অবাক পদ্ধতির মৃত্যুদণ্ড!

জানা অজানা June 19, 2016 1,370
অবাক পদ্ধতির মৃত্যুদণ্ড!

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে। এই শাস্তির বিধান পৃথিবীতে যত আইনি শাস্তি রয়েছে, তার মধ্যে সব থেকে পুরানো। সময়ের সঙ্গে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পদ্ধতি একেক সময়ে একেক পন্থায় হয়েছে


সিমেন্টের জুতা

নাম শুনেই বুঝে গেছেই এই জুতা যেনতেন জুতা না বরং সিমেন্টের তৈরি। এই পদ্ধতি অনেকটাই ‘রিপাবলিকান বিবাহ’ পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মতো, মানে নদীতে ডুবিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা।


শুধু পার্থক্য হলো এখানে বিপরীত লিংগের কারো সঙ্গে আপনাকে না বেঁধে, আপনার পায়ে পরিয়ে দেয়া হবে এই সিমেন্টের জুতা যাতে আপনি পানির মধ্যে ভেসে থাকতে না পারেন। এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সব থেকে বেশি প্রচলন ছিল আমেরিকার মাফিয়াদের মধ্যে। মৃত্যুর মৃত্যু আবার লাশ লুকাবার কোনো ঝামেলা নেই।


স্কাফিজম

স্কাফিজম (Scaphism) অতীতে পার্সিয়ান্দের মধ্যে প্রচলিত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিকে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে তাকে একটি ডোবার কাছে আনা হতো। এরপর ডোবার সব থেকে কাছের গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হতো।


এরপর তাকে প্রচুর পরিমাণে দুধ এবং মধু খাওয়ানো হতো, যত সময় পর্যন্ত না তার ডাইরিয়া শুরু হতো। ডাইরিয়া শুরু হলে তার সারা গায়ে মধু মেখে দেয়া হতো। এই মধু মেখে দেয়ার ফলে আসে পাশের অনেক কিটপতঙ্গ আকৃষ্ট হতো আর আসামির গায়ের চামড়া ভেদ করে বাসা বানাত। এই পদ্ধতিতে আসামির মৃত্যু হতে সময় লাগত ২ সপ্তাহের মতো। মৃত্যুর মূল কারণ ছিল গ্যাংগ্রিন, ডায়রিয়া এবং অনাহার।


শির কর্তন

শির কর্তন (Guillotine) পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পদ্ধতি মূলত চালু করা হয় মানবিক দিক বিবেচনা করে।


১৭০০ শতকে এই পদ্ধতি চালু করা হয়, কেননা তৎকালীন আমলে বিশেষজ্ঞদের মতে এই পদ্ধতিতে আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে, তার কষ্ট কম হয়। তাই তৎকালীন অনেক দেশ এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড করতে থাকে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭৭ সালে ফ্রান্সে সর্বশেষ এই পদ্ধতি ব্যবহƒত হয়। বিশ্বে কোথাও আর এ পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি।