রোজায় যে কাজে সাওয়াব বেড়ে যায়

ইসলামিক শিক্ষা June 7, 2016 1,383
রোজায় যে কাজে সাওয়াব বেড়ে যায়

হাদিসে এসেছে, রমজানের রোজার প্রতিদান আল্লাহ নিজে দিবেন বা রমজানের রোজার প্রতিদান স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই। এ কারণেই রমজানের রোজা রাখার কিছু মুস্তাহাব, সুন্নাত ও আদব রয়েছে। এ গুলো ছেড়ে দিলে রোজা ভাঙবে না এবং গোনাহও হবে না। তবে পূণ্য লাভে ঘাতটি হবে। যে কাজগুলো পালন করলে সাওয়াব বহুগুণে বেড়ে যাবে। এ সুন্নাতগুলো তুলে ধরা হলো-


শেষ সময়ে সেহরি খাওয়া

সেহরি খাওয়া সুন্নাত। সেহরি দেরিতে খাওয়া এবং তা শেষ ওয়াক্তে খাওয়া উত্তম। রোজার জন্য সেহরি খাওয়ায় অনেক ফজিলত রয়েছে। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা সেহরি খাও, কারণ সেহরিতে বরকত রয়েছে। (বুখারি ও মুসলিম)


ইফতারে দেরি না করা

সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে তাড়াতাড়ি ইফতার করা। অতিরঞ্জিত সাবধানতার নামে ইফতার দেরি না করা। হজরত সাহল ইবনে সা`দ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মানুষ যতদিন পর্যন্ত তাড়াতাড়ি ইফতার করবে ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে। বুখারি ও মুসলিম)


রাতে কুরআন তিলাওয়াত করা

রমজান মাস কুরআন নাজিলের মাস। এ কারণে রমজানে কুরআন তিলাওয়াত অন্য সময়ের চেয়ে বেশি নেকি অর্জন হয় এবং উপকারে আসে। হাদিসে এসেছে, ‌রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‌রোজা ও কুরআন কিয়ামাতের দিন (আল্লাহর কাছে) মানুষের জন্য এভাবে সুপারিশ করবে যে-


রোজা বলবে, হে প্রতিপালক! দিনের বেলায় আমি তাকে পানাহার ও যৌন আনন্দ উপভোগ থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করো।


কুরআন বলবে হে প্রতিপালক! (রাতে কুরআন পাঠের কারণে) রাতের নিদ্রা থেকে আমি তাকে বিরত রেখেছি। তাই (কুরআনের) এ পাঠকের ব্যাপারে আমার সুপারিশ মঞ্জুর করুন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‌এরপর উভয়েরই সুপারিশ কবুল করা হবে। (মুসনাদে আহমদ)


পরিশেষে...

সেহরি, ইফতার, কুরআন তিলাওয়াত না করলেও রোজা ভঙ্গ হবে না ঠিকই কিন্তু সেহরি, ইফতার ও কুরআন তিলাওয়াতের অধিক সাওয়াব ও কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হতে হবে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শেষ সময়ে সেহরি, সুর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার এবং রাত জাগরণ করে কুরআন তিলাওয়াতের তাওফিক দান করুন। আমিন।