মাগফিরাতের দশকের শেষ জুমা আজ, হে আল্লাহ সব গুনাহগার বান্দাকে ক্ষমা করে দিন!

ইসলামিক শিক্ষা June 24, 2016 1,253
মাগফিরাতের দশকের শেষ জুমা আজ, হে আল্লাহ সব গুনাহগার বান্দাকে ক্ষমা করে দিন!

পবিত্র রমজানের দ্বিতীয় দশক অর্থাৎ মাগফিরাতের ১০ দিন চলছে। দুনিয়ার সকল গোনাহগার মানুষের জন্য চিরস্থায়ী শান্তি ও মুক্তির দিশারী এ মাগফিরাতের দশক। এ দশকে বান্দার বান্দার ক্ষমা লাভ আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।


এবারের মাগফিরাতের দশকে রহমতপূর্ণ দুটি জুমার দিন পড়েছে। এটি আল্লাহর নৈকট্য লাভে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য একটি বড় সুযোগ। আজ মাগফিরাত দশকের শেষ জুমা আদায় করবেন মুসল্লিরা। বিশেষ করে রোজার মাসের জুমার দিনগুলো আরো বেশি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও ইবাদতে পরিপূর্ণ হওয়ার মতো সময়।


রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত লাভের এবং তৃতীয় ১০ দিন জাহান্নাম থেকে মুক্তিলাভের।’ (মিশকাত)


জুমার দিন সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন, ‘হে মমিনরা! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের উদ্দেশ্যে দ্রুত ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো।’ (সূরা জুমা: ৯)


তাই ইবাদতপূর্ণ এই দিনে আমাদের মহান আল্লাহ তায়অলার নৈকট্যের আশায় বেশি বেশি ইবাদত করা উচিত।


জুমার আজানের আগেই সব কর্মব্যস্ততা ত্যাগ করে নামাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে মসজিদে গমন করা মুসলমানদের ঈমানি দায়িত্ব। শুক্রবার মুসলমান জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে মানুষ যে দোয়া করে তাই কবুল হয়। এ দিনে বিশেষ কিছু আমল রয়েছে, যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।


হজরত আউস ইবনে আউস (রা.) বলেন, ‘রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি জুমার দিনে ভালোভাবে গোসল করবে, সকাল সকাল প্রস্তুত হয়ে হেঁটে মসজিদে গমন করে ইমাম সাহেবের কাছে বসবে এবং মনোযোগী হয়ে তার খুতবা শ্রবণ করবে এবং অনর্থক কর্ম হতে বিরত থাকবে, তার প্রত্যেক কদমে এক বছরের নফল রোজা এবং এক বছরের নফল নামাজের সওয়াব আল্লাহ পাক তাকে দান করবেন।’ (নাসাঈ শরিফ ১৫৫)


উপরোক্ত হাদিসগুলোর মাধ্যমে প্রমাণিত, জুমার দিনে মুসলমানদের জন্য কর্তব্য হচ্ছে, সব ব্যস্ততা ত্যাগ করে আজানের আগেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে মসজিদে গমন করা, খুতবা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করা, খুতবা চলাকালীন কথা-বার্তা বলা থেকে বিরত থাকা, জুমার দিনে যে কোনো সময় সূরা কাহফ তেলাওয়াত করা এবং জুমার দিনে আল্লাহ তাআলার কাছে বিশেষভাবে প্রার্থনা করা।


বিশেষ করে রমজানের মাসের মাগফিরাত দশকের জুমার দিন এই ইবাদত বেশি বেশি করে আদায় করা উচিত।


মাগফিরাত লাভে করণীয় সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত আছে যে, ‘রমজান মাসের প্রতি রাতেই একজন ফেরেশতা ঘোষণা করতে থাকেন, ‘হে পুণ্য অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও। হে পাপাচারী! থামো, চোখ খোলো।’ তিনি আবার ঘোষণা করেন, ‘ক্ষমাপ্রার্থীকে ক্ষমা করা হবে। অনুতপ্তের অনুতাপ গ্রহণ করা হবে। প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা কবুল করা হবে।’


সুতরাং মাগফিরাত বা ক্ষমা লাভে প্রত্যাশী এ দশকের প্রতি রাতেই গোনাহ মাফে রোনাজারি করবে। আশা করা যায়, রমজানে হাদিসের আমল আল্লাহ তাআলা কবুল করবেন। আমীন