গলদা চিংড়ি সম্পর্কে এই ১০টি তথ্য জানলে অবাক হবেন

জানা অজানা July 17, 2016 2,191
গলদা চিংড়ি সম্পর্কে এই ১০টি তথ্য জানলে অবাক হবেন

গলদা চিংড়ি মানেই পালে-পার্বণে মালাইকারির মোহময় স্বাদ! বেশিরভাগ বাঙালি এই জীবটিকে এই রূপেই ভাবতে এবং দেখতে অভ্যস্ত। গলদা চিংড়ি মানেই রসনাতৃপ্তির এক চূড়ান্ত পর্যায়! আর যারা বাঙালি নন তাঁরা হয়তো অন্য কোনও গলদা রেসিপিতে বিমোহিত।


কিন্তু মানুষের খাদ্য হওয়া ছাড়াও এরা জীবজগতের এবং খাদ্য শৃঙ্খলের এক মূল্যবান সদস্য এবং এদের সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানলে বিস্ময়ের শেষ থাকবে না। টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এই তথ্যগুলি দিয়েছেন মেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লবস্টার ইনস্টিটিউটের গবেষক রবার্ট সি বায়ের—


১. গলদা চিংড়িদের আয়তনে বৃদ্ধি কখনও থামে না। যতক্ষণ না জালে ধরা পড়ছে বা কোনওভাবে মারা পড়ছে তারা বাড়তেই থাকে। একবার একটি প্রায় ২০ পাউন্ড ওজনের গলদা চিংড়ি পাওয়া গিয়েছিল।


২. গলদারা আশপাশে যদি কোনও খাবার খুঁজে না পায় তবে নিজেরাই নিজেদেরকে খায়।


৩. মিলনের সময়ে মুখ্য ভূমিকায় থাকে স্ত্রী গলদারাই। তারা নিজেদের খোলস খসিয়ে দিলে ফেরোমোন হরমোন নিঃসৃত হয় এবং তার গন্ধেই পুং গলদারা বুঝতে পারে যে স্ত্রী গলদারা মিলনে আগ্রহী।


৪. গলদারা তাদের পা এবং পায়ের পাতার রোমের মাধ্যমে খাবারের স্বাদ পায় আর তাদের শুঁড় দিয়ে দূরে থাকা খাবারকে সনাক্ত করে।


৫. গলদার তো মানুষের মতো দাঁত থাকে না। তাই খাবারকে চূর্ণ করার বা চেবানোর কাজটি করে তাদের পাকস্থলী। সেখানেই একসারি দাঁতের মতো একটি অংশ থাকে।


৬. চিংড়ি রান্না করার সময় যে অংশটি সবুজ দেখায় সেটি আসলে গলদার অন্ত্র, লিভার এবং প্যানক্রিয়াস আর যদি লাল লাল কিছু দেখা যায় তবে সেটা চিংড়ির ডিম।


৭. গলদা চিংড়ির দাঁড়ায় প্রচুর জোর থাকে। এই একটি দাঁড়া দিয়ে ১ বর্গইঞ্চিতে প্রায় ১০০ পাউন্ড চাপ সৃষ্টি করতে পারে তারা।


৮. অনেকেই জানেন না এই গলদা চিংড়ির খোলস দিয়েই একবার মেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক বানিয়ে ফেলেছিলেন গলফ বল।


৯. দাঁড়া হারানোর পরে আবার সেই জায়গায় গলদার নতুন দাঁড়া আগের মতো সাইজে আসতে সময় লাগে প্রায় ১ বছর।


১০. এখন পৃথিবীর পাঁচতারা হোটেল রেস্তোরাঁয় গলদার মহার্ঘ সব পদ রান্না হলেও কলোনিয়াল যুগে এটি ছিল অতি সস্তা খাবার যা খেত মূলত জেলের কয়েদি এবং ভৃত্যস্থানীয়রা।