনে থেকে এন. মল্লিক, দ্রুতি পরিবহন, যমুনা পরিবহনের বাস প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নবাবগঞ্জের উদ্দেশে যাতায়াত করে। একটু দ্রুত যেতে চাইলে নবাবগঞ্জের আগে তুলশীখালী ব্রিজের টোলঘরের সামনে নেমে সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক রিজার্ভ করে সরাসরি যেতে পারেন রওশন গার্ডেনে। মাত্র ৩০ মিনিটের এ পথে ভাড়া লাগবে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। নবাবগঞ্জ থেকে সিএনজিতেও কৈলাইল পার্কের সামনে যাওয়া যায়। পার্কের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনালাপের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন প্রয়োজনীয় তথ্য। রওশন গার্ডেনের মোবাইল নম্বর : ০১৯৭৭৭৭৬৭৩৭।


সূত্রঃ কালের কন্ঠ