যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যাবে সিটিসেল, গ্রাহকদের বিকল্প সেবা গ্রহণের পরামর্শ

রাজস্ব বকেয়া বাকি এবং পরিশোধে গড়িমসি করায় যেকোনো সময় বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের লাইসেন্স ও তরঙ্গ বাতিল এবং অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে অপারেটরটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে সরকার।রোববার সিটিসেলের গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দুই সপ্তাহের মধ্যে বিকল্প সেবা গ্রহণের জন্য গ্রাহকদের আহ্বান জানিয়েছে।

বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের পরিচালক (লাইসেন্সিং) এমএ তালেব হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্ণিত অবস্থায় পিবিটিএল (সিটিসেল) এর গ্রাহকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিকল্প সেবা/ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হলো।

বিটিআরসি’র সর্বশেষ জুন মাসের হিসেবে, দেশে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ১৩ লাখ ৭৬ হাজার; যার মধ্যে সিটিসেলের গ্রাহক মাত্র ৭ লাখ ২ হাজার।

ক্রমাগত গ্রাহক কমতে থাকায় বড় ধরনের সঙ্কটে পড়া বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র সিডিএমএ মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ জানিয়েছেন, এই কোম্পানিটির কার্যক্রম যেকোনো সময় বন্ধ করতে পারেন।

বিটিআরসির হিসেবে, গত জুন মাস শেষ নাগাদ এই অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৭ লাখ; যা বাংলাদেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের এক শতাংশেরও কম।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ রোববার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সিটিসেলের কাছে আমাদের পাওনা রয়েছে প্রায় ৪৭৭ কোটি টাকা। বারবার তাগিদ দেয়া হলেও তারা এ পাওনা মেটানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী পাওনা না দেয়ায় যেকোনো সময় আমরা সিটিসেল বন্ধ করে দিতে পারি। বিটিআরসি যেকোনো সময় এর তরঙ্গ বাতিল এবং অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।