সদ্যোজাত শিশুদের সম্পর্কে আজব তথ্য!

জানা অজানা July 19, 2016 1,747
সদ্যোজাত শিশুদের সম্পর্কে আজব তথ্য!

পুঁচকেগুলো পৃথিবীতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সবার মন জুড়ে বসে যায়। বাবা-মা থেকে আত্মীয়-স্বজন, মায় পাড়াপ্রতিবেশীদেরও চোখের মণি হয়ে ওঠে নিমেষে।


তাদের ছোট্ট শরীর, ছোট্ট হাত-পা আর নিত্যদিনের নানান মজার কাণ্ডকারখানা সব মিলিয়ে পরিবারের হাই ভোল্টেজ সেলেব তারা। কিন্তু তাদের সম্বন্ধে এমন আজব আর এমন মজার তথ্যগুলো আমরা ক’জন জানি?


সিউডো মেনস্ট্রুয়েশনের মতোই সদ্যোজাতদের ক্ষেত্রে ল্যাকটেশনও খুবই সাধারণ একটি অবস্থা। ইস্ট্রোজেন হরমোনের কারণেই সদ্যোজাত শিশুদের ছোট্ট নিপল তৈরি হয় এবং অল্প দুগ্ধক্ষরণও হয়।


প্রাচীনকালে ইউরোপের কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে ধারণা ছিল যে শিশুদের ল্যাকটেশন হয় তাদের মধ্যে কোনও ম্যাজিক্যাল পাওয়ার থাকে। তবে সব শিশুই যে ল্যাকটেট করবে তার কোনও মানে নেই।


শুনলে অবাক হবেন গর্ভাবস্থায় কিন্তু নিজেদের প্রস্রাব নিজেরাই খেয়ে নেয় শিশুরা। মায়ের গর্ভে থাকাকালীন অবস্থা থেকেই রেচন পদার্থ ত্যাগ করতে থাকে গর্ভস্থ শিশু।

এই প্রস্রাব অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের সঙ্গে মিশে যায়।


গর্ভাবস্থার একেবারে শেষ পর্যায়ে ভ্রূণ প্রতিদিন অন্তত এক লিটার করে এই অ্যামনিওটিক ফ্লুইড খায়।


শুধু জন্মের পরেই নয়, গর্ভের মধ্যেই ভ্রূণ স্বাদ অনুভব করতে পারে। আর এটা পুরোটাই নির্ভর করে মায়ের স্বাদের ওপর। যদি গর্ভাবস্থায় কোনও মা রসুন জাতীয় খাবার বেশি খান তাহলে অ্যামনিওটিক ফ্লুইডে সেই খাবারের স্বাদ পায় গর্ভস্থ সন্তান। দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ সময় পরে শিশু সেই খাবারের দিকে আকৃষ্ট হয়।


বেশিরভাগ মানুষই ভেবে থাকেন, বাচ্চারা কোনও কিছুর স্বাদ বুঝতে পারে না। কিন্তু শুনলে চমকে যাবেন আসলে প্রাপ্ত বয়স্কদের চেয়েও বেশি স্বাদ কোরক থাকে সদ্যোজাত শিশুদের মুখে। তবে চার মাস বয়সের আগে শিশু নোনতা স্বাদ বুঝতে পারে না।


জন্মানোর পরেই কাঁদে বাচ্চারা। কিন্তু জন্মের পর অন্তত ৩-১২ সপ্তাহ পর্যন্ত কাঁদার সময় চোখ দিয়ে জল পড়ে না শিশুদের। কারণ এই সময় শিশুদের টিয়ার ডাক্টটি পরিণত হয় না।


বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি। সদ্যোজাত শিশুর হাঁটুর আবরণ থাকে না। এই সময় শিশুর পায়ে এক্স-রে করা হলেও হাঁটুর হাড় স্পষ্ট করে খুঁজে পাওয়া যায় না। শিশুর দেহের বেশিরভাগ হাড়ই প্রথমে কার্টিলেজ অবস্থায় থাকে।


তারপর ধীরে ধীরে তা শক্ত হয়ে হাড়ে পরিণত হয়। এই কার্টিলেজ এক্স রে-তে ধরা পরে না।


ছোট বলে কিন্তু মোটেই তুচ্ছ নয়। জানেন কি একজন প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে বেশি হাড় থাকে শিশুর দেহে। ৩০০টি হাড় নিয়ে জন্মায় একজন শিশু। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় পরিণত হয়ে ২০৬-এ গিয়ে দাঁড়ায়। আসলে হাড়ের সংখ্যা একই থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়গুলো একে অপরের সঙ্গে জুড়ে যায়।


জানেন কী জীবনের প্রথম সাত দিনের মধ্যেই সদ্যোজাত কন্যাসন্তানের ১-৩ বার মেনস্ট্রুয়েশন হয়। যদিও এটি সিউডো বা ছদ্ম মেনস্ট্রুয়েশন। আসলে মায়ের গর্ভে থাকার সময় শিশুর শরীরেও ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ অত্যন্ত বেড়ে যায়।


এরপর যখন মায়ের শরীর থেকে শিশু আলাদা হয় তখন দ্রুতহারে এই ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ কমতে থাকে। এই সময়ই সদ্যোজাত কন্যা সন্তানের শরীর থেকে অল্প রক্তক্ষরণ হয়।