সময় মতো ইবাদাত করাই আল্লাহর নির্দেশ!

ইসলামিক শিক্ষা August 13, 2016 937
সময় মতো ইবাদাত করাই আল্লাহর নির্দেশ!

আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রতি বড়ই দয়াবান। তিনি মানুষকে তার ইবাদাত (পরিপূর্ণ আনুগত্য) করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। সে কারণে আল্লাহর তাআলার নির্দেশ পালনের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আদায় করাও ইবাদাত বা পরহেজগারী। আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারিমে ইরশাদ করেন-




‘তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে ছুটে যাও যার সীমানা হচ্ছে আসমান ও জমিন, যা তৈরি করা হয়েছে পরহেজগারদের জন্য।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৩৩)


অর্থাৎ ‘যে কাজে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে মাগফিরাত লাভ হয়, সে কাজের দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার দিকেই এ আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছে।


সময় মতো যারা আল্লাহর হুকুম পালনে এগিয়ে আসে, পরকালীন জীবনে তাদের জন্য রয়েছে উচ্চ মর্যাদা ও নৈকট্য। এর কারণ বর্ণনায় ইমাম রাজি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘আল্লাহ তাআলার ইবাদাতে সঠিক সময়ে দ্রুত হাজির হওয়া উচিত। এ জন্যই নামাজের সময় হওয়া মাত্র তা আদায় করা উত্তম।


এ প্রসঙ্গে তিনি একখানি হাদিসেরও উল্লেখ করেন- হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নামাজের সময়ের প্রথম ভাগে নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভ করা যায় আর শেষভাগে আদায় করলে ক্ষমা পাওয়া যায়। (তাফসিরে কবির)


পরিশেষে...

আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনে তথা সৎকাজে সময় ব্যয় না করে দ্রুততার সঙ্গে তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছে তিনি। নামাজের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করা।


হজের সামর্থ্য হওয়ার সঙ্গে হজ সম্পাদন করা। নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার পর বৎসর অতিক্রম করলেই জাকাত আদায় করাসহ সকল ফরজ ইবাদাত সমূহ পালন করা। অর্থাৎ আল্লাহর নির্ধারিত বিধি-বিধান পালনের বয়সে উপনীত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা যথাযথ আদায় করা।


যারা সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর হুকুম পালন করবেন, হাদিসের ভাষায় তারাই আল্লাহর নৈকট্য অর্জনকারী বান্দা হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করবেন। যার প্রমাণ দিয়েছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।


রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবাদের নিয়ে নামাজ আদায় করছিলেন। এমন সময় আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি ওহি নাজিল করলেন যে, আপনি বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে বাইতুল্লাহর দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করুন।


বিশ্বনবি নামাজের মধ্যেই ক্বিবলা পরিবর্তন করলেন। যা ইসলামের ইতিহাসে আল্লাহর নির্দেশের যথা সময়ে পালনের এক অনন্য প্রমাণ।


আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর হুকুম-আহকাম তথা ফরজ ইবাদাত-বন্দেগি পালনের ক্ষেত্রে সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।