টাইটানিক যদি হতো বাংলা সিনেমা!

মজার সবকিছু July 17, 2016 2,638
টাইটানিক যদি হতো বাংলা সিনেমা!

হাডুডু খেলে ‘টাইটানিক’ জাহাজের টিকিট জিতেছে জ্যাক।


টিকিট জেতার আনন্দে জ্যাক বাড়ির উদ্দেশে দৌড় দিল। বাড়িতে পৌঁছেই ডাকাডাকি শুরু করল, ‘মা, ও মা, দেখে যাও! তোমার ছেলে আজ টাইটানিকের টিকিট জিতেছে!’

ছেলের ডাক শুনে মা উঠোনে বের হয়ে এলেন। ছেলে জ্যাককে বুকে টেনে নিলেন তিনি। অশ্রুসিক্ত মা বললেন, ‘তুই আমার গর্ব! আজ তোর বাবা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন।’

তারপর ঘরে ঢুকে দেয়ালে টাঙানো জ্যাকের বাবার ছবির সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন মা। বললেন, ‘ওগো, তুমি দেখতে পাচ্ছ? আজ তোমার ছেলে মস্ত বড় জাহাজ টাইটানিকের টিকিট জিতেছে। বলো, তুমি খুব খুশি হয়েছ, তাই না?’

জ্যাক আবেগ সামলে নিয়ে বলল, ‘মা, আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। টাইটানিক ছাড়ার সময় হয়ে গেছে। দোয়া কোরো মা!’

মা তখন জ্যাকের হাতে একটা তাবিজ বেঁধে দিয়ে বললেন, ‘এটাই তোকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে।’

তারপর জ্যাক মায়ের দোয়া নিয়ে ব্যাগ-ব্যাগেজ হাতে বেরিয়ে পড়ল।


রাস্তায় এসেই ঘড়ি দেখল জ্যাক। টাইটানিকের যাত্রা শুরু হতে আর মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি।

জ্যাক একটা রিকশা ডাকল, ‘এই মামা, টাইটানিকে যাবেন?’

রিকশাওয়ালা অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে বলল, ‘না, যামু না।’


কী আর করা। টাইটানিকে পৌঁছাতেই হবে! জ্যাক দৌড় শুরু করল। দৌড়াতে দৌড়াতেই টাইটানিকের কাছে পৌঁছে গেল। কিন্তু তাড়াতাড়ি টাইটানিকে ঢুকতে গিয়ে জ্যাকের ধাক্কা লাগল এক সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে। দুজনের ব্যাগ-ব্যাগেজই জাহাজের ফ্লোরে পড়ে গেল। মেয়েটা রেগে বলল, ‘এই যে মিস্টার, দেখে চলতে পারেন না?’

জ্যাক বলল, ‘দুঃখিত মেমসাহেব। আমি জ্যাক। আপনি? একই জাহাজে থাকব, পরিচয় থাকা ভালো।’

উত্তরে মেয়েটা বলল, ‘আমার নাম রোজ।’

তারপর দুজন একসঙ্গে ফ্লোর থেকে ব্যাগ তুলতে গিয়ে কপালে ধাক্কা খেল।

সঙ্গে সঙ্গে দুজনের চোখে চোখ পড়ল। চোখে চোখ পড়তেই দুজনার কী যেন হয়ে গেল। সেকেন্ড যায়, মিনিট যায়, দুজন অপলক চেয়ে থাকে! হঠাৎ পেছন থেকে রোজের মা রোজকে ডাকলেন সংবিত ফিরে পেয়ে রোজ চলে গেল। আর রোজের গমনপথের দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকল জ্যাক। জ্যাক মনে মনে গাইল, প্রেমে পড়েছে, ও মনটাআ প্রেমে পড়েছে! অচেনা এক মেয়ে এসে পাগোওল করেছে! আহা!




দুই.

রোজের মনে খুব দুঃখ। রোজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার বিয়ে ঠিক করা হয়েছে এক ধনীর লম্পট ছেলের সঙ্গে। সেই লম্পটের পরিবারের সঙ্গেই রোজের পরিবার এই টাইটানিকে ভ্রমণ করতে এসেছে। লম্পটটা তার সঙ্গে ভাব জমাতে চেয়েছিল। কিন্তু রোজ বলে দিয়েছে, ‘লম্পট, শয়তান, তুই আমার দেহ পাবি, কিন্তু মন পাবি না!’

লম্পট ভিলেন ক্যাল তখন অট্টহাসি দিয়ে বলেছে, ‘আমি সেটাই তো চাই সুন্দরী!’


তাই রোজ মনের দুঃখে আÍহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিল। আত্মহত্যা করার জন্য রোজ জাহাজের শেষ মাথায় চলে গেল। পানিতে ঝাঁপ দিয়ে সে জীবন বিসর্জন দেবে। এদিকে জাহাজের ডেকে শুয়ে শুয়ে জ্যাক সিগারেট খাচ্ছিল আর রোজের কথা ভাবছিল। হঠাৎ তার হাত থেকে সিগারেটটা নিচে পড়ে গেল। জ্যাকের মনে উঁকি দিল অজানা আতঙ্ক--‘হাত থেকে সিগারেট পড়ে গেল কেন? সিগারেট পড়ে যাওয়াটা নিশ্চয় বিপদের সংকেত! কিন্তু কিসের বিপদ? আমার রোজের কিছু হয়নি তো?’

‘রোজ! আমার রোওজ!’ বলে চিৎকার করতে করতে জ্যাক ছুটল জাহাজের শেষ মাথায়।


সেখানে গিয়ে জ্যাক দেখল যে রোজ পানিতে ঝাঁপ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জ্যাক আবেগঘন কণ্ঠে বলল, ‘না রোজ, না! আমাকে ছেড়ে তুমি চলে যেয়ো না। ফিরে এসো, প্রিয়তমা!’

জাহাজের রেলিংয়ের অন্য পাশে দাঁড়িয়ে রোজ বলল, ‘না না নাআআআ! এ জীবন আমি রাখব না! আমি কেন বাঁচব? কেন কেন কেন? আর আপনি আমাকে তুমি করে বলছেন কেন? কেন?’

জ্যাক রেলিংয়ের কাছে এসে বলল, ‘তুমি আমার জন্য বাঁচবে... কারণ, আই লাভিউ রোজ!,

রোজের চোখে পানি চলে এল। অতি আবেগঘন কণ্ঠে রোজ এবার বলল, ‘তুমি সত্যি আমাকে ভালোবাসো?

জ্যাক বলল, ‘মেমসাহেব, আমি গরিব হতে পারি, কিন্তু মনটা খাঁটি। এই আকাশ সাক্ষী, বাতাস সাক্ষী, টাইটানিক সাক্ষী--রোজ, তুমি শুধু আমার।’

দুচোখে পানি নিয়ে রোজ বলল, ‘ও গো জ্যাক, আই লাভিউ ঠু!’


রেলিংয়ের দুই পাশ থেকেই দুজন একে অন্যকে জড়িয়ে ধরল! কিন্তু আবেগের আতিশয্যে স্লিপ করল রোজের পা! রোজ চিৎকার করে উঠল, ‘বাঁচাও! বাঁচাও!’

নায়ক জ্যাক তখন বীরপুরুষের মতো টেনে তুলল রোজকে।

জ্যাকের শক্তি-সাহস দেখে রোজ মনে মনে বলল, ‘পোলা তো নয়, এ তো আগুনেরই গোলা! উহ্! পোলা তো নয়, একখান আগুনেরই গোলা!


এদিকে রোজের চিৎকার শুনে লোকজন নিয়ে ছুটে এসেছে রোজের হবু স্বামী লম্পট ক্যাল। রোজের সঙ্গে জ্যাককে দেখে হুংকার ছাড়ল ক্যাল, ‘তুই কে ছোটলোক? বামন হয়ে চাঁদের দিকে হাত বাড়িয়েছিস! এত বড় সাহস! তোর ওই হাত আমি কেটে নিব।’


রোজ বলল, ‘না ক্যাল না। জ্যাকের কোনো দোষ নেই। ও আমার জীবন বাঁচিয়েছে। আমাকে টেনে তুলেছে।’

এটা শুনে ক্যাল কিছুটা শান্ত হলো। ক্যালের অ্যাসিস্ট্যান্ট বলল, তার মানে ছেলেটা নায়কের মতো কাজ করেছে। হুজুর, ছেলেটাকে কিছু টাকা দিয়ে দিলেই হয়! এ কথা শুনে ক্যাল পকেট থেকে টাকা বের করে জ্যাকের হাতে দিল।

কিন্তু জ্যাক টাকাগুলো ছুড়ে ফেলে বলল, ‘আমি গরিব হতে পারি, কিন্তু ছোটলোক না। মনে রাখবেন, টাকা দিয়ে ভালোবাসা কেনা যায় না! আমি রোজকে ভালোবাসি।’

ক্যাল বলল, ‘ভালোবাসা? হাহাহাহা! ছোটলোকের আবার ভালোবাসা! রোজ আমার হবু বউ। রোজ আমার। আর কোনো দিন রোজের আশপাশে দেখলে তোকে আমি গুলি করে মারব। এখনি মারতাম। কিন্তু বিয়ের আগে খুনখারাবি করতে চাইছি না। ঠিক বলছি না অ্যাসিস্ট্যান্ট?’

পাশে দাঁড়ানো অ্যাসিস্ট্যান্ট দাঁত বের করে সায় জানাল, ‘জি হুজুর, জি হুজুর!’




জ্যাক টান দিয়ে গায়ের শার্ট খুলে ফেলল। তারপর হাতে লাগানো তাবিজ দেখিয়ে বলল, ‘এই তাবিজ থাকতে তুই আমার কিচ্ছু করতে পারবি না শয়তান!’

ক্যাল আঙুল উঁচিয়ে শাসাল, ‘বিয়েটা হয়ে যাক, তারপর তোর সঙ্গে হিসাবটা মিটিয়ে নেব।’

এ কথা বলেই ক্যাল তার লোকজনসহ রোজকে টানতে টানতে ফার্স্ট ক্লাস কেবিনের দিকে চলে গেল। পেছন থেকে জ্যাক চিৎকার করল, ‘রোজের কাছ থেকে কেউ আমাকে আলাদা করতে পারবে না! ক্যা...অ্যাঁ...অ্যাঁ...ল!’

কিন্তু জাহাজের লোকজন এসে জ্যাককে ধরে ফেলল। দূর থেকে রোজের কান্নামিশ্রিত কণ্ঠ শোনা যাচ্ছিল, জ্যাআআক......

.

তিন.

রোজকে তার কেবিনে বন্দী করে রাখা হয়েছে। জ্যাকের কথা ভেবে কাঁদছিল রোজ। হঠাৎ রোজের কেবিনের দরজা খুলে গেল। ভেতরে ঢুকল ক্যাল। ক্যালের হাতে একটা জুয়েলারি বক্স। বক্সের ভেতর থেকে একটা ডায়মন্ডের নেকলেস বের করে ক্যাল বলল, ‘এটা তোমার জন্য রোজ। পছন্দ হয়েছে? জ্যাক তার সারা জীবন চাকরি করেও এই নেকলেস কিনে দিতে পারবে না তোমাকে! এটার দাম ১০ লাখ টাকা!’

রোজ বলল, ‘শয়তান, একটা ডায়মন্ডের নেকলেস দিয়ে তুই আমার ভালোবাসা পেতে চাইছিস? তোর সেই ইচ্ছা আমি কোনো দিনও পূরণ হতে দেব না শয়তান!’

ক্যাল ভিলেনি সুরে বলল, ‘সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে কীভাবে আঙুল বাঁকা করতে হয়, তা আমি খুব ভালো করেই জানি সুন্দরী!’

তারপর ক্যাল নোংরা হাসি দিয়ে রোজের দিকে এগোতে শুরু করল। রোজ কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে বলল, ‘আমার জ্যাক তোকে টুকরা টুকরা করে ফেলবে!’ বলেই সে জ্যাক বলে চিৎকার দিল!

প্রেমের অত্যধিক শক্তির জোরে রোজের চিৎকারধ্বনি দরজার ছোট্ট এক ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে গেল কেবিনের বাইরে! তারপর পৌঁছে গেল জ্যাকের কাছে! প্রতিধ্বনিত হতে থাকল বারবার।


মনের দুঃখে আবারও সিগারেট খাচ্ছিল জ্যাক। কীভাবে রোজকে উদ্ধার করা যায়, ভাবছিল। কিন্তু কোনো কূল-কিনারা পাচ্ছিল না। রোজের চিৎকার শুনে আবারও হাত থেকে সিগারেট পড়ে গেল। নিশ্চয় রোজের বিপদ!

দৌড় শুরু করার আগে জ্যাকও চিৎকার করল, ‘রোজ, আমি আসছি রোওজ!’

প্রেমের অত্যধিক শক্তির জোরে জ্যাকেরও চিৎকারধ্বনি দরজার ওই ছোট্ট ফাঁক দিয়ে পৌঁছে গেল রোজের কেবিনে। প্রতিধ্বনিত হতে থাকল বারবার। রোজ খুশিতে বলে উঠল, ‘আসছে, জ্যাক আসছে! ওকে কেউ আটকাতে পারবে না!’

ক্যালের মুখ দুশ্চিন্তায় ছেয়ে গেল। ক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টকে ডাকল, ‘জ্যাককে আটকাও!’



চার.

সব প্রতিবন্ধকতা ভেঙে রোজের কাছে ছুটে চলল জ্যাক। রোজের চিৎকারের প্রতিধ্বনি তখনো জ্যাকের কানে বাজছে। প্রতিধ্বনি শুনতে শুনতে এগিয়ে চলল সে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াল একটা তালাবদ্ধ কলাপসিবল গেট। জ্যাক কিছুটা পিছিয়ে গেল। তারপর তীব্রগতিতে ছুটে গিয়ে ধাক্কা মারল গেটে। কিন্তু না, তালা ভাঙল না! ওদিকে তখনো রোজের চিৎকারের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। হঠাৎ জ্যাক টান দিয়ে গায়ের শার্ট খুলে ফেলল। তারপর তাবিজটা হাতে নিয়ে গেটে ধাক্কা দিল, ‘ইয়াআআআলিইইই!’ সঙ্গে সঙ্গেই খুলে গেল তালা!


রোজের কেবিনের সামনে গিয়ে আবারও বাধার মুখে পড়ল জ্যাক। ক্যালের লোকজন পিস্তল তাক করে আছে জ্যাকের দিকে। জ্যাক তার তাবিজটা হাতের মুঠোয় ভালো করে আটকে নিল। তারপর বলল, ‘আজ তোকে কেউ বাঁচাতে পারবে না ক্যাঅ্যাঅ্যাল!’

এ কথা বলে বীরদর্পে রোজের কেবিনের দিকে এগিয়ে গেল জ্যাক। চারপাশ থেকে ক্যালের লোকজন গুলি ছুড়ল, কিন্তু একটা গুলিও জ্যাকের গায়ে লাগল না। কারণ, প্রেমের শক্তি অত্যধিক।

জ্যাকের একটা কিকেই রোজের কেবিনের দরজা ভেঙে গেল। জ্যাককে দেখে রোজ আনন্দে চিৎকার করল, ‘জ্যাক এসেছে, আমার জ্যাক এসেছে! ক্যাল, এবার মর তুই শয়তান!’


ক্যাল এগিয়ে গেল জ্যাককে মারতে। দুজনের বেশ ধস্তাধস্তি হলো। ধস্তাধস্তি করতে করতে দুজন কেবিনের শেষ প্রান্তে দেয়ালের কাছে পৌঁছে গেল। জ্যাক ক্যালকে দেয়ালের সঙ্গে চেপে ধরল। তারপর ক্যালের মুখ বরাবর একটা শত টন ওজনের ঘুষি মারল। কিন্তু চালাক ক্যাল সময়মতো মুখটা সরিয়ে নিল। আর ঘুষিটা গিয়ে পড়ল দেয়ালে।

প্রথমে দেয়াল কিছুটা কেঁপে উঠল। তারপর সব চুপ। কয়েক সেকেন্ড কোনো সাড়াশব্দ নেই। হঠাৎ দেয়ালে একটা ফাটল দেখা গেল এবং চারপাশ থেকে মানুষের কোলাহল, চিৎকার শোনা গেল, টাইটানিক ভেঙে পড়েছে! টাইটানিক ডুবে যাবে!

ক্যাল নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছিল না। হতভম্ব ক্যালকে রেখে রোজের হাত ধরে জ্যাক ছুটল কেবিনের বাইরে।





পাঁচ.

কিছুক্ষণের মধ্যেই টাইটানিক ডুবে গেল। রোজ আর জ্যাক একটা কাঠের টুকরা আঁকড়ে ধরে ভেসে থাকল। কিন্তু কাঠের টুকরাটা দুজনের ওজন সামাল দিতে পারছিল না। তখন জ্যাক বলল, ‘রোজ, তুমি কাঠের ওপরে উঠে বসো, আমি কাঠটা ধরে পানিতে ভেসে থাকছি।’

রোজ দ্বিমত পোষণ করল, ‘না জ্যাক, না। পানি খুব ঠান্ডা। একটু পরেই তুমি জমে যাবে...’

জ্যাক ধমকের সুরে বলল, ‘হু টোল্ড ইউ? কাঠের ওপর বসে থাকো।’

কিন্তু পানিতে নামার কিছুক্ষণ পরেই জ্যাক টের পেল যে রোজের কথাই সত্যি। জ্যাক কাঁপতে কাঁপতে বলল, ‘উহুহুহু, ইটস বেসম্ভব ঠান্ডা!’

রোজ আতঙ্কিত হয়ে বলল, ‘তাহলে এখন কী হবে জ্যাক? আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না।’


তখন জ্যাক তার হাতের মুঠোয় থাকা তাবিজটা দেখল। বলল, ‘কিচ্ছু হবে না। আমি তোমার সঙ্গে আছি।’

তারপর নায়ক জ্যাক সাঁতার কাটতে শুরু করল কাঠের টুকরাটা ধরে। বড় বড় ঢেউ আর ঠান্ডা পানি ভেদ করে রোজকে সঙ্গে নিয়ে জ্যাক পাড়ি দিল আটলান্টিক মহাসাগর! সুউচ্চ ঢেউ, শীতলতা, ক্ষুধা--সবকিছুই পরাজিত হলো নায়ক জ্যাকের কাছে!


সিনেমার শেষ দৃশ্য: নায়ক জ্যাক ও নায়িকা রোজ আটলান্টিকের তীর ধরে কোমর দুলিয়ে নাচছে! ব্যাকগ্রাউন্ডে গান বাজছে:


তুমি আমার আলু

আমি তোমার পটল!

আমাদের এই প্রেম

রবে ওগো অটল!

তুমি আমার রোজ

আমি তোমার জ্যাক!

আমাকে কোনো দিন

দিয়ো না গো ছ্যাঁক!