বঙ্গবন্ধুর কিছু অসাধারণ উক্তি!

স্মরণীয় উক্তি August 16, 2016 2,334
বঙ্গবন্ধুর কিছু অসাধারণ উক্তি!

১)আমি বিশ্বাস করি না ক্ষমতা বন্দুকের নলে। আমি বিশ্বাস করি, ক্ষমতা বাংলার জনগণের কাছে।


২) বাংলাদেশের লাখ লাখ যুবক, লাখ লাখ কৃষক, লাখ লাখ শ্রমিক রক্ত দিয়েছে । আর কারো কথায় নয়, শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকেই তারা জীবন দিয়েছে। স্বাধীনতার ইতিহাস কোনদিন মিথ্যা করতে নাই।


৩) এক নম্বর হলো- দুর্নীতিবাজ খতম করা, দুই নম্বর হলো-কারখানা ক্ষেতে খামারে প্রোডাকশন বাড়ানো, তিন নম্বর হলো-পপুলেশন প্ল্যানিং, চার নম্বর হলো- জাতীয় ঐক্য। জাতীয় ঐক্য করার জন্য একদল করা হয়েছে।


৪) আমি যে সুখী ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি, সংগ্রাম করেছি এবং দুঃখ-নির্যাতন বরণ করেছি, সেই বাংলাদেশ এখনো আমার স্বপ্ন রয়ে গেছে। গরিব কৃষক ও শ্রমিকের মুখে যতদিন হাসি না ফুটবে ততদিন আমার মনে শান্তি নাই।


৫) আমাদের অস্ত্রের সংগ্রাম শেষ হয়েছে। এবার স্বাধীনতা সংগ্রামকে দেশ গড়ার সংগ্রামে রূপান্তরিত করতে হবে।


৬) বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান বাংলাদেশে যারা বসবাস করেন তারা সকলেই এই দেশের নাগরিক। সকল ক্ষেত্রে তারা সমঅধিকার ভোগ করবেন।


৭) সাত কোটি বাঙালির ভালোবাসার কাঙ্গাল আমি। আমি সব হারাতে পারি কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা হারাতে পারব না।


৮) বাঙালি বীরের জাতি। পৃথিবীর কোনো শক্তি আমাদের পদানত করতে পারবে না।


৯) ছোট ভাইয়েরা আমার, যার মনের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা, সে হলো বন্য জীবের সমতুল্য। তা সত্ত্বেও অনেককে ক্ষমা করা হয়েছে। কিন্তু কথা হলো আজ সুযোগ পেয়ে যারা বাংলার গ্রামে-গ্রামে সাম্প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছে, তোমরা তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন শুরু করো। ধর্মনিরপেক্ষতার পতাকা সমুন্নত রাখো।


১০) বাংলাদেশ শুধু নিজেই মুক্তি-সংগ্রামে সাফল্য অর্জন করে ক্ষান্ত নয়, বিশ্বের যে কোনো নিপীড়িত দেশ ও মুক্তি সংগ্রামীদের পাশে আমরা রয়েছি।


১১) এই স্বাধীনতা তখনই আমার কাছে প্রকৃত স্বাধীনতা হয়ে উঠবে, যেদিন বাংলাদেশের কৃষক-মজুর ও দুঃখী মানুষের সকল দুঃখের অবসান হবে।


১২) সশস্ত্র বাহিনীর ভাইয়েরা, আপনারা জনগণের আর জনগণ আপনাদের। আপনারা কোনো আলাদা জাত নন। আপনারা সবাই এ দেশের সন্তান তাই দেশের সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের সঙ্গে শরিক হয়ে বিধ্বস্ত বাংলাকে পুনর্গঠনের জন্য তাদের পাশে আপনাদের দাঁড়াতে হবে। আল্লাহ্?ও আপনাদের সহায়।


১৩) আমরা চাই মানুষ সুখী হোক, গরিব-দুঃখী, বড়-ছোট সবাই পেট ভরে ভাত খাবে। তাহলেই তো আমাদের স্বাধীনতা সার্থক হবে। যারা আত্মত্যাগ করেছে, রক্ত দিয়েছে, তাদের আত্মা শান্তি পাবে।


১৪) ছাত্র সমাজের লেখাপড়া করতে হবে। লেখাপড়া করে মানুষ হতে হবে। জনগণ টাকা দেয় ছাত্রগণকে মানুষ হবার জন্য। মানুষ হতে হবে, আমরা যেন পশু না হই।


১৫) বাবারা, একটু লেখাপড়া শিখো। ঠিকমতো লেখাপড়া না শিখলে কোনো লাভ নেই। আর লেখাপড়া শিখে যে সময়টুকু থাকে বাপ-মাকে সাহায্য করো।


১৬) বাংলার মানুষকে আমি ডাক দিয়েছিলাম, ৭ মার্চ আমি তাদের প্রস্তুত করে দিয়েছিলাম।


১৭) শৃঙ্খলা ছাড়া কোনো জাতি সংগ্রামে জয়লাভ করতে পারে না।


১৮) যেখানে অন্যায়, অবিচার, শোষণ আছে, বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কথা বলার জন্য সেখানেই আমি হাজির।


১৯) রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের চারটি জিনিসের প্রয়োজন তা হচ্ছে নেতৃত্ব, মেনিফেস্টো বা আদর্শ, নিঃস্বার্থ কর্মী ও সংগঠন।


২০) কত হাজার হাজার লাখ লাখ লোক শহীদ হয়েছে বাংলার স্বাধীনতার জন্য। লাখ লাখ মা-বোনের আর্তনাদ আজও মোছে নাই, আজ ও থামে নাই। আজও তাদের চোখের পানি যায় নাই।


২১) আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই যে, আমাদের দেশ হবে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক দেশ। এ দেশের কৃষক-শ্রমিক, হিন্দু- মুসলমান সবাই সুখে শান্তিতে থাকবে।