Batman VS Superman – Dawn of Justice (2016) আল্টিমেট এডিশন রিভিউ :- A Tribute To ‘জ্যাক স্নাইডার’ & Middle Finger To ‘ওয়ার্নার ব্রাদার্স’… !!!

মুভি রিভিউ July 28, 2016 2,128
Batman VS Superman – Dawn of Justice (2016) আল্টিমেট এডিশন রিভিউ :- A Tribute To ‘জ্যাক স্নাইডার’ & Middle Finger To ‘ওয়ার্নার ব্রাদার্স’… !!!

২০১৬ সালের সব থেকে বিতর্কিত মুভি ‘ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যান-ডন অফ জাস্টিস’ মুভির আল্টিমেট এডিশন রিলিজ হয়েছে কিছুদিন আগে, যেখানে যোগ হয়েছে এক্সট্রা ৩০ মিনিট যা থিয়েটারে মুক্তি পাওয়া আড়াই ঘন্টার মুভিটিকে করেছে ৩ ঘন্টা। এ মুভিটির রিলিজের পর উক্ত আড়াই ঘন্টার থিয়েটার কাট সারা বিশ্বের দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নেগেটিভ রিভিউ লাভ করে যা ইফেক্ট ফেলে মুভিটির বক্স অফিস আয়েও। মুভিটি প্রথম উইকেন্ডে ভাল ব্যবসা করলেও দ্বিতীয় উইকেন্ডে এসে ঐতিহাসিক ড্রপ খায় যা পরবর্তীতে আর রিকোভার করা সম্ভব হয়ে ওঠে না ফলে বিলিয়ন ডলারের প্রত্যাশা থাকা ২৫০ মিলিয়ন বাজেটের এ মুভিটির সারা বিশ্বে টোটাল আয় দাঁড়ায় ৮৭২ মিলিয়ন যা বেশ মুনাফাজনক হলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবসা না করার কারণে একে বিবেচনা করা হয় ‘Box Office Disappointment’ হিসেবে। প্রথম দিকে মুভিটির সেই আড়াই ঘন্টার থিয়েটার কাট দেখে অন্যান্য দর্শক ও সমালোচকদের মত আমিও তুমুল সমালোচনা করে মুভিটির নানান ভুল ত্রুটি উল্লেখ করে পোস্ট লিখেছিলাম, অবশেষে কাল মুভিটির ৩ ঘন্টার আল্টিমেট এডিশনটা দেখার পর এবার কিছু কথা না লিখলেই নয়…




















আড়াই ঘন্টার থিয়েটার কাটের প্রতি একটি অন্যতম অভিযোগ ছিল যে এ মুভিতে কোন গল্প নেই। শুধুই দুই সুপারহিরোর লড়াই ও পরবর্তীতে তাদের একত্রিত হয়ে মূল ভিলেনকে ধোলাই, সেই সাথে মুভিতে গল্প যা আছে তা খুবই অগোছালো, স্লো, ঠিক মত সাজানো নয় ও প্রচুর প্রশ্ন ও প্লটহোলে ভরপুর এ ছাড়াও ‘মার্থা’ বিতর্ক তো আছেই। অতঃপর ৩ ঘন্টার আল্টিমেট এডিশনটি দেখার পর এখনকার মতামত, এর থেকে ভাল গল্প আর হতেই পারে না। গল্পটি অনেক সুন্দর করে সাজানো ও গল্পের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেয়া হয়েছে। অনেক ছোট ছোট দৃশ্যের সুঁক্ষ সুঁক্ষ বিষয় ঐ আড়াই ঘন্টায় বাদ দেয়া হয়েছিল যার ফলে গোটা মুভিটির আবেদনই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ও তৈরী করেছিল ব্যাপক প্লটহোল। আল্টিমেট এডিশনের এক্সট্রা দৃশ্য গুলোতে অনেক বেশী কিছু ছোট ছোট নান্দনিক ও ইমোশোনাল দৃশ্য আছে যা মুভিটির চরিত্র গুলোর ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট ও মুভির মেকিং কে করেছে অসাধারণ। মুভিতে ‘ব্যাটম্যান’ ও ‘সুপারম্যান’ এর চরিত্রের গভিরতা ও ইমোশনগুলো আরো বেশী করে মজবুত করেছে ঐ এক্সট্রা দৃশ্য গুলি। প্রথমের ঐ আড়াই ঘন্টার ভার্সনে ‘সুপারম্যান’ এর বলতে গেলে কিছুই ছিল না, কিন্তু আল্টিমেট এডিশনের এক্সট্রা দৃশ্য গুলোতে ‘সুপারম্যান’কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে সব থেকে বেশী। ‘সুপারম্যান’কে ফাঁসানোর জন্য ‘লেক্স লুথার’ এর করা চক্রান্ত, ‘সুপারম্যান’ এর অসহায়ত্ব ও ‘সুপারম্যান’ এর প্রতি ‘ব্রুস ওয়েইন’ এর রাগের মূল কারণ সব কিছুই খোলাশা করা হয়েছে এই আল্টিমেট এডিশনে, সেই সাথে মায়ের প্রতি ‘ব্রুস’ ও ‘ক্লার্ক’ এর যে অব্যক্ত ভালবাসা তা প্রাণ দিয়েছে উক্ত ‘মার্থা’ দৃশ্যটিতে যা মোটেও অযৌক্তিক বলে মনে হয়নি।




















‘ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যান-ডন অফ জাস্টিস’ মুভির মূল প্রাণ নিঃসন্দেহে ‘ব্যাটম্যান’ বা ‘ব্রুস ওয়েইন’। মুভির একটি অন্যতম প্রধাণ অভিযোগ ছিল অরিজিন ছাড়া শূন্য থেকে আমদানী করে ‘ব্যাটম্যান’কে দেখানো। আমিও বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। কিন্তু আল্টিমেট এডিশনটি দেখার পর এখন মনে হচ্ছে ‘ব্যাটম্যান’কে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এ মুভিতে, বাবা মায়ের হত্যার দৃশ্য, ছোট্ট ব্রুস এর প্রতিকীরূপে ‘ব্যাটম্যান’ হয়ে ওঠা সব কিছু দ্বারা এর থেকে ‘ব্যাটম্যান’ এর বেস্ট ইন্ট্রোডাকশন আর কিছুই হতে পারে না। আসলে আড়াই ঘন্টার থিয়েটার ভার্সনে এত অল্প সময়ে এত গুলোর চরিত্রের ভিড়ে গোঁজামিল করে বানানো অরিজিন ছাড়া ‘ব্যাটম্যান’ মোটেই মন ভরাতে পারেনি আমার। কিন্তু এই ৩ ঘন্টার মুভিতে অন্যান্য চরিত্রের সাথে সাথে ‘ব্রুস ওয়েইন’কে ঠিক যেভাবে ডেভেলপ করা হয়েছে তা ছাড়িয়ে গেছে ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা-সিভিল ওয়ার’ এর অরিজিন ছাড়া ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’কেও। ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ এর থেকেও বেস্ট ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট ছিল এই ৩ ঘন্টার ভার্সনটিতে ‘ব্যাটম্যান’ এর। অরিজিন ছাড়া ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’কে দেখে যেমন মনে হয়েছিল যে এই চরিত্রটি আমার যুগ যুগ ধরে চেনা, তেমনি এই আল্টিমেট এডিশনের ‘ব্যাটম্যান’কে দেখে এখন আমি ‘ক্রিস্টোফার নোলান’ এর ‘ব্যাটম্যান’কেও ভুলে গেছি। তবে, একটি কথা না বললেই নয় এ মুভিতে ‘ব্যাটম্যান’কে যতই পারফেক্টরুপে পরিচয় করানো হোক না কেন, আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি, ‘বেন অ্যাফ্লেক’ এর ‘ব্যাটম্যান’ অবশ্যই একটি অরিজিন স্টোরীর সলো মুভি ডিজার্ভ করে যা তৈরী করা উচিত ছিল ‘ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যান’ মুভিটির আগে। ‘সুপারম্যান’ এর অরিজিন স্টোরী দিয়ে ‘ম্যান অফ স্টিল’ বানিয়ে যদি ‘সুপারম্যান’ এর পরিপূর্ণ ভাবে পুনরায় জন্ম দেয়া হয় তবে ‘ব্যাটম্যান’ এর ক্ষেত্রে কেন এই অবহেলা ? এটা মানতে পারলাম না ও কখনোই মানতে পারবোও না এবং ‘বেন অ্যাফ্লেক’ এর অরিজিন ছাড়া ‘ব্যাটম্যান’ দেখার এই আফসোসটা আজীবন রয়েই যাবে।




ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যান-ডন অফ জাস্টিস’ মুভিটির সব থেকে প্রধাণ অভিযোগটি ছিল ‘ব্রুস ওয়েইন’ এর ৩টি স্বপ্নের দৃশ্য যা সাধারণ পাবলিক যারা কমিক পড়ে না, তাদের মাথার উপর দিয়ে গেছে ও শুধু মাত্র কমিক ফ্যানেরাই এঞ্জয় করেছে। আমি মনে করি, যে মুভিটি দিয়ে অরিজিন ও সলো মুভি ছাড়াই ডাইরেক্ট শুরু হয়ে যাওয়া ‘জাস্টিস লিগ’ মুভির বেজ তৈরী হলো সেই মুভিতেই এত জলদি ‘ম্যান ব্যাট’, ‘ডার্ক সেইড’, ও ‘ইনজাস্টিস’ এর মত এত বড় ক্রিটিক্যাল থিমের সংকেত দেয়াটা ছিল নির্মাতাদের সব থেকে বড় ভুল আর তার থেকেও বড় ভুল হচ্ছে ঐ সংকেতপুর্ণ ৩টি দৃশ্য এ মুভির থিয়েটার কাটে যোগ করা। এই থিম গুলো নিয়ে কবে মুভি বানানো হবে বা আদৌও মুভি বানানো হবে কিনা তার কোনই নিশ্চয়তা নেই অথচ এই ৩টি থিমের কারণেই ঐ আড়াই ঘন্টার থিয়েটার ভার্সন তৈরী করেছে এক গাদা কনফিউশন। মুভির রান টাইম অল্প হওয়ায় ননকমিকরিডার দর্শকেরা ঐ দৃশ্য গুলোকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে ভেবে নিয়ে মুভির গল্পের সাথে একটুও মেলাতে পারেনি, যার কারণে না বোঝার কারণে দৃশ্য গুলো তাদের মাথায় চেপে বসেছে ও তারা হয়েছে হতাশ ও বিরক্ত কিন্তু আল্টিমেট এডিশনের ৩ ঘন্টার রান টাইমে ঐ ৩টি দৃশ্য খুব একটা ইফেক্ট ফেলেনি। আল্টিমেট এডিশনে ননকমিকরিডার দর্শকেরা খুব সহজেই ঐ দৃশ্য গুলো না বুঝলেও সেগুলো পাশ কাটিয়ে মুভির বাকি গল্পে মনোযোগ দিয়ে মুভিটি এঞ্জয় করতে পারবে। কারণ ৩ ঘন্টার বিশাল পরিধীর আল্টিমেট এডিশনে ঐ ৩টি দৃশ্য এতই নগণ্য যে মুভি শেষ হবার পর ওগুলো কারো মনে থাকবে কিনা সন্দেহ। তাই ঐ ৩টি দৃশ্য আল্টিমেট এডিশনের জন্যই ঠিক আছে কিন্তু থিয়েটার কাটের জন্য চরম অনুপযোগী। কথায় আছে যে চাঁদেরও কলংক থাকে। ‘ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যান’ এর আল্টিমেট এডিশন সকল অভিযোগ ও সমালোচনা ধুয়ে দিলেও একটি কলংক মুছতে পারেনি, আর তা হলো ‘জেসি আইজেনবার্গ’ এর ‘লেক্স লুথার’। এই অভিনেতাটি মুভির আড়াই ঘন্টার থিয়েটার কাট ভার্সনে গোটা মুভিতে ‘শাহরুখ খান’ এর নকল করে যে পরিমাণ বিরক্তির সৃষ্টি করেছিল, আল্টিমেট এডিশনে তার থেকেও বেশী পরিমাণ বিরক্তির জন্ম দিয়েছে মুভির পরিধী ৩ ঘন্টা হওয়ায় বেশী সময় ধরে সে পর্দায় ছিল বলে।




















‘ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যান-ডন অফ জাস্টিস’ মুভির আড়াই ঘন্টার থিয়েটার কাট ভার্সনের জন্য সমালোচক ও দর্শকদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে গালি গালাজ শুনতে হয়েছে পরিচালক ‘জ্যাক স্নাইডার’কে। কিন্তু এখন ৩ ঘন্টার আল্টিমেট এডিশন দেখার পর তারাই ‘জ্যাক স্নাইডার’কে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিতে প্রস্তুত। আমার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। এখন আমরা জানি, ‘জ্যাক’ থিয়েটারে ৩ ঘন্টার মুভিটিই চালাতে চেয়েছিল এমনকি দর্শকদের সুবিধার জন্য ‘জাস্টিস লিগ’ এর হিন্টস হিসেবে ‘মার্ভেল’ এর মত পোস্ট ক্রেডিট সিন হিসেবে ‘স্টিফেন উলফ’ এর আগমনী সিনটি মুভিতে দিতে চেয়েছিল কিন্তু তার কোন কিছুই সে করতে পারেনি আর এর পিছনে মূলত যার হাত আছে সে হচ্ছে ‘ওয়ার্নার ব্রাদার্স’। একমাত্র ‘ওয়ার্নার ব্রাদার্স’ এর মাতব্বরী ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ‘জ্যাক স্নাইডার’ এর অসাধারণ নির্মাণে যে মুভিটি হতে পারতো সর্ব কালের সেরা সুপারহিরো মুভি, তার আজ ‘রোটেন টমেটো’, ‘IMDb’ ও বক্স অফিসে মুখ দেখাবার অবস্থা নেই। ‘জ্যাক স্নাইডার’ বরাবরই আমার খুবই প্রিয় একজন পরিচালক। তার ‘ম্যান অফ স্টিল’ দেখে আমি ‘সুপারম্যান’ এর প্রেমে পড়েছিলাম, এত নিখুঁত ভাবে ‘সুপারম্যান’কে পর্দায় উপস্থাপন করতে দেখে। অতঃপর ‘ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যান’ এর থিয়েটার কাট দেখে এসে অবাক হয়ে ভেবেছিলাম এই কি সেই আমার প্রিয় ‘জ্যাক স্নাইডার’ এর সৃষ্টি ? প্রচন্ড রাগ ও ক্ষোভ হয়েছিল আমার তার প্রতি। অবশেষে আল্টিমেট এডিশনটা দেখে শেষ করে একটি তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে মনে মনে বললাম, ‘That’s My Zack Snyder, Hat’s Off’। থিয়েটার কাট দেখার পর আমার ‘জাস্টিস লিগ’ নিয়ে কোন প্রত্যাশাই ছিল না, কিন্তু এখন আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি ‘জ্যাক স্নাইডার’ এর হাতে নির্মিত ‘জাস্টিস লিগ’ দেখার জন্য। ‘জ্যাক স্নাইডার’ যতই ভাংচুর করুক না কেন, এই ভাংচুরের ফাঁকেই তার স্টোরী টেলিং অ্যাবিলিটি মারাত্বক। ‘ব্যাটম্যান’কে যেভাবে কোন অরিজিন মুভি ছাড়াই সে প্রতিষ্টিত করে দিয়েছে আর ‘সুপারম্যান’কে তো সে ‘ম্যান অফ স্টিল’ দ্বারা লেজেন্ডে পরিণত করেছে তাতে তার উপর আমি চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে পারি। ‘ওয়ার্নার ব্রাদার্স’ জীবনে কোন দিন কোন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আমার মনে হয় না শুধু মাত্র একটি ছাড়া, ‘ডিসি এক্সটেনডেড সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স’ এর বেজ তৈরীর দ্বায়িত্বটি ‘জ্যাক স্নাইডার’ এর হাতে দিয়ে।


সব শেষে, আল্টিমেট এডিশনটি দেখার পর এখন আফসোসের কোন সীমা নাই এই ভেবে যে এই ভার্সনটি যদি থিয়েটারে চালানো হত তাহলে আজ আর এই মুভির কপালে এই দুর্দশা হত না। ছোট বেলায় একটি প্রবাদ সবাই কম বেশী পড়েছেন, মনে আছে ? “গ্রন্থগত বিদ্যা, পরহস্তে ধন। নহে বিদ্যা নহে ধন, হলে প্রয়োজন”। ‘মার্ভেল’ ও ‘ডিসি’র যত গুলো সুপারহিরোর রাইট আছে অন্যান্য প্রোডাকশনের হাতে, তারা সবাই সেই সব চরিত্রের বারোটা বাজিয়েছে। যেমন ‘টুয়েন্টিন্থ সেঞ্চুরী ফক্স’ বলাৎকার করেছে ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ এর এবং জগাখিচুড়ী পাকিয়েছে ‘এক্স মেন’ টাইম লাইনের। ‘সনি’ তো ‘স্পাইডারম্যান’ এর গুষ্টি উদ্ধার করে এখন আর উপায় না পেয়ে হাত মিলিয়েছে ‘মার্ভেল’ এর সাথে আর ‘ওয়ার্নার ব্রাদারস’ ‘ব্যাটম্যান’ ও ‘সুপারম্যান’কে নিয়ে অতিতে যে সব কাহিনী করেছে তাতে ‘ব্যাটম্যান’, ‘সুপারম্যান’ যদি বাস্তবে থাকতো তবে এত দিনে ওরা স্বেচ্ছায় গঙ্গায় ডুবে মরতো। এই সব প্রোডাকশন গুলো জানে শুধু নিজেরা টাকা কামাতে। দর্শকদের ইমোশন ও আবেগের প্রতি এদের কোনই পরোয়া নেই। ‘ফ্যান্টাস্টিস ফোর’ (২০১৫) বানানোর সময় ‘ফক্স’ ঠিক একই ঝামেলা করেছিল পরিচালক ‘জশ ট্র্যাঙ্ক’ এর সাথে। ‘জশ’ এর বানানো মুভি তাদের পছন্দ হয়নি তাই তারা পরে ‘জশ’কে সরিয়ে রিশট করে অন্য ভাবে ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ শেষ করে, যার পরিণতি মুভি রিলিজের পর সবাই খুব ভাল করেই জানে। পরে ‘জশ ট্র্যাঙ্ক’ দুঃখ করে তার টুইটারে এ ব্যাপারে লিখেছিল যে, তার বানানো ভার্সনটি যদি রিলিজ করা হত তবে নিঃসন্দেহে ফ্যান্টাস্টিক রিভিউ আসতো। ‘জ্যাক স্নাইডার’ এর সাথেও হয়েছে ঠিক এমনই। এখন বুঝি ‘মার্ভেল’ কিভাবে টানা ৯ বছরে ১৪টি মুভি বানিয়ে ‘মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স’ তৈরী করে ফেললো, যার সব গুলো মুভিই ক্রিটিক্যালি ও কমার্শিয়ালি সফল। কারণ, ‘মার্ভেল’ নিজেই কমিক, নিজেই প্রোডাকশন। ২০০৮ সালের আগে ‘আয়রন ম্যান’ হলিউডের সব প্রোডাকশনের দরজায় লাথি গুতা খেয়ে বেড়াচ্ছিল, অবশেষে ‘মার্ভেল’ অন্যদের উপর ভরসা না করে নিজেই প্রোডাকশন শুরু করে ‘আয়রন ম্যান’ নির্মাণ করে, তারপর থেকে ‘মার্ভেল’কে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি কারণ ‘মার্ভেল’ এর প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসে আছে এমন একজন মানুষ যে জানে কিভাবে বিজনেস ও পাবলিক সেন্টিমেন্ট এক সাথে হ্যান্ডেল করতে হয়, কিভাবে সমালোচক ও বক্স অফিস দুটিরই মন জয় করতে হয়, সেই মানুষটি হলেন ‘কেভিন ফেইগ’। অবশেষে আশার কথা হচ্ছে ২০১৮ সালের ফিউচার ‘ব্যাটম্যান’ সলো মুভির ক্রিয়েটিভ কন্ট্রল, এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার ও পরিচালনার দ্বায়িত্ব অন্তত ‘বেন অ্যাফ্লেক’কে দেয়া হয়েছে ও ‘জাস্টিস লিগ’ এর দ্বায়িত্বে তো ‘জ্যাক স্নাইডার’ আছেই সেই সাথে বিখ্যাত আমেরিকান কমিকবুক ও টেলিভিশন রাইটার এবং ফিল্ম ও টেলিভিশন প্রডিউসার ‘জেফ জোন্স’কেও দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে গোটা ‘ডিসি এক্সটেনডেড সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স’ এর। এখন শুধু একটাই প্রার্থনা করবো ‘ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যান’ এর মত ভুল যেন ‘জাস্টিস লিগ’ মুভিতে রিপিট করা না হয় আর এই মুভি থেকে যদি ‘ওয়ার্নার ব্রাদার্স’ এর শিক্ষা না হয় তাহলে চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি, ‘ডিসি এক্সটেন্ডেড সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স’ এর কপালে ভবিষ্যতে অশেষ দুর্গতি আছে… !!!