লক্ষণশাস্ত্র মতে জন্মদাগের রহস্য কি?

জানা অজানা August 6, 2016 1,425
লক্ষণশাস্ত্র মতে জন্মদাগের রহস্য কি?

জন্মদাগ আর যাই হোক আঁচিল বা জড়ুল নয়। তার এক ভারি রোম্যান্টিক মাত্রা রয়েছে। ত্বকের উপরে হালকা জলছাপ একদিকে যেমন অভিজ্ঞান চিহ্ন, তেমনই নিজেকে নিজের কাছে রহস্যময় করে তোলার এক মাধ্যম।


আমাদের সকলেরই প্রায় কোনও না কোনও জন্মদাগ রয়েছে। শরীরের এমন দুর্গম অঞ্চলে জন্মদাগ থাকতে পারে, যা নিজের কছেও অজানা। লক্ষণশাস্ত্র বিস্তর আলোচনা রেখেছে জন্মদাগের বিষয়ে। এই শাস্ত্র মতে, জন্মদাগ থেকেই জানা যেতে পারে সেই ব্যক্তির পূর্বজন্ম সম্পর্কে। দেখা যেতে পারে লক্ষণশাস্ত্র মতে জন্মদাগের রহস্য।




১. লাল, প্রায় রক্তবর্ণ জন্মদাগ থেকে নাকি বোঝা যায়, এই দাগের অধিকারীর পূর্বজন্ম খুব দূরবর্তী নয়। এই দাগ পূর্বজন্মে পুড়ে যাওয়ার দাগও হতে পারে। যদি লাল দাগ হালকা হয়, তা হলে বুঝতে হবে, পূর্বজন্মে দহনক্ষতের নিরাময় হয়েছিল।


২. বেশ গাঢ় বুলেটক্ষতের মতো দাগ নাকি জানায়, বিগত জন্মে ব্যক্তি অস্ত্রাঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।


৩. বুলেটক্ষতের মতো দাগ যদি হালকা রঙের হয়ে থাকে, বুঝতে হবে সেই ব্যক্তির বিগত জীবনে অস্ত্রক্ষত খুবই গভীর ছিল। হয়তো অস্ত্র শরীরের ভিতরে প্রবেশ করেছিল।


৪. অনেকের জন্মদাগ ছুরিকাঘাতের মতো। লক্ষণশাস্ত্রের যুক্তি অনুযায়ী, তা বিগত জন্মের ক্ষতচিহ্ন। মাথার পিছনে বা ঘাড়ের কাছে এমন দাগের অর্থ সেই আঘাত এসেছিল ঘুমন্ত অবস্থায়, পিছন থেকে।


৫. লাল টিপের মতো জন্মদাগ থেকে অনুমান করা যায়, এই দাগ তিরের আঘাতে ঘটেছিল।


৬. অনেকের গায়েই শিকলের মতো জন্মদাগ থাকে। লক্ষণশাস্ত্র জানায়, বিগত জন্মে এই ব্যক্তি হয়তো ক্রীতদাস ছিলেন। এই দাগ সেই দাসত্বের শৃঙ্খলের দাগ।


এই বৃত্তান্তের সত্য-মিথ্যা নিরূপণ করা দুরূহ। লক্ষণশাস্ত্র এক প্রহেলিকাময় জগৎ। তার রহস্য উদ্ঘাটন সহজ কাজ নয়।