এই ঈদে ফ্রীজ ছাড়াই মাংসকে তাজা রাখার ৪ পদ্ধতি!

টুকিটাকি টিপস September 15, 2016 1,139
এই ঈদে ফ্রীজ ছাড়াই মাংসকে তাজা রাখার ৪ পদ্ধতি!

– গরমের এই সময়টাতে ঈদ-উল-আজহা পালিত হওয়ায় বিদ্যুৎ আর অতিরিক্ত মাংসকে নিয়ে অনেকেই পড়ে যাবেন বেশ ঝামেলাময় একটা পরিস্থিতিতে। বিশেষ করে হঠাৎ বিদ্যুৎ অনেকটা সময়ের জন্যে চলে গেলে, ফ্রীজে এত মাংসের জায়গা না হলে কিংবা ঘরে ফ্রীজ না থাকলে আনন্দময় ঈদের দিনটা ভয়াবহ একটা দিনে পরিণত হতে খুব বেশি সময় নেবেনা।


চলুন দেখে নিই কী করে এই ঈদে ফ্রীজ ছাড়াই মাংসকে তাজা রাখতে পারবেন আরো অনেকটা সময়ের জন্যে।


শুকিয়ে ফেলা

মাংসকে শুকিয়ে ফেলার পদ্ধতিটি আজকের নয়। এ পদ্ধতি যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসছে মানুষ। মাংসকে শুকিয়ে ফেললে একটা সময় সেটার ভেতরের ময়েশ্চারাইজার একদম চলে যায়। যেটা কিনা ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে মাংসকে। এক্ষেত্রে প্রথমে খুব পাতলা করে কাটা হয় মাংসকে। এরপর তাতে লবণ ও অন্যান্য মশলা দিয়ে শুকিয়ে ফেলা হয়। লবণ এ ব্যাপারে মাংসকে শুষ্ক হতে অনেক বেশি সাহায্য করে।


লবনাক্ত করা

মাংসকে শুকিয়ে বেশি সময় সংরক্ষণের জন্যে লবনের ভূমিকার কথা একটু আগেই বলেছি। তবে এবার যে পদ্ধতির কথা বলব সেটার মাধ্যমে কেবল লবণ দিয়েই মাংসকে অনেকদিন টাটকা রাখতে পারবেন আপনি। এক্ষেত্রে, মাংসকে পাতলা করে কেটে প্রচুর লবনের ব্যারেলের ভেতরে রেখে দেওয়া হয়। যাতে করে ময়েশ্চারাইজার হারিয়ে পুরোপুরি ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে সুরক্ষিত হতে পারে মাংস। সাধারণত লবণ দিয়ে টাটকা রাখা এই মাংসগুলো প্রচন্ড শক্ত হয়ে যায়। ফলে খাবার তৈরির আগে সেগুলোকে বারবার আর অনেকক্ষণ ধরে পানিতে ঢুবিয়ে রাখতে হয় নরম করার জন্যে।




প্রেশার ক্যানিং

মাংস সংরক্ষণের সবচাইতে মোক্ষম এই পদ্ধতিটিতে আপনার দরকার পড়বে- একটি প্রেশার ক্যানার ও জার। মাংসগুলোকে কেটে সেগুলোকে জারের ভেতরে ঢুকিয়ে ফেলতে হবে প্রথমে। এরপর খানিকটা লবন দিয়ে প্রচন্ড তাপে জ্বালা দিতে হবে। এ পদ্ধতিতে অনেক বেশি তাপের কারণে মাংসের ভেতরে থাকা মাংস পচিয়ে ফেলতে কাজ করে এমন ব্যাটেরিয়াগুলো মারা যায়। ফলে মাংস টিকে থকে অনেক বেশি সময়।


ব্রাইনিং

অনেকটা লবণাক্ত করার মতনই এই পদ্ধতিটিও। তবে লবণ ছাড়াও এক্ষেত্রে আপনাকে মাংসের ছোট টুকরোর সাথে মেশাতে হবে পরিমাণমতন চিনি আর পানি। এরপর সেটাকে একটি কৌটায় পুরে ফেলতে হবে। খেয়াল রাখুন কৌটার ভেতরে পুরোটা মাংসই যেন তরলের ভেতরে ডুবে থাকে। তবে প্রতি সপ্তাহে একবার করে কৌটার তরলকে নাড়িয়ে দিন। চার সপ্তাহ পর তরল ভারী বলে মনে হলে সেটা বদলেও ফেলতে পারেন।