বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার বানাল চিন

নতুন প্রযুক্তি July 1, 2016 961
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার বানাল চিন

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটারগুলিকে পিছনে ফেলে আরও অত্যাধুনিক সুপার কম্পিউটার বানিয়ে ফেলল চিন। ৯৩ পেটাফ্লপ ক্ষমতাসম্পন্ন সানওয়ে ‘তাইহুলাইট’ নামের এই সুপার কম্পিউটারটি রাখা হয়েছে ওয়ুক্সি ন্যাশনাল সুপারকম্পিউটিং সেন্টারে। চিনের তৈরি সর্বশেষ তিয়ানহে-২


সুপার কম্পিউটারটিও শীর্ষে ছিল কিন্তু নতুন এই সুপারকম্পিউটারটি আগেরটির চেয়ে দ্বিগুণ দ্রুতগতিসম্পন্ন এবং ৩ গুণ বেশি দক্ষ। এটি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৯৩,০০০ ট্রিলিয়ন হিসেব করতে পারে। ইউনিভার্সিটি অফ টেনেসি’র কম্পিউটার বিজ্ঞানী জ্যাক ডঙ্গারা এই বিশেষ সুপারকম্পিউটারের বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বলেছেন, এর প্রধান কাজ হবে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো, আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া এবং বড় তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করা। টপ৫০০-এর মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর কম্পিউটারগুলোর মধ্যে শীর্ষ ৫০০টির তালিকা নিয়মিত আপডেট করা হয়। এই প্রকল্পে সুপারকম্পিউটারগুলোর পারফরম্যান্স পরিমাপে জন ডঙ্গারা’র লিনপ্যাক বেঞ্চমার্ক একটি অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।


এই সুপার কম্পিউটারটিতে রয়েছে ১.০৫ কোটি প্রসেসিং কোর, সেই সঙ্গে ৪০,৯৬০ নোড এবং লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম। এরই মাধ্যমে চিন আমেরিকাকে টপকে উপরে চলে গেছে। টপ৫০০ কম্পিউটারের মধ্যে চিনের রয়েছে ১৬৭টি এবং আমেরিকার ১৬৫টি কম্পিউটার। টপ৫০০-এর মতে, চিন সুপারকম্পিউটিং জগতে সবচেয়ে দ্রুত উন্নতি করেছে। মাত্র ১০ বছর আগে টপ৫০০-এর মধ্যে চিনের মাত্র ২৮টি কম্পিউটার ছিল এবং শীর্ষ ৩০-এর মধ্যে একটিও ছিল না। বর্তমানে টপ৫০০ তালিকায় প্রথম ১০টির


মধ্যে শীর্ষ দুইটি কম্পিউটার চিনের এবং বাকিগুলো জাপান, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি এবং সৌদি আরবে তৈরি।সাউদাম্পটন ইউনিভার্সিটি-এর অধ্যাপক লেস কার জানান, একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী হিসেবে এত বড় একটি মেশিনের সঠিক ব্যবহারের জন্য সফটওয়্যার লেখাটা অনেক


কঠিন এবং এর বৃহৎ সংখ্যক কোর নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন। তিনি আরও জানান, এই কারণেই এর অ্যাপ্লিকেশন অনেক সীমিত। সুপার কম্পিউটারের সুবিধা ভোগ করতে অত্যন্ত বিশেষ ধরণের কম্পিউটিং প্রয়োজন। এই মেশিন গ্র্যাঁ প্রি রেসিং গাড়িগুলোর মতো অনেক উচ্চ গতি সম্পন্ন। এরা সার্কিটে রেস করার জন্য চমৎকার কিন্তু লন্ডন থেকে এডিনবার্গ ভ্রমণের জন্য ‘উপযুক্ত নয়’।