দই সম্পর্কিত যে তথ্যগুলো অবাক করবে আপনাকে !

জানা অজানা June 7, 2016 942
দই সম্পর্কিত যে তথ্যগুলো অবাক করবে আপনাকে !

দই ভালোবাসেন ? কেবল আপনি নয়, পুরো বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের প্রিয় খাবার এটি। আপনার ফ্রিজেও এখন হয়ত রয়েছে প্রিয় দই। তবে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক এই সম্পর্কে কিছু তথ্য, যা হয়ত অবাক করবে আপনাকে।


এটি ব্যাকটেরিয়ায় ভরপুরঃ


ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এটি কোন ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া নয়। এই খাবারটি সাধারণত উপকারী ব্যাকটেরিয়ায় ভরপুর থাকে। বিশেষ করে ল্যাকটোব্যাসিলাস বুলগারিকাস নামের ব্যাকটেরিয়া। এটি মূলত ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ায় দুধ থেকে দইতৈরি হতে সাহায্য করে। গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে এই ব্যাকটেরিয়াগুলো দেহের গ্যাস্ট্রিক জনিত ইনফেকশন দূর করে এবং দেহের ইমিনিউটি প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। সব কথার শেষ কথা, দই হল ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন বি-১২ এর ভালো উৎস।


সব দই এক উপায়ে তৈরি হয়নাঃ


জানেন কি দইতৈরি হবার কমপক্ষে শতাধিক উপায় রয়েছে? আর তার উপর বিভিন্ন ফ্লেভার তো আছেই। ফলের স্বাদযুক্ত, আইসক্রিমের ন্যায় দই আরো কতকি। ভিন্ন ধরণের দই তৈরির নিয়মও ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই বাজারের কেনা দই খাওয়ার সময় এর উপাদান সম্পর্কে ভালো করে পড়ে নিবেন। কেননা, অনেক দই সুস্বাদু করার জন্য এতে প্রচুর চিনি ও ফ্যাট যুক্ত করা হয়। যার ফলে দইয়ের ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যায়। যা অনেক সময় আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে।


গ্রিক দইয়ে পাবেন দ্বিগুণ প্রোটিনঃ


গ্রিক দইয়ের একটি ধরন যাতে আপনি দ্বিগুণ পরিমাণে প্রোটিন পাবেন। এবং এতে চিনির পরিমাণও সাধারণ দইয়ের তুলনায় কম। বলা হয় এক কাপ গ্রিক দইয়ে ২৪ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে যা প্রায় ৪টি ডিমের সমান!


বেকিং করা খাবারে কমবে ওজনঃ ডায়েটে থাকা মানুষগুলোর জন্য বেকিং খাবারগুলো সাধারণত মানা থাকে। কেননা এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে তেল ও চিনি থাকে। তবে আপনি চাইলে এখন বেকিং খাবারগুলোকেই কম ক্যলরির খাবার বানিয়ে ফেলতে পারেন দইয়ের সাহায্যে। এই ধরুন, বেকিং এর জন্য তেল লাগবে, এর বদলে ৪ ভাগের ৩ ভাগ দই ব্যাবহার করুন। আপনার প্রিয় কেক বা কুকিজ তৈরি হবে কম ক্যলরিতে। চাইলে বাটারের বদলেও ব্যবহার করতে পারেন দই। বেকিং খাবারের নমনীয়তা বজায় থাকবে এবং ক্যালরীর পরিমাণ কমে যাবে।


হাজার বছর আগের কথাঃ


জানেন কি মজাদার এই খাবারটি কবে আবিষ্কৃত হল? দশ বিশ বছর আগে নয়, শত বছর আগেও নয় বরং হাজার বছর আগে থেকেই এই খাবারটি প্রচলিত।

এটি একটি ভালো খাবার। এটি মানুষের পরিপাকে সাহায্য করে থাকে। ডায়েটে থাকা মানুষের জন্য চিনিমুক্ত বা টকদই বেশ উপকারী একটি খাবার।