শিকারি সম্ভবত শাকিবের টার্নিং পয়েন্ট সিনেমা হতে যাচ্ছে

মুভি রিভিউ July 19, 2016 2,103
শিকারি সম্ভবত শাকিবের টার্নিং পয়েন্ট সিনেমা হতে যাচ্ছে

নতুন কোন ভাল সিনেমা আসলে আমরা ভাই বেরাদাররা সবসময়ই সিনেমাহলে গিয়ে সেটি দেখতে চেষ্টা করি। তার উপরে শিকারি সিনেমা তার ট্রেলার আর সঙ্গীতায়োজন দিয়ে ইউটিউব কাঁপিয়েছে তাই মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম যে ইদে মুক্তি পেলে শিকারি দেখতে যাব। আজ মুক্তি পাবার ৭দিন বাদেও হলে গিয়ে টিকিটের ব্যাপক চাহিদা আর হল ভর্তি দর্শকদের সাথে শিকারি সিনেমা দেখার স্বাদই ছিল অন্যরকম।


প্রথমেই বলতে চাই শিকারির কাস্টিং নিয়ে। সব্যসাচী চক্রবর্তী যেটিতে অভিনয় করেন সিনেমাপ্রেমীদের কাছে সেটির গুরুত্বই অন্যরকম হয়ে যায়। শিকারিতেও তাই হলো। রুদ্র রয় চরিত্রে সব্যসাচী বরাবরের মত চমৎকার অভিনয় করেছেন।



সুলতান ওরফে শাকিব খানকে নিয়ে আগেই বলেছি। শিকারি সম্ভবত শাকিবের টার্নিং পয়েন্ট সিনেমা হতে যাচ্ছে। যেমন ডেশিং লুক তেমন তার হেলেদুলে নাচ আর অভিব্যক্তি সর্বোপরি শাকিবের অভিনয় ছিল চমৎকার। শিকারিকে শাকিব খানের এককভাবে সবচেয়ে সেরা সিনেমা বলবো। এত স্মার্ট নায়ক আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আছে ভাবতেই ভাল লাগছে। যদিও তিনি সব সময় স্মার্ট থাকতে চান কিনা দ্বিধায় পড়ে যাই তারপরেও ভাল লেগেছে যে শিকারিতে তিনি তার লুকে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছেন।

শিকারি সম্ভবত শাকিবের টার্নিং পয়েন্ট সিনেমা হতে যাচ্ছে। যেমন ডেশিং লুক তেমন তার হেলেদুলে নাচ আর অভিব্যক্তি সর্বোপরি শাকিবের অভিনয় ছিল চমৎকার। শিকারিকে শাকিব খানের এককভাবে সবচেয়ে সেরা সিনেমা বলবো।

সিনেমাটি নায়ক প্রধান তাই নায়িকা শ্রাবন্তির কাজ করার সুযোগ হয়ত কম ছিল কিন্তু যতটুকো ছিল ততটুকো মিষ্টি মেয়ে শ্রাবন্তির অভিব্যক্তি দেখে কে না প্রেমে পড়বে!


শাকিবের সহকারী হিসেবে অভিনেতা খরাজ মূখার্জির হাস্যরস ভাল ছিল। তবে কিছু ক্ষেত্রে আমার কাছে ছ্যাবলামো লেগেছে। এটিতে আমি পরিচালককে দোষ দিব।


শিকারির গান নিয়ে আর নতুন করে কি বলার আছে! রিয়াজ-পূর্ণিমা জুটির “মনের মাঝে তুমি” সিনেমার পর এই প্রথম হয়ত এক সিনেমাতে সবগুলো গানই এত ভাল লেগেছে। বিশেষ করে “ওঠ ছোরি তোর বিয়ে হবে” তে শাকিব শ্রাবন্তির সে কি নাচ। গানটা আমায় মুগ্ধ করেছে। আর হালের ক্রেজ অরিজিতের গান তো আছেই। সিনেমাতে রবীন্দ্রগীতি নিয়ে আলোচন এবং ব্যবহার খুব ভাল লেগেছে।


শিকারির গল্প খুব সম্ভবত অন্য একটি বিদেশী সিনেমা থেকে নেওয়া হয়েছে । আমরা এমন গল্পের মৌলিক সিনেমা চাই। তবে শেষ দিকে শিকারি দেখে বিরক্তই হয়েছি। টিপিক্যাল বাংলা কমার্শিয়ালের মত “তোর বাবার প্রতিশোধ নে” , “নায়কের বাবাকে নির্জন স্থানে নিয়ে গেলে হঠাৎ করে নায়কের উদয়” , ” একেবারে শেষ দৃশ্যে গুন্ডার গুলি করা এবং সেটি নায়কের বুকে অথবা পিঠে লাগা” এইসব চিরাচরিত দৃশ্য না রাখলে শিকারি সিনেমা হয়ত শাকিবের সম্পত্তি হতে পারতো বলে মনে করি।


যাই হোক। বড় পর্দায় চমৎকার একটি বাংলা সিনেমা দেখতে পেরেছি এটিই বড় কথা।