ভোলার লালমোহন, সৌন্দর্য হাতছানি দেয় যেখানে

দেখা হয় নাই June 11, 2016 1,647
ভোলার লালমোহন, সৌন্দর্য হাতছানি দেয় যেখানে

সম্প্রতি পরলোক গমন করেছেন বিশ্ববিখ্যাত বক্সার মোহাম্মাদ আলী। তিনি নব্বই এর দশকে বাংলাদেশ ভ্রমণ করে ফিরে যাওয়ার সময় বলেছিলেন- কেউ যদি স্বর্গ দেখতে চাও তাহলে বাংলাদেশে আসো। একথার যথার্থতা আমরা খুঁজে পাই সবুজ শ্যামল এই দেশের পরতে পরতে।


বান্দরবান গেলে পাহাড় আর পাহাড়, রাঙ্গামাটি গেলে পাহাড় আর জলের মেলামেশা, সিলেট প্রকৃতির এক স্বর্গ আর কক্সবাজার বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত এবং ভোলায় শুধু জল আর জল। এদেশের প্রকৃতি দিয়েছে আমাদের সুন্দরবনের মত মন ভোলানো এক প্রকৃতি।


এখানে যে স্থানটি নিয়ে বলা হয়েছে তা হলো ভোলা জেলার লালমোহন এলাকা। এটি এমন স্থান যেখানে গেলে আপনি অদ্ভুত আর অসম্ভব সুন্দর প্রকৃতির মাঝে মিশে যেতে পারবেন। মনে হবে আপনি দাঁড়িয়ে আছেন বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্থানে।


জায়গাটার নাম মঙ্গলশিকদার। এটি লালমোহন (ভোলা) থেকে ৪/৫কিঃ মিঃ দূর।আপনি ঢাকা থেকে লালমোহন এ আসবেন। থাকবেন লালমোহন সদর এ বিভিন্ন হোটেল আছে এবং ডাকবাংলো ও আছে। লালমোহন থেকে মোটরসাইকেল যোগে গেলেই আপনার ভাল হবে। ভাড়া ১ জন ৫০ টাকা যাওয়ার ক্ষেত্রে।


প্রতিদিন ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬ টায় লালমোহন এর লঞ্চ ছাড়ে। আপনি লালমোহন এসে পৌছবেন পরদিন সকাল ৫/৬টায়। লালমোহন থেকে ছাড়ে বিকাল ৪টায়। ভাড়াঃ সিঙ্গেল কেবিন-৮০০, ডাবল কেবিন-১৬০০ ।


লালমোহন দক্ষিন ভোলার একটি সবুজ প্রাকৃতিক জনপদ যার পূর্বে বিশাল মেঘনা ও পশ্চিমে তেতুলিয়া নদী। এই দুই নদী পারের নৈসর্গিক ও ভয়ংকর সুন্দর জায়গাগুলোই এই এলাকার মূল আকর্ষন। তাছাড়া মেঘনার মাঝখানে গড়ে ওঠা দ্বীপ (চর) গুলো আপনাকে সুন্দরবনের মত অনুভূতি দেবে।


এছাড়া চিরাচরিত বাংলার ঐতিহ্যগুলো অনেক আগে থেকেই লালন করে আসছে এই এলাকার মানুষজন।


মাছে ভাতে বাঙালী যার অনেকটা যথার্থতা এইখানে পাবেন। আর আধুনিক নাগরিক সব সুযোগ সুবিধাতো থাকছেই।