জিলহজের প্রথম দশদিন যে কাজ থেকে বিরত থাকা সুন্নত

ইসলামিক শিক্ষা September 5, 2016 1,580
জিলহজের প্রথম দশদিন যে কাজ থেকে বিরত থাকা সুন্নত

জিলহজের একমাস অনেক তাৎপর্যপূর্ণ মাস। এ মাসে হজ ও কুরবানির ঈদ পালন হয়ে থাকে।


কুরবানীর দিয়ে আল্লাহ নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। যারা কুরবানি আদায় করবেন তাদের জন্য জিলহজ মাসের প্রথম দশদিন কিছু কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ব্যাপারে হাদিসের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।


কুরবানির করা যায় তিনদিন। আর তা হলো জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত। যারা কুরবানি করার ইচ্ছা পোষণ করে তারা এ তিনদিনের যে কোনো একদিন কুরবানি আদায় করতে পারবে।


হাদিসের আলোকে ইমাম ও আলেমগণ বলেছেন, যারা কুরবানি আদায় করবে, তারা জিলহজ মাসের শুরু থেকে কুরবানি করার আগ পর্যন্ত তাদের শরীরের কোনো কিছুই কর্তন করবে না। হাদিসে এসেছে,


হজরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন জিলহজ মাস শুরু হয় আর তোমাদের কেউ কুরবানি করার ইচ্ছা রাখে, সে যেন (প্রথম দশদিন) নিজের চুল বা শরীরের কোনো কিছুই না কাটে। (মুসলিম)


হজরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমরা জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ দেখতে পাও এবং তোমাদের কেউ কুরবানি করার ইচ্ছা রাখে সে যেন চুল, নখ ইত্যাদি কর্তন করা থেকে বিরত থাকে। (মুসলিম)


একান্ত প্রয়োজনে : জিলহজ মাস আসার আগেই হাত ও পায়ের নখ কেটে নেয়া।মাথার চুল ছেঁটে নেয়া বা মুণ্ডণ করে নেয়া। গোফ ছেঁটে নেয়া। বগলের নিচের পশম পরিষ্কার করা। নাভির নিচের পশম পরিষ্কার করে নেয়া।


এ বিষয়ে ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মত, জিলহজ মাসের প্রথম দশদিন অর্থাৎ কুরবানির পূর্ব পর্যন্ত নখ, চুল ইত্যাদি কাটা মাকরূহ বা নিষিদ্ধ নয়, তবে না কাটাই উত্তম।


ইমাম শাফেঈ রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মতে, উল্লেখিত কাজগুলো করা নিষিদ্ধ (মাকরূহে তানজিহি) তবে হারাম নয়। তবে ওলামায়ে কেরামগণের মতে কুরবানির জানোয়ার জবাইয়ের পর চুল, নখ ইত্যাদি কাটা মুস্তাহাব।


রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছোট্ট একটি হাদিস দিয়ে শেষ করতে চাই, তিনি বলেছেন, ‘যার কাছে কুরবানি করার মত পশু আছে, সে যেন জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ ওঠার পর থেকে কুরবানি করা পর্যন্ত নিজের চুল না ছাটে এবং নখ না কাটে। (মুসলিম)