থ্রিজির লাইসেন্সে ফোরজি হবে তো ?

BTRC News July 8, 2016 1,258
থ্রিজির লাইসেন্সে ফোরজি হবে তো ?

বিদ্যমান তৃতীয় প্রজেন্মের (থ্রিজি) প্রযুক্তি লাইসেন্সেই মোবাইল ফোন অপারেটররা চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) সেবা দিতে পারবে, নাকি তাদেরকে নতুন করে লাইসেন্স নিতে হবে- সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারছে না টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন(বিটিআরসি)।

ফোরজির জন্য নতুন লাইসেন্স লাগবে কি লাগবে না, সেটি নিশ্চিত করতে বিটিআরসি এখন রীতিমতো গবেষণা শুরু করেছে। এপ্রিল মাসে রবি ২১০০ ব্যান্ডের স্পেকট্রামেই ফোরজি সেবা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চায়। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে বিটিআরসি।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, থ্রিজি স্পেকট্রামের নিলামের নীতিমালায় ভাষাগত কিছু অস্পস্টতা রয়েছে। ওই নীতিমালার এক জায়গায় আছে ২১০০ ব্যান্ডের স্পেকট্রাম দিয়ে অপারেটররা শুধু থ্রিজি সেবা দেবে। অন্য আরেক জায়গায় অবশ্য বলা আছে এই স্পেকট্রামে ফোরজির সেবাও দেওয়া যাবে।

এখন বিটিআরসি আসলে কি সিদ্ধান্ত নেবে সেটির জন্যে কমিশনের আইন বিভাগের তত্ত্বাবধানে সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনের বিভাগের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। এরাই আগের নীতিমালা পর্যালোচনা করে এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কমিশনের আগামী বৈঠকে সুপারিশ উত্থাপন করবে।

২০১৩ সালের থ্রিজি স্পেকট্রাম নিলামে গ্রামীণফোন দশ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম নিয়েছে। বাকি তিন অপারেটর বাংলালিংক, রবি এবং এয়ারটেল নিয়েছে পাঁচ মেগাহার্জ করে স্পেকট্রাম। আর আগে থেকেই সরকারি অপারেটর টেলিটক পেয়েছিল দশ মেগাহার্জ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাঁচ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম দিয়ে কোনো অবস্থায় থ্রিজির সঙ্গে ফোরজি সেবা চালু করা যাবে না। সে বিবেচনায় বাংলালিংক, রবি এবং এয়ারটেলের সেই স্বক্ষমতা থাকার কথা নয়।

কিন্তু রবি আর এয়ারটেল যেহেতু একীভূত হতে যাচ্ছে সে কারণে তখন তাদের স্পেকট্রাম দশ মেগাহার্জ হবে এবং তখন তারা ফোরজি সেবা চালু করতে পারবে এই আশাতেই রবি বিষয়টি পরিস্কার হতে এমন আবেদন করে।

পরে রবির আবেদনের পর বাংলালিংক অবশ্য এর বিরোধিতা করে আবার বিটিআরসিকে লেখে। তবে গ্রামীণফোন এখনও বিষয়টিতে পরিষ্কার অবস্থান না নিলেও তারা ভেতরে ভেতরে ফোরজির প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে জানা গেছে।