চুমু নিয়ে অবাক করা ১০ তথ্য

জানা অজানা July 11, 2016 2,387
চুমু নিয়ে অবাক করা ১০ তথ্য

চুমু মানবীয় ভালবাসার এক অসাধারণ প্রকাশ। মনের মানুষকে পেয়ে পরম ভালবাসা চুমু খাওয়ার মত অসাধারণ দৃশ্য আর কিছু হতে পারে না। আবার এই চুমুর পেছেনেই উঠেপড়ে লেগে আছে কিছু প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী। তারপরও কি চুমু থেমে আছে? মোটেই না।ফিল্মি পর্দায় হোক বা ব্যক্তি জীবনে, চুমু নিয়ে চর্চার শেষ নেই।


জেনে নিন চুম্বনের ১০ তথ্য যা আপনাকে চমকে দিতে পারে....


০১. দুনিয়ার ১০ শতাংশ মানুষ কোনও দিন চুমুই খাননি! এস্কিমোরা একে অপরের নাক ঘষাঘষি করে প্রেম জাহির করেন। সুদানের একাংশের মানুষ মনে করেন, মুখ খুললেই তা দিয়ে আত্মা বেরিয়ে যাবে। তাই মুখ খুলে চুমু খাওয়ার কথা তারা নাকি ভাবতেই পারেন না।


০২. কোনও কোনও দেশে প্রকাশ্যে চুম্বন নিষিদ্ধ। স্ত্রীকে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ায় গ্রেফতার হন ম্যানুয়েল বেরুমেন নামে মেক্সিকোর এক প্রফেসর। এক মহিলাকে জড়িয়ে ধরায় ২০১০-এ চার মাসের জেল-সহ ৩০ বার বেত্রাঘাতের শাস্তি হয় সৌদি আরবের এক নাগরিকের।


০৩. সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চুমু খাওয়ার রেকর্ড রয়েছে থাইল্যান্ডের ঘরে। লকসানা ও এক্কাচাই তিরানারাত ৫৮ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড ধরে লিপলক করেছিলেন! ভাবা যায়!


০৪. সারা জীবনে কত ঘণ্টা চুমুর পিছনে যায়, তা জানেন? সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, গড়ে মাত্র ৩৩৬ ঘণ্টাই চুমু খাই আমরা। আর এতগুলো জোরদার চুমুর পর নাকি মোট ৩০,২৪০ ক্যালোরি খরচ হয় আমাদের।


০৫. ভালবাসার আবেগে চুমু খাওয়াটা কেবলমাত্র মানবজাতির একচেটিয়া নয়। মনুষ্যেতর প্রাণীদের মধ্যেও এর চলন রয়েছে। ঝগড়ার পরে মিটমাট করতে গিয়ে আকছার চুমু খাওয়া হয়ে থাকে শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে।


০৬. প্রথম চুম্বনেই নাকি লুকিয়ে আছে সম্পর্কের আয়ু। সমীক্ষায় জানা গেছে, প্রথম চুমুর ইমপ্রেশনেই নাকি জানা যায়, সম্পর্ক টিকবে কি না। এমনটাই জানিয়েছেন ৬৬ শতাংশ মহিলা ও ৫৯ শতাংশ পুরুষ।


০৭. জানেন কি, চুমু খেলে ইমিউনিটি বাড়ে! আইডেন্টিক্যাল ব্যাকটেরিয়া আদানপ্রদানের ফলে জীবনীশক্তি বাড়ে। শুধু তা-ই নয়, চুম্বনের ফলে নাকি রক্তচাপও কমে।


০৮. চুমু খেতে সকলেই যে ভালবাসেন, এমনটা কিন্তু সত্যি নয়। ফিলেমাফোবিয়া, মানে কিসিং ভীতিতে ভোগেন এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়।


০৯. কে কাকে প্রথম চুমু খেলেন, তা জানাটা সত্যিই মুশকিলের বিষয়। তবে বহু ইতিহাসবিদের মতে, আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট-এর সময়েই মুখ দিয়ে স্পর্শের প্রচলন হয়। আর বোধহয় সে সময় থেকেই চুমু খাওয়ার শুরুয়াত।


১০. চুমু খাওয়ার সময় এ সব তথ্য মাথায় না রাখলেও চলবে। তবে একান্তই যদি জানতে চান তবে শুনুন, ওল্ড ইংলিশ-এ ‘কেসান’ থেকে এসেছে কিস শব্দটি। এর অর্থ কিস করা।