আত্মতুষ্ট সিংহ ও বুদ্ধিমান খরগোশ

উপদেশমূলক গল্প June 22, 2016 8,072
আত্মতুষ্ট সিংহ ও বুদ্ধিমান খরগোশ

এক সুন্দর রৌদ্র উজ্জ্বল দিনে একটি সিংহ তার গুহার বাইরে বসে অলসভাবে রৌদ্র পোহাচ্ছিল। এই সময় একটি শিয়াল হাঁটতে হাঁটতে তার সামনে এসে দাঁড়াল।


শেয়ালঃ আমার ঘড়িটা নষ্ট হয়ে গেছে। তুমি কি বলতে পারবে কয়টা বাজে?

সিংহঃ ওহ! আমি তোমার ঘড়িটা ঠিক করে দিতে পারবো!

শেয়ালঃ হমম…এটার যন্ত্রকৌশল খুবই জটিল আর তোমার বিরাট থাবা শুধু এটাকে আরও নষ্টই করবে খালি।

সিংহঃ ওহ না! আমাকে ঘড়িটা দাও । আমি এটা একদম ঠিক করে দিবো।

শেয়ালঃ উদ্ভট সব কথা বার্তা। যেকোনো বোকাই জানে যে বড় থাবা ওয়ালা অলস সিংহ ঘড়ি ঠিক করতে পারে না।

সিংহঃ না, তারা পারে, আমাকে দিয়েই দেখ না।

একথা শুনে শেয়াল তাকে ঘড়িটা দেয়। সিংহ ঘড়িটা নিয়ে ভেতরে চলে যায় এবং কিছুক্ষন পর ঘড়িটা নিয়ে ফিরে আসে। শেয়াল দেখতে পায় ঘড়িটা একদম নিখুঁত ভাবে চলছে। এরপর শেয়াল চলে যায় আর সিংহ আবার মাটিতে শুয়ে রোদ পোহাতে থাকে।

কিছুক্ষন পর একটা নেকড়ে সেখানে এসে হাজির হয়।

নেকড়েঃ আমি কি তোমার সাথে টেলিভিশন দেখতে পারি? আমার টেলিভিশনটা নষ্ট হয়ে গেছে।

সিংহঃ ওহ! আমি তোমার টেলেভিশনটা ঠিক করে দিতে পারবো!

নেকড়েঃ তুমি কি আমাকে বোকা পেয়েছো যে তোমার কথা বিশ্বাস করবো? কোনো মতেই একটা বড় থাবা ওয়ালা অলস সিংহ একটা জটিল টেলিভিশন ঠিক করতে পারবে না।

সিংহঃ চেষ্টা করে দেখতে তো কোনো সমস্যা নেই?

এরপর সিংহ টেলিভিশন নিয়ে গুহার ভেতর চলে যায় এবং কিছুক্ষন পর টেলিভিশনটা নিয়ে আসে। নেকড়ে অবাক হয়ে দেখে যে, টেলিভিশনটা ঠিকমতই চলছে।


গুহার ভেতরের দৃশ্যঃ গুহার এক কোনায় কিছু ছোট কিন্তু খুবই বুদ্ধিমান খরগোশ কিছু জটিল যন্ত্র নিয়ে কাজে ব্যস্ত আর আরেক কোনায় একটি আত্মতুষ্ট সিংহ শুয়ে আছে।


নোট ১: আপনি যদি জানতে চান কোনো ব্যাবস্থাপক(ম্যানেজার) বিখ্যাত কেন, তাহলে তার অধীনে কর্মরত লোকদের কাজের প্রতি দৃষ্টি দেন।

নোট ২: আপনি যদি জানতে চান কেন কোনো অকর্মন্য ব্যক্তির প্রমোশন হয়েছে, তাহলে তার অধীনে কর্মরত কর্মচারীদের কাজের দিকে লক্ষ্য করুন।